‘জিসম টু’ হিট
জিসম টু’র কোন জিনিসটা নিয়ে আর আলোচনা হতে বাকি আছে? কাস্টিং থেকে শুরু করে নির্মাণ, গল্প এমনকি ছবির নাম নিয়েও তুমুল বিতর্ক চলছে পুরো ইন্ডিয়াজুড়ে। সর্বশেষ প্রায় অর্ধনগ্ন ছবি সংবলিত পোস্টার রিলিজ করে সমালোচনাকে আরও একটু উস্কে দিয়েছিলেন প্রযোজনা কর্তৃপক্ষ।
অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত ঐ পোস্টারটি নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া যেমন চলছিল, তেমনি অনেকে উঠে পড়ে লেগেছিলেন ছবির রিলিজ আটকে দেবার জন্য। সব সমালোচনাই জিসম টু’র জন্য মঙ্গল হয়ে দেখা দিয়েছে, প্রচারণার গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। ফল হিসেবে, মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি আয় করেছে সাড়ে সাত কোটি রুপী। সব বিতর্ক আর সমালোচনা গলে গলে তরল হয়ে পড়েছে জিসম টু’র সফলতার কাছে। অনেকেই মনে করছেন, আয়ের দিক থেকে বলিউডে এ ছবিটি নতুন ইতিহাস গড়তে পারে। জিসম টু’ তে ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নোতারকা সানি লিওনের অসাধারণ পারফরমেন্স পুরো ইন্ডিয়াবাসীকে এক রকম ‘ক্রেজি’ করে রেখেছে বলা যায়।
ছবিটি নিয়ে অনেক আগেই আলোচনা পুঞ্জিভূত হচ্ছিল। ‘জিসম’ সিক্যুয়ালের প্রথম ছবিটি মুক্তি পায় প্রায় ৯ বছর আগে। আব্রাহাম আর বিপাশার ‘সেক্সি’ আবেদনের বদৌলতে সেটি পায় দারুণ জনপ্রিয়তা। ‘জিসম’ নির্মাণ করেছিলেন মহেশ ভাট। তারই মেয়ে পূজা ভাট সিরিজের দ্বিতীয় ছবি বানাতে যাচ্ছেন এবং সেখানে নায়িকা হচ্ছেন পৃথিবীখ্যাত পর্নোস্টার সানি লিওন! খবরটি পেয়ে বেশ নড়ে চড়ে উঠতে শুরু করে মিডিয়াগুলো। কোন পর্নোস্টারের এটা বলিউডে প্রথম অভিনয় হওয়ায় ছবিটির সফলতা নিয়ে ইতিবাচক আশাই করেছিলেন সবাই। কয়েক মাস আগে জিসম টু’র গানগুলো রিলিজ হওয়ার পর সে আশা বাস্তবে ফিরতে শুরু করে, এক রকম সুড়সুড়ি অনুভব করে ইন্ডিয়ার তরুণ প্রজন্ম। সানি লিওনের যৌন আবেদনমাখা চাহনি সবার ঘুম যেন কেড়ে নেয় একপ্রকারে। বলতে গেলে, জিসম টু’র রিলিজের জন্য মুখিয়েই ছিল তারা। তা না হলে প্রথম দিনেই এমন সফলতা এর আগের চলচ্চিত্রগুলো খুব কমই দেখতে পেরেছে। তবে সমালোচনার দিক থেকেও এটি সর্বোচ্চ অবস্থানে বলা যায়। একে তো অ্যাডাল্ট মুভির সিল গায়ে মারা, অন্যদিকে পর্নোস্টার। ভারতের
সুধীমহল তাই বেশ শঙ্কিতই ছিলেন এই ভেবে যে, এবার বুঝি যৌনতার ছড়াছড়ির আর কিছু বাকি থাকল না। কিন্তু রিলিজ হওয়ার পর দেখা গেল, চিত্রায়ন আর পরিচালনায় বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন পূজা ভাট। একদম পর্নো মুভির স্তরেও পৌঁছে যায়নি, আবার অ্যাডাল্ট নামকরণও সার্থক। ফলাফল, হলো ভর্তি দর্শক। শুধু ইন্ডিয়া নয়, পুরো উপমহাদেশে প্রতিদিন কোটি কোটি বার ইন্টারনেটে ‘সার্চ’ চলছে জিসম টু’র প্রমো আর গান ডাউনলোডের জন্য।
যত কথা বলা হোক না কেন, এটা স্বীকার করতেই হবে যে, ‘জিসম টু’ হিটের প্রধান কৃতিত্বটি সানি লিওনের। ক্ষণে ক্ষণে আবেদনময়ী শরীরের শৈল্পিক প্রদর্শন আর অনস্ক্রিন রোমান্স দর্শকদের চিন্তাশক্তি ‘হ্যাং’ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কাহিনীর প্রসঙ্গ টানলে বলতে হবে, সেদিক দিয়ে মোটেই আলাদা গোছের কিছু নয় ছবিটি। শীর্ষ এক সন্ত্রাসীকে ধরতে পুলিশ ভাড়া করে আনবে এক পর্নোস্টারকে। যে যৌনতার মায়াজালে ঘায়েল করতে চেষ্টা করবে সন্ত্রাসীকে। অতি সাধারণ কাহিনী। সত্য কথা বলতে গেলে, শরীর প্রদর্শন আর অন্তরঙ্গ মেলামেশাকে উপজীব্য করে সাধারণ এ কাহিনীটাকে অসাধারণ করে তুলতে চেষ্টা করা হয়েছে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে।
সেদিক দিয়ে পরিচালক-প্রযোজনা কর্তৃপক্ষ দারুণ সফল। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, অ্যাডাল্ট মুভির নামে ‘জিসম টু’ যে ধারাটি বলিউডে চালু করল, সেটি যদি ভবিষ্যতে স্থায়ী হয়ে যায় তবে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হতে বেশিদিন লাগার কথা নয়!
আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
ছবিটি নিয়ে অনেক আগেই আলোচনা পুঞ্জিভূত হচ্ছিল। ‘জিসম’ সিক্যুয়ালের প্রথম ছবিটি মুক্তি পায় প্রায় ৯ বছর আগে। আব্রাহাম আর বিপাশার ‘সেক্সি’ আবেদনের বদৌলতে সেটি পায় দারুণ জনপ্রিয়তা। ‘জিসম’ নির্মাণ করেছিলেন মহেশ ভাট। তারই মেয়ে পূজা ভাট সিরিজের দ্বিতীয় ছবি বানাতে যাচ্ছেন এবং সেখানে নায়িকা হচ্ছেন পৃথিবীখ্যাত পর্নোস্টার সানি লিওন! খবরটি পেয়ে বেশ নড়ে চড়ে উঠতে শুরু করে মিডিয়াগুলো। কোন পর্নোস্টারের এটা বলিউডে প্রথম অভিনয় হওয়ায় ছবিটির সফলতা নিয়ে ইতিবাচক আশাই করেছিলেন সবাই। কয়েক মাস আগে জিসম টু’র গানগুলো রিলিজ হওয়ার পর সে আশা বাস্তবে ফিরতে শুরু করে, এক রকম সুড়সুড়ি অনুভব করে ইন্ডিয়ার তরুণ প্রজন্ম। সানি লিওনের যৌন আবেদনমাখা চাহনি সবার ঘুম যেন কেড়ে নেয় একপ্রকারে। বলতে গেলে, জিসম টু’র রিলিজের জন্য মুখিয়েই ছিল তারা। তা না হলে প্রথম দিনেই এমন সফলতা এর আগের চলচ্চিত্রগুলো খুব কমই দেখতে পেরেছে। তবে সমালোচনার দিক থেকেও এটি সর্বোচ্চ অবস্থানে বলা যায়। একে তো অ্যাডাল্ট মুভির সিল গায়ে মারা, অন্যদিকে পর্নোস্টার। ভারতের
সুধীমহল তাই বেশ শঙ্কিতই ছিলেন এই ভেবে যে, এবার বুঝি যৌনতার ছড়াছড়ির আর কিছু বাকি থাকল না। কিন্তু রিলিজ হওয়ার পর দেখা গেল, চিত্রায়ন আর পরিচালনায় বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন পূজা ভাট। একদম পর্নো মুভির স্তরেও পৌঁছে যায়নি, আবার অ্যাডাল্ট নামকরণও সার্থক। ফলাফল, হলো ভর্তি দর্শক। শুধু ইন্ডিয়া নয়, পুরো উপমহাদেশে প্রতিদিন কোটি কোটি বার ইন্টারনেটে ‘সার্চ’ চলছে জিসম টু’র প্রমো আর গান ডাউনলোডের জন্য।
যত কথা বলা হোক না কেন, এটা স্বীকার করতেই হবে যে, ‘জিসম টু’ হিটের প্রধান কৃতিত্বটি সানি লিওনের। ক্ষণে ক্ষণে আবেদনময়ী শরীরের শৈল্পিক প্রদর্শন আর অনস্ক্রিন রোমান্স দর্শকদের চিন্তাশক্তি ‘হ্যাং’ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কাহিনীর প্রসঙ্গ টানলে বলতে হবে, সেদিক দিয়ে মোটেই আলাদা গোছের কিছু নয় ছবিটি। শীর্ষ এক সন্ত্রাসীকে ধরতে পুলিশ ভাড়া করে আনবে এক পর্নোস্টারকে। যে যৌনতার মায়াজালে ঘায়েল করতে চেষ্টা করবে সন্ত্রাসীকে। অতি সাধারণ কাহিনী। সত্য কথা বলতে গেলে, শরীর প্রদর্শন আর অন্তরঙ্গ মেলামেশাকে উপজীব্য করে সাধারণ এ কাহিনীটাকে অসাধারণ করে তুলতে চেষ্টা করা হয়েছে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে।
সেদিক দিয়ে পরিচালক-প্রযোজনা কর্তৃপক্ষ দারুণ সফল। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, অ্যাডাল্ট মুভির নামে ‘জিসম টু’ যে ধারাটি বলিউডে চালু করল, সেটি যদি ভবিষ্যতে স্থায়ী হয়ে যায় তবে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হতে বেশিদিন লাগার কথা নয়!
আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
No comments