মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০-বন্যায় ম্যানিলার ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
ভারি বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যার কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নগরীর প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বুধবারও সেখানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।
ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় হাইকুইর প্রভাবে ম্যানিলায় গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নগরীর ৮০ শতাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বস্তিবাসীরা। সান্দো দোমিনগো এলাকার বস্তিবাসী আলতিরানো বলেন, 'বাঁচার জন্য আমরা ঘরের চালে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানে নিরাপদে থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিলাম। আমরা উদ্ধারকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে আমাদের কাছে পেঁৗছতে তারা অনেক বেশি সময় নিয়েছে।' বন্যার হাত থেকে বাঁচতে এখনো অনেকে ঘরের চালে আশ্রয় নিয়েছে। অগ্নিনির্বাপন বিভাগ জানিয়েছে, লোক ও যানবাহনস্পল্পতার কারণে উদ্ধার কাজ ঠিকমতো করা যাচ্ছে না।
খারাপ আবহাওয়া আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান বেনিতো রামোস। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'কিছু এলাকার রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। লোকজন নৌকা করে যাতায়াত করছে।'
গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ম্যানিলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেনা সদস্যরা পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু অনেকে লুটপাটের আশঙ্কায় বাড়ি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জরুরি ত্রাণকর্মীরা বন্যাদুর্গতের মাঝে খাদ্য, পানি ও কাপড় বিতরণ করেছে। সূত্র : এএফপি।
খারাপ আবহাওয়া আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান বেনিতো রামোস। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'কিছু এলাকার রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। লোকজন নৌকা করে যাতায়াত করছে।'
গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ম্যানিলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেনা সদস্যরা পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু অনেকে লুটপাটের আশঙ্কায় বাড়ি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জরুরি ত্রাণকর্মীরা বন্যাদুর্গতের মাঝে খাদ্য, পানি ও কাপড় বিতরণ করেছে। সূত্র : এএফপি।
No comments