বাপ্পার সবুজ-ভাবনা by মাহফুজ রহমান
ঘুম থেকে উঠে এসেছেন বাপ্পা মজুমদার। চোখে তখনো ঘুম লেগে আছে। দলছুটের স্টুডিওতে দেখভালের কাজ করেন লাবু। লাবুকে ডেকে বাপ্পা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোর নাকি জ্বর? এদিকে আয় তো।’ লাবু এগিয়ে গেলেন। তাঁর কপালে হাত রাখলেন বাপ্পা, ‘জ্বর তো ভালোই দেখি! ডাক্তার দেখাস না কেন! এক বছর ধরে শুনছি তোর জ্বর জ্বর! ডাক্তার দেখাবি।’ লাবুর চোখে কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা আমাদের চোখ এড়ায় না।
এরপর আমাদের মুখোমুখি বাপ্পা মজুমদার। সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নবম একক অ্যালবাম বেঁচে থাক সবুজ। বছর চার আগে সেই যে সূর্যস্নানে চল বলে ডাক দিয়ে গেলেন, মাঝে এত লম্বা বিরতি কেন? চেয়ারে আরাম করে হেলান দিয়ে বসেন বাপ্পা, ‘এই চার বছরে তো গান করেছি ঠিকই। অনেক প্রজেক্ট ছিল। এ ছাড়া দলছুটের গান করেছি। ধরে নেওয়া যায় সূর্যস্নানে চল অ্যালবামটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই এই অ্যালবামের কাজে হাত দিয়েছিলাম। বছর দুই আগেই অ্যালবামটি প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল।’ কথা ছিল, কিন্তু হয়নি কেন? বাপ্পার উত্তরে আমরা বুঝতে পারি ধরো তক্তা মারো পেরেকে বিশ্বাসী নন বারীন-পুত্র। ‘প্রায় ২০-২২টি গান করেছিলাম। কিন্তু গানগুলো কোনোভাবেই মনঃপূত হচ্ছিল না। তারপর এত দিন বাদে মনে হলো, হ্যাঁ, এখন অ্যালবাম করা যায়।’
সে হিসেবে বেঁচে থাক সবুজ অ্যালবামের গানগুলোর বয়স তাহলে কম নয়? এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো গান হলো ‘রোদের খরা’। অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে বাপ্পার নিজের অন্যতম প্রিয় এটি। বললেন গানগুলোর গান হয়ে ওঠার কথা, ‘“রোদের খরা” গানটা করেছিলাম বাপ্পা উইথ দ্য রকার্স অ্যালবামটি করার সময়। এ ছাড়া অন্য গানগুলোর বয়স কোনোটার তিন, সাড়ে তিন কিংবা দুই বছর। আর সব শেষ গান ছিল “ঘুম আসে না”।’ গানটি বাপ্পারই লেখা। নিজের লেখা গানের কথা উঠতেই আমাদের মাঝে চলে এলেন সঞ্জীব চৌধুরী। তিনি এলেন কল্পনায়। প্রতি মুহূর্তে যাঁর অভাববোধ করেন বাপ্পা, ‘প্রতিটা মুহূর্তে, প্রতিটা জায়গায় সঞ্জীব দা-র অভাববোধ করি। অন্য কারও কথা জানি না, আমার ব্যক্তিগত বোধ থেকে বলতে পারি— প্রচণ্ডরকমভাবে মিস করি দাদাকে। এই যে আমি দ্বিতীয়বারের মতো একটা গান লিখলাম। আমি জানি, দাদা থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।’
দলছুটের কথাও এল প্রসঙ্গক্রমে। ব্যান্ডের ব্যস্ততা, পরিকল্পনা নিয়ে বললেন বাপ্পা, ‘দলছুট এখন মূলত ব্যস্ত লাইভ শো নিয়ে। আগামী ১২ তারিখ প্রথমবারের মতো কলকাতা যাচ্ছি আমরা, ১৩ তারিখে শো। এরপর কাতারে যাওয়ার কথা ১৭ কিংবা ১৮ তারিখে। এ ছাড়া ঈদে দেশ টিভি, মাছরাঙা ও বৈশাখী টিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবে দলছুট।’ আর দলছুটের অ্যালবামের জন্য কত দিন অপেক্ষা করতে হবে? বাপ্পা জানালেন, ‘বছর খানেক লাগবে অ্যালবামের কাজ শুরু করতে। আমরা নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
আবার বেঁচে থাক সবুজ প্রসঙ্গ। অ্যালবামটির শিরোনাম গানটি শুনে আমাদের মনে হয়েছে, বাপ্পা একটি গাছ রোপণ করেছেন। তাঁর অনুভূতিও একই সুরে গায়, ‘ঠিক এই অনুভূতিটাই হয়েছে আমারও। যখন বলছি বেঁচে থাক সবুজ, তখন নিজের ওপরও দায়িত্ব আসে। একটা চারা রোপন করার মতো এই অনুভূতি। ওই আশাটা আছে—সবাই সবুজকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে। গানটির কথাও অসাধারণ, লিখেছেন শংকর সাঁওজাল।’ গানটি লেখা হয়েছিল অন্য একটি কারণে। কিন্তু সুর ও কম্পোজ করার সময় নিজের অ্যালবামেই গানটি রাখার চিন্তা মাথায় আসে বাপ্পার, ‘একটা সংকলনের মধ্যে থাকলে গানটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে শুনবে শ্রোতারা—এই চিন্তাটা মাথায় ছিল।’
বাপ্পা তাঁর অ্যালবামে লিখেছেন, ‘সব পরিবর্তনের সাথে নিজেকে একটু অন্যভাবে আবিষ্কার করার চেষ্টা (অথবা ব্যর্থ চেষ্টা) বেঁচে থাক সবুজ।’ কতটুকু আবিষ্কার করতে পারলেন নিজেকে? কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন বাপ্পা, তারপর বললেন, ‘এটা বলা কঠিন। এটা বুঝতে হলেও কিছুটা সময় দিতে হবে আসলে।’ গানের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন? ‘চেষ্টা ছিল। আগের অ্যালবামগুলো থেকে আলাদা কাজ করতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সে জায়গায় কিছুটা হলেও সফল আমি। যেমন “রোদের খরা” গানটির যে কম্পোজিশন, তা আগে চিন্তাও করিনি।’ বলছিলেন বাপ্পা।
সেই সূত্রে আমরা যোগ করি অ্যালবামের শেষ গান, রবীন্দ্রসংগীত ‘তুমি রবে নীরবে’র কথা। কদিন আগেই মা ইলা মজুমদারকে হারিয়েছেন এই শিল্পী। অ্যালবামে লিখেছেন, ‘মা খুব চাইতেন আমি কিছু রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করি। কখনো সাহস করিনি। কারণ, বরাবরই আমার মনে হয়, আমি রবিঠাকুরের গান গাইবার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নই।...মাকে উৎসর্গ করেই গাওয়া রবিঠাকুরের সেই গান, “তুমি রবে নীরবে...”’।
সে হিসেবে বেঁচে থাক সবুজ অ্যালবামের গানগুলোর বয়স তাহলে কম নয়? এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো গান হলো ‘রোদের খরা’। অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে বাপ্পার নিজের অন্যতম প্রিয় এটি। বললেন গানগুলোর গান হয়ে ওঠার কথা, ‘“রোদের খরা” গানটা করেছিলাম বাপ্পা উইথ দ্য রকার্স অ্যালবামটি করার সময়। এ ছাড়া অন্য গানগুলোর বয়স কোনোটার তিন, সাড়ে তিন কিংবা দুই বছর। আর সব শেষ গান ছিল “ঘুম আসে না”।’ গানটি বাপ্পারই লেখা। নিজের লেখা গানের কথা উঠতেই আমাদের মাঝে চলে এলেন সঞ্জীব চৌধুরী। তিনি এলেন কল্পনায়। প্রতি মুহূর্তে যাঁর অভাববোধ করেন বাপ্পা, ‘প্রতিটা মুহূর্তে, প্রতিটা জায়গায় সঞ্জীব দা-র অভাববোধ করি। অন্য কারও কথা জানি না, আমার ব্যক্তিগত বোধ থেকে বলতে পারি— প্রচণ্ডরকমভাবে মিস করি দাদাকে। এই যে আমি দ্বিতীয়বারের মতো একটা গান লিখলাম। আমি জানি, দাদা থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।’
দলছুটের কথাও এল প্রসঙ্গক্রমে। ব্যান্ডের ব্যস্ততা, পরিকল্পনা নিয়ে বললেন বাপ্পা, ‘দলছুট এখন মূলত ব্যস্ত লাইভ শো নিয়ে। আগামী ১২ তারিখ প্রথমবারের মতো কলকাতা যাচ্ছি আমরা, ১৩ তারিখে শো। এরপর কাতারে যাওয়ার কথা ১৭ কিংবা ১৮ তারিখে। এ ছাড়া ঈদে দেশ টিভি, মাছরাঙা ও বৈশাখী টিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবে দলছুট।’ আর দলছুটের অ্যালবামের জন্য কত দিন অপেক্ষা করতে হবে? বাপ্পা জানালেন, ‘বছর খানেক লাগবে অ্যালবামের কাজ শুরু করতে। আমরা নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
আবার বেঁচে থাক সবুজ প্রসঙ্গ। অ্যালবামটির শিরোনাম গানটি শুনে আমাদের মনে হয়েছে, বাপ্পা একটি গাছ রোপণ করেছেন। তাঁর অনুভূতিও একই সুরে গায়, ‘ঠিক এই অনুভূতিটাই হয়েছে আমারও। যখন বলছি বেঁচে থাক সবুজ, তখন নিজের ওপরও দায়িত্ব আসে। একটা চারা রোপন করার মতো এই অনুভূতি। ওই আশাটা আছে—সবাই সবুজকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে। গানটির কথাও অসাধারণ, লিখেছেন শংকর সাঁওজাল।’ গানটি লেখা হয়েছিল অন্য একটি কারণে। কিন্তু সুর ও কম্পোজ করার সময় নিজের অ্যালবামেই গানটি রাখার চিন্তা মাথায় আসে বাপ্পার, ‘একটা সংকলনের মধ্যে থাকলে গানটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে শুনবে শ্রোতারা—এই চিন্তাটা মাথায় ছিল।’
বাপ্পা তাঁর অ্যালবামে লিখেছেন, ‘সব পরিবর্তনের সাথে নিজেকে একটু অন্যভাবে আবিষ্কার করার চেষ্টা (অথবা ব্যর্থ চেষ্টা) বেঁচে থাক সবুজ।’ কতটুকু আবিষ্কার করতে পারলেন নিজেকে? কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন বাপ্পা, তারপর বললেন, ‘এটা বলা কঠিন। এটা বুঝতে হলেও কিছুটা সময় দিতে হবে আসলে।’ গানের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন? ‘চেষ্টা ছিল। আগের অ্যালবামগুলো থেকে আলাদা কাজ করতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সে জায়গায় কিছুটা হলেও সফল আমি। যেমন “রোদের খরা” গানটির যে কম্পোজিশন, তা আগে চিন্তাও করিনি।’ বলছিলেন বাপ্পা।
সেই সূত্রে আমরা যোগ করি অ্যালবামের শেষ গান, রবীন্দ্রসংগীত ‘তুমি রবে নীরবে’র কথা। কদিন আগেই মা ইলা মজুমদারকে হারিয়েছেন এই শিল্পী। অ্যালবামে লিখেছেন, ‘মা খুব চাইতেন আমি কিছু রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করি। কখনো সাহস করিনি। কারণ, বরাবরই আমার মনে হয়, আমি রবিঠাকুরের গান গাইবার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নই।...মাকে উৎসর্গ করেই গাওয়া রবিঠাকুরের সেই গান, “তুমি রবে নীরবে...”’।
No comments