গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ৬০ নারীনেত্রীর বিবৃতি- তৃণমূল নারীদের ক্ষমতাহীন করা হচ্ছে
গ্রামীণ ব্যাংককে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করার মাধ্যমে তৃণমূল নারীদের ক্ষমতাহীন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাংকের মালিক তথা তৃণমূলের নারীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দেশের ৬০ জন বিশিষ্ট নারী এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
সরকার ‘গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা দরিদ্র নারীদের। এতে সরকারের মালিকানা মাত্র ৩ শতাংশ। আইন সংশোধনের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে সরকার নিযুক্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে। বিষয়টি ব্যাংককে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করার শামিল।
সরকারের এই উদ্যোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে নারীনেত্রীরা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র নারীদের মালিকানাধীন একটি অনন্যসাধারণ ব্যাংক। নারীদের ক্ষমতায়নের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। ৮৪ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিচ্ছেন। পরিচালনা পর্ষদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে নয়জনই ৮৪ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি। চেয়ারম্যানসহ বাকি তিন সদস্য সরকার মনোনীত। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের পরামর্শে তিন সদস্যের প্যানেল ঠিক করবেন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ প্যানেল পর্ষদের সিদ্ধান্তে গঠিত হয়। এ ছাড়া সংশোধনের প্রস্তাবে পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ঋণগ্রহীতার মতামত অগ্রাহ্য করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডের। সরকার আইন সংশোধন করলে একমাত্র ব্যতিক্রম হবে গ্রামীণ ব্যাংক, যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের। নারীনেত্রীরা সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন রোকেয়া আফজাল রহমান, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরী, শাহীন আনাম, সিগমা হুদা, রাবেয়া ভূঁইয়া, শারমিন মোর্শেদ, রোকেয়া কবির, আমেনা মহসীন, খুশী কবির, ফরিদা আক্তার, মালেকা বেগম, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী, হামিদা হোসেন, তাসমিমা হোসেন, রেজওয়ানা হাসান, সারা হোসেন, ফারাহ কবির, নাশিদ কামাল প্রমুখ।
সরকারের এই উদ্যোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে নারীনেত্রীরা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র নারীদের মালিকানাধীন একটি অনন্যসাধারণ ব্যাংক। নারীদের ক্ষমতায়নের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। ৮৪ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিচ্ছেন। পরিচালনা পর্ষদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে নয়জনই ৮৪ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি। চেয়ারম্যানসহ বাকি তিন সদস্য সরকার মনোনীত। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের পরামর্শে তিন সদস্যের প্যানেল ঠিক করবেন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ প্যানেল পর্ষদের সিদ্ধান্তে গঠিত হয়। এ ছাড়া সংশোধনের প্রস্তাবে পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ঋণগ্রহীতার মতামত অগ্রাহ্য করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডের। সরকার আইন সংশোধন করলে একমাত্র ব্যতিক্রম হবে গ্রামীণ ব্যাংক, যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের। নারীনেত্রীরা সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন রোকেয়া আফজাল রহমান, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরী, শাহীন আনাম, সিগমা হুদা, রাবেয়া ভূঁইয়া, শারমিন মোর্শেদ, রোকেয়া কবির, আমেনা মহসীন, খুশী কবির, ফরিদা আক্তার, মালেকা বেগম, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী, হামিদা হোসেন, তাসমিমা হোসেন, রেজওয়ানা হাসান, সারা হোসেন, ফারাহ কবির, নাশিদ কামাল প্রমুখ।
No comments