ঈদের শুটিং করতে করতে... by আলতাফ শাহনেওয়াজ
সময় গড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঈদ। টিভি তারকাদের ব্যস্ত দিনরাত্রিও ভরে উঠছে আরও ব্যস্ততায়। টেলিভিশনের ব্যস্ত তারকা জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, সুমাইয়া শিমু, সজল ও মীম—ঈদ উপলক্ষে দিনরাত শুটিং আর অ্যাকশন-কাটের অবসরে তাঁদের সবার ভেতরে প্রতিদিন জমা হয় কত না বিচিত্র গল্প।
নাটকের শুটিংয়ে এ সময় ক্যামেরার পেছনেও যেন বা চলছে অন্য এক নাটকের শুটিং।
সজলের গল্পটিই প্রথমে শোনা যাক। ঈদের জন্য আলাদাভাবে নয়, সারা বছরই কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হবে। কয়েক দিন আগে হোতাপাড়ায় আনিসুল হকের লেখা ও আশরাফি মিঠুর পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক কল্লোল-হিল্লোল-এর শুটিং করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সজলের গল্পের সূচনা। বললেন, ‘নাটকটিতে কাজ করতে গিয়ে মজার না কষ্টের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা নিয়ে একটু দ্বিধায় পড়লেন সজল। ‘এই নাটকে কল্লোল ও হিল্লোল নামে যমজ দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। নাটকের একটি দৃশ্যে আমার মিষ্টি খাওয়ার কথা। দৃশ্যটি কয়েকবারে ধারণ করা হয়। পরে দৃশ্যটি ঠিকঠাক সম্পন্ন হওয়ার পর দেখলাম, একে একে ২২টি মিষ্টি খেয়ে ফেলেছি আমি!’ শুটিংয়ে এমন মজার ঘটনার সাক্ষী মীমও। এবারের ঈদে ১২টি নাটকে কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি সাত দিনের ধারাবাহিক। মীমের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখনো তিনি শুটিং স্পটে। এক ফাঁকে বললেন, ‘দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছি না। এবার যে নাটকগুলোয় অভিনয় করেছি, তার একটির সঙ্গে আরেকটির চরিত্রের কোনো মিল নেই। এর মধ্যে যুবরাজ খানের একটি নাটক এক হাজার টাকা। এই নাটকে তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। এটি করতে গিয়ে রাতের বেলায় রাস্তায় শুটিং করতে হয়েছিল আমাদের। এক রাতের ঘটনা। নাটকে শান্তা নামে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি, আমার সঙ্গে সহ-অভিনেতা নিশো। নাটকের দৃশ্যটি এমন—কেয়ারটেকার এসে আমাদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেবে। তো, ওই কেয়ারটেকার চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি সত্যি সত্যিই একজন কেয়ারটেকার। কিন্তু আমি সেটি জানতাম না। অভিনয়ের সময় তিনি এমন হাঁকডাক করে রাস্তা থেকে আমাদের উঠিয়ে দিলেন যে, মনে হলো অভিনয় নয়, ঘটনাটি সত্যিই ঘটছে। আমি খুব ভড়কে গিয়েছিলাম। পরে ঘটনাটি যতবার মনে হয়েছে, খুব মজা পেয়েছি।’ বাবা-মাকে নিয়ে এই ঈদ দুবাইয়ে কাটানোর পরিকল্পনা মীমের। শুটিংয়ে এ রকম নানা ঘটনার স্মৃতি সজল ও মীমের চেয়ে জাহিদ হাসানের ঘটে একটু বেশিই আছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টিভির পর্দায় নানা পরিচয়ে দেখা গেছে তাঁকে—কখনো অভিনেতা, কখনো নির্মাতা। এবারের ঈদে তিনি নাটক বানিয়েছেন তিনটি।
এ ছাড়া অন্য নির্মাতার নাটকে অভিনয়ও করেছেন। ঈদ উপলক্ষে শুভবিবাহ নামে আট পর্বের ধারাবাহিক নাটক তৈরি করেছেন তিনি। এই নাটকের শুটিং হয়েছিল তাঁর নিজের শহর সিরাজগঞ্জে। শুটিংয়ের সেই স্মৃতি আওড়ে জাহিদ বললেন, ‘শুভবিবাহ করতে গিয়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একটি ঘটনা খুব মজার। নাম দেখেই বোঝা যায়, নাটকের কাহিনি বিয়েকে কেন্দ্র করে। ফলে বিয়েবাড়ির মতো করে একটি বাড়ি সাজাতে হয়েছে আমাকে। আমি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক, যাঁকে আমরা টুকু ভাই নামে ডাকি, তাঁর বাড়িতে বিয়েবাড়ির সেট ফেললাম। সেখানেই ঘটনার শুরু। সিরাজগঞ্জ মফস্বল শহর। ফলে নিমেষেই চারদিকে চাউর হয়ে গেল, মন্ত্রীর বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। লোকজন বলাবলি করতে শুরু করল, মন্ত্রীর বাড়িতে বিয়ে অথচ কাউকে দাওয়াত করল না! একসময় টুকু ভাইয়ের ছোট ভাই খুশী ভাই আমাকে বললেন, “জাহিদ, তুমি যে নাটকের শুটিং করছ, তা তো কেউ বুঝছে না। সবাই মনে করছে বিয়ে হচ্ছে কিন্তু আমরা কাউকে দাওয়াত দেইনি, দেখ তো কী কাণ্ড!”
জয়া আহসান বরাবরই কম কাজ করেন। এবারের ঈদেও নাটক করেছেন হাতেগোনা কয়েকটি। বললেন, ‘অল্প কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি। সামনে তানভীর হোসেন প্রবলের দেজবু নাটকের শুটিং রয়েছে। এবারের ঈদ ফিরে আসতেই সব ছাপিয়ে আমার কেবল বাবার কথা মনে পড়ছে। কিছুদিন আগে তাঁকে হারিয়েছি আমরা। এবারই প্রথম তাঁকে ছাড়া ঈদ করতে হবে। ঈদ উৎসবে আমার স্মৃতিকে এখন আচ্ছন্ন করে আছেন বাবা।’ বাবার কথা বলতে বলতে ক্যামেরার পেছনে ঘটে যাওয়া শুটিংয়ের স্মৃতি আর বলাই হয় না তাঁর। বললেন, ‘ঈদে বাড়িতেই থাকব। প্রথমে দেখা করতে যাব নানুর সঙ্গে। এবারের ঈদ আমার কাছে যেন হরিষে বিষাদ।’
‘আমি বাড়ির ছোট মেয়ে তো, তাই ঈদে উপহার পেতে খুব মজা লাগে।’ এভাবে শুরু করে ঈদের নাটক নিয়ে কথা বললেন সুমাইয়া শিমু। এ বছর সাত-আটটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে ফেরদৌস হাসান, ইফতেখার আহমেদ ফাহামী, মাহমুদ দিদারের নাটকে তাঁর চরিত্রগুলো বেশ বৈচিত্র্যময়। বললেন, ‘কাজগুলো করতে পেরে ভালো লেগেছে। আর শুটিংয়ে তো অনেক ঘটনাই ঘটে, কোনটা রেখে কোনটা বলি! আসলে শুটিংয়ের সময় এত দৌড়ের ওপরে থাকি যে পরে আর অনেক কিছুই মনে থাকে না। তবে রাতে বাসায় পৌঁছে যখন নিজের কাছে ফিরতে পারি, তখন খুব শান্তি লাগে। এই শান্তি ক্যামেরার পেছনে ঘটে যাওয়া হসি-আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
সজলের গল্পটিই প্রথমে শোনা যাক। ঈদের জন্য আলাদাভাবে নয়, সারা বছরই কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হবে। কয়েক দিন আগে হোতাপাড়ায় আনিসুল হকের লেখা ও আশরাফি মিঠুর পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক কল্লোল-হিল্লোল-এর শুটিং করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সজলের গল্পের সূচনা। বললেন, ‘নাটকটিতে কাজ করতে গিয়ে মজার না কষ্টের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা নিয়ে একটু দ্বিধায় পড়লেন সজল। ‘এই নাটকে কল্লোল ও হিল্লোল নামে যমজ দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। নাটকের একটি দৃশ্যে আমার মিষ্টি খাওয়ার কথা। দৃশ্যটি কয়েকবারে ধারণ করা হয়। পরে দৃশ্যটি ঠিকঠাক সম্পন্ন হওয়ার পর দেখলাম, একে একে ২২টি মিষ্টি খেয়ে ফেলেছি আমি!’ শুটিংয়ে এমন মজার ঘটনার সাক্ষী মীমও। এবারের ঈদে ১২টি নাটকে কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি সাত দিনের ধারাবাহিক। মীমের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখনো তিনি শুটিং স্পটে। এক ফাঁকে বললেন, ‘দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছি না। এবার যে নাটকগুলোয় অভিনয় করেছি, তার একটির সঙ্গে আরেকটির চরিত্রের কোনো মিল নেই। এর মধ্যে যুবরাজ খানের একটি নাটক এক হাজার টাকা। এই নাটকে তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। এটি করতে গিয়ে রাতের বেলায় রাস্তায় শুটিং করতে হয়েছিল আমাদের। এক রাতের ঘটনা। নাটকে শান্তা নামে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি, আমার সঙ্গে সহ-অভিনেতা নিশো। নাটকের দৃশ্যটি এমন—কেয়ারটেকার এসে আমাদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেবে। তো, ওই কেয়ারটেকার চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি সত্যি সত্যিই একজন কেয়ারটেকার। কিন্তু আমি সেটি জানতাম না। অভিনয়ের সময় তিনি এমন হাঁকডাক করে রাস্তা থেকে আমাদের উঠিয়ে দিলেন যে, মনে হলো অভিনয় নয়, ঘটনাটি সত্যিই ঘটছে। আমি খুব ভড়কে গিয়েছিলাম। পরে ঘটনাটি যতবার মনে হয়েছে, খুব মজা পেয়েছি।’ বাবা-মাকে নিয়ে এই ঈদ দুবাইয়ে কাটানোর পরিকল্পনা মীমের। শুটিংয়ে এ রকম নানা ঘটনার স্মৃতি সজল ও মীমের চেয়ে জাহিদ হাসানের ঘটে একটু বেশিই আছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টিভির পর্দায় নানা পরিচয়ে দেখা গেছে তাঁকে—কখনো অভিনেতা, কখনো নির্মাতা। এবারের ঈদে তিনি নাটক বানিয়েছেন তিনটি।
এ ছাড়া অন্য নির্মাতার নাটকে অভিনয়ও করেছেন। ঈদ উপলক্ষে শুভবিবাহ নামে আট পর্বের ধারাবাহিক নাটক তৈরি করেছেন তিনি। এই নাটকের শুটিং হয়েছিল তাঁর নিজের শহর সিরাজগঞ্জে। শুটিংয়ের সেই স্মৃতি আওড়ে জাহিদ বললেন, ‘শুভবিবাহ করতে গিয়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একটি ঘটনা খুব মজার। নাম দেখেই বোঝা যায়, নাটকের কাহিনি বিয়েকে কেন্দ্র করে। ফলে বিয়েবাড়ির মতো করে একটি বাড়ি সাজাতে হয়েছে আমাকে। আমি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক, যাঁকে আমরা টুকু ভাই নামে ডাকি, তাঁর বাড়িতে বিয়েবাড়ির সেট ফেললাম। সেখানেই ঘটনার শুরু। সিরাজগঞ্জ মফস্বল শহর। ফলে নিমেষেই চারদিকে চাউর হয়ে গেল, মন্ত্রীর বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। লোকজন বলাবলি করতে শুরু করল, মন্ত্রীর বাড়িতে বিয়ে অথচ কাউকে দাওয়াত করল না! একসময় টুকু ভাইয়ের ছোট ভাই খুশী ভাই আমাকে বললেন, “জাহিদ, তুমি যে নাটকের শুটিং করছ, তা তো কেউ বুঝছে না। সবাই মনে করছে বিয়ে হচ্ছে কিন্তু আমরা কাউকে দাওয়াত দেইনি, দেখ তো কী কাণ্ড!”
জয়া আহসান বরাবরই কম কাজ করেন। এবারের ঈদেও নাটক করেছেন হাতেগোনা কয়েকটি। বললেন, ‘অল্প কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি। সামনে তানভীর হোসেন প্রবলের দেজবু নাটকের শুটিং রয়েছে। এবারের ঈদ ফিরে আসতেই সব ছাপিয়ে আমার কেবল বাবার কথা মনে পড়ছে। কিছুদিন আগে তাঁকে হারিয়েছি আমরা। এবারই প্রথম তাঁকে ছাড়া ঈদ করতে হবে। ঈদ উৎসবে আমার স্মৃতিকে এখন আচ্ছন্ন করে আছেন বাবা।’ বাবার কথা বলতে বলতে ক্যামেরার পেছনে ঘটে যাওয়া শুটিংয়ের স্মৃতি আর বলাই হয় না তাঁর। বললেন, ‘ঈদে বাড়িতেই থাকব। প্রথমে দেখা করতে যাব নানুর সঙ্গে। এবারের ঈদ আমার কাছে যেন হরিষে বিষাদ।’
‘আমি বাড়ির ছোট মেয়ে তো, তাই ঈদে উপহার পেতে খুব মজা লাগে।’ এভাবে শুরু করে ঈদের নাটক নিয়ে কথা বললেন সুমাইয়া শিমু। এ বছর সাত-আটটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে ফেরদৌস হাসান, ইফতেখার আহমেদ ফাহামী, মাহমুদ দিদারের নাটকে তাঁর চরিত্রগুলো বেশ বৈচিত্র্যময়। বললেন, ‘কাজগুলো করতে পেরে ভালো লেগেছে। আর শুটিংয়ে তো অনেক ঘটনাই ঘটে, কোনটা রেখে কোনটা বলি! আসলে শুটিংয়ের সময় এত দৌড়ের ওপরে থাকি যে পরে আর অনেক কিছুই মনে থাকে না। তবে রাতে বাসায় পৌঁছে যখন নিজের কাছে ফিরতে পারি, তখন খুব শান্তি লাগে। এই শান্তি ক্যামেরার পেছনে ঘটে যাওয়া হসি-আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
No comments