পামের বন ছিল অ্যান্টার্কটিকায়!
প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগের কথা। অ্যান্টার্কটিকার উপকূলের বাতাস পাম গাছের বনে নাচন তুলত। মহাসাগরের নীলজল উপকূলে আছড়ে পড়ত। বছরের সবচেয়ে শীতল দিনের তাপমাত্রাও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকত। কিন্তু কালের আবর্তে সেই অ্যান্টার্কটিকাই পুরু বরফের স্তরে ঢাকা পড়ে। ভূমিতে প্রাণের সব চিহ্নই মুছে যায়।
অ্যান্টার্কটিকার মাটির প্রায় এক কিলোমিটার গভীরে খনন চালিয়ে পাওয়া নমুনা দেখে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এই অনুসন্ধান ভবিষ্যৎ জলবায়ুর প্রকৃতি গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত করবে বলেও আশা করছেন তাঁরা।
ইন্টিগ্রেটেড ওশান ড্রিলিং রিসার্চ প্রোগ্রামের (আইওডিপি) গবেষকরা সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব উপকূলে উইলকস ল্যান্ডে অনুসন্ধান চালান। সমুদ্রতলের এক কিলোমিটার গভীরে খনন কাজ চালান তাঁরা। ভূগর্ভস্থ পলি থেকে পামজাতীয় গাছের পুষ্পরেণু উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। পামগাছগুলো ছিল বাওবাব এবং ম্যাকাডেমিয়া জাতীয় গাছের নিকট-প্রজাতির। পলিতে এককোষী প্রাণী আরকিয়ার অবশেষও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, পারিপার্শিক তাপমাত্রার কারণে পুষ্পরেণু ও আরকিয়ার কোষের দেয়ালে যেসব আণবিক পরিবর্তন ঘটেছিল, সেগুলোর কাঠামো এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কোষগুলো প্রায় পাঁচ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে মাটিতে চাপা পড়ে। ন্যাচার সাময়িকীতে সম্প্রতি গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
সমুদ্রতলের পলিতে পাওয়া নমুনাগুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পাঁচ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে ইয়োসিন যুগে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা এখনকার মতো হীমশীতল ছিল না। এমনকি বছরের শীতলতম সময়েও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামত না। গ্রীষ্মকালে দিনের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থান করত। উপকূলের নিচু এলাকায় প্রচুর পামগাছ ছিল। আর উপকূল থেকে ভেতরের দিকে বিচ ও কনিফার জাতীয় গাছের প্রাচুর্য ছিল। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও এখনকার চেয়ে অনেক বেশি ছিল তখন। এখন বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ যেখানে ৩৯০ পিপিএম, সেখানে ইয়োসিন যুগে এই পরিমাণ ছিল ৬০০ পিপিএম।
গবেষকরা জানান, প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ বছর আগে শীতল হতে শুরু করে অঞ্চলটি। একপর্যায়ে অ্যান্টার্কটিকার ভূ-পৃষ্ঠে কয়েক কিলোমিটার পুরো বরফ জমে যায়। আগের প্রাণের সব চিহ্নই মুছে যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ও গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস বেন্ডল বলেন, 'গবেষণায় যে বার্তা পাওয়া গেছে তা যুক্তিসঙ্গত। ইয়োসিন যুগে প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি ছিল। মানুষের তৎপরতায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও বন উজাড় করার কারণে বিশ্বে কার্বন নির্গমন বাড়ছে। তবে এখনো ইয়োসিন যুগের মাত্রায় পেঁৗছায়নি। তবে এই মাত্রা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে। অ্যান্টার্কটিকা এখন বরফে ঢাকা। তাই তাপমাত্রা বাড়লে পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে।' সূত্র : বিবিসি।
ইন্টিগ্রেটেড ওশান ড্রিলিং রিসার্চ প্রোগ্রামের (আইওডিপি) গবেষকরা সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব উপকূলে উইলকস ল্যান্ডে অনুসন্ধান চালান। সমুদ্রতলের এক কিলোমিটার গভীরে খনন কাজ চালান তাঁরা। ভূগর্ভস্থ পলি থেকে পামজাতীয় গাছের পুষ্পরেণু উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। পামগাছগুলো ছিল বাওবাব এবং ম্যাকাডেমিয়া জাতীয় গাছের নিকট-প্রজাতির। পলিতে এককোষী প্রাণী আরকিয়ার অবশেষও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, পারিপার্শিক তাপমাত্রার কারণে পুষ্পরেণু ও আরকিয়ার কোষের দেয়ালে যেসব আণবিক পরিবর্তন ঘটেছিল, সেগুলোর কাঠামো এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কোষগুলো প্রায় পাঁচ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে মাটিতে চাপা পড়ে। ন্যাচার সাময়িকীতে সম্প্রতি গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
সমুদ্রতলের পলিতে পাওয়া নমুনাগুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পাঁচ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে ইয়োসিন যুগে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা এখনকার মতো হীমশীতল ছিল না। এমনকি বছরের শীতলতম সময়েও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামত না। গ্রীষ্মকালে দিনের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থান করত। উপকূলের নিচু এলাকায় প্রচুর পামগাছ ছিল। আর উপকূল থেকে ভেতরের দিকে বিচ ও কনিফার জাতীয় গাছের প্রাচুর্য ছিল। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও এখনকার চেয়ে অনেক বেশি ছিল তখন। এখন বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ যেখানে ৩৯০ পিপিএম, সেখানে ইয়োসিন যুগে এই পরিমাণ ছিল ৬০০ পিপিএম।
গবেষকরা জানান, প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ বছর আগে শীতল হতে শুরু করে অঞ্চলটি। একপর্যায়ে অ্যান্টার্কটিকার ভূ-পৃষ্ঠে কয়েক কিলোমিটার পুরো বরফ জমে যায়। আগের প্রাণের সব চিহ্নই মুছে যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ও গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস বেন্ডল বলেন, 'গবেষণায় যে বার্তা পাওয়া গেছে তা যুক্তিসঙ্গত। ইয়োসিন যুগে প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি ছিল। মানুষের তৎপরতায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও বন উজাড় করার কারণে বিশ্বে কার্বন নির্গমন বাড়ছে। তবে এখনো ইয়োসিন যুগের মাত্রায় পেঁৗছায়নি। তবে এই মাত্রা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে। অ্যান্টার্কটিকা এখন বরফে ঢাকা। তাই তাপমাত্রা বাড়লে পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে।' সূত্র : বিবিসি।
No comments