সিনাইয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীর হামলায় ২০ জঙ্গি নিহত
মিসরীয় সেনাবাহিনীর হামলায় সিনাই উপদ্বীপে সন্দেহভাজন ২০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে মিসরের সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা আল আহরাম গতকাল বুধবার এই তথ্য জানায়। গত রবিবার জঙ্গি হামলায় ১৬ মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে গতকালের হামলা চালানো হয়।
১৯৭৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর সিনাইতে মিসরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটি।
মিসরের সেনাবাহিনী জানায়, সিনাইয়ের তুমাহ গ্রামে হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে হামলা চালিয়ে তারা ২০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে। গত রবিবার জঙ্গি হামলায় ১৬ সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। সিনাইয়ের এক সেনা কমান্ডার বলেন, 'আমরা সফলভাবে তুমাহতে প্রবেশ করেছি। ২০ জঙ্গিকে হত্যা এবং তিনটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে।' মিসরীয় সেনারা আল-আরিশের পূর্বাঞ্চলীয় শেখ জুয়াইদ শহরেও হেলিকপ্টার হামলা চালিয়েছে।
গত রবিবার সিনাইয়ের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী আল-আরিশ শহরের একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে জঙ্গিরা হামলা চালায় এবং ১৬ সীমান্তরক্ষীকে হত্যা করে। ফাঁড়ির একটি সামরিক যান নিয়ে জঙ্গিরা ইসরায়েল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আট জঙ্গি নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করে। তবে ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান এবং আল-কায়েদাকে দায়ী করে। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি। হামলার পর মিসর গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
গতকাল ভোররাতে মিসরীয় সেনারা যখন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন আল-আরিশের চারটি সেনা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। গত বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের পর থেকে নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে অহরহই হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলা বেড়ে যাওয়ায় এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দল উত্তর সিনাইয়ের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেওয়ার পর মিসরের সেনা ও পুলিশ বাহিনী যৌথ অভিযান হাতে নেয়। ইসরায়েলের অনুমোদন সাপেক্ষে সিনাইতে সেনা উপস্থিতিও বাড়ানো হয়। কয়েকটি ইসলামপন্থী জঙ্গিদলের নেতাকে গ্রেপ্তার করার পরও তাদের প্রতিহত করা যায়নি। জঙ্গিরা মাঝেমধ্যে ইসরায়েলেও রকেট হামলা করে আসছে।
সিনাইয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীর হামলাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমোস গিলাদ বলেন, 'সিনাইয়ের দায়িত্ব শুধু মিসরের এবং সেখানে সন্ত্রাস দমনের জন্য তারা সবকিছুই করতে পারে। আজকের হামলার সাফল্য ভবিষ্যতে আরো বড় হামলাকে প্রতিহত করবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
মিসরের সেনাবাহিনী জানায়, সিনাইয়ের তুমাহ গ্রামে হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে হামলা চালিয়ে তারা ২০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে। গত রবিবার জঙ্গি হামলায় ১৬ সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। সিনাইয়ের এক সেনা কমান্ডার বলেন, 'আমরা সফলভাবে তুমাহতে প্রবেশ করেছি। ২০ জঙ্গিকে হত্যা এবং তিনটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে।' মিসরীয় সেনারা আল-আরিশের পূর্বাঞ্চলীয় শেখ জুয়াইদ শহরেও হেলিকপ্টার হামলা চালিয়েছে।
গত রবিবার সিনাইয়ের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী আল-আরিশ শহরের একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে জঙ্গিরা হামলা চালায় এবং ১৬ সীমান্তরক্ষীকে হত্যা করে। ফাঁড়ির একটি সামরিক যান নিয়ে জঙ্গিরা ইসরায়েল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আট জঙ্গি নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করে। তবে ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান এবং আল-কায়েদাকে দায়ী করে। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি। হামলার পর মিসর গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
গতকাল ভোররাতে মিসরীয় সেনারা যখন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন আল-আরিশের চারটি সেনা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। গত বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের পর থেকে নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে অহরহই হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলা বেড়ে যাওয়ায় এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দল উত্তর সিনাইয়ের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেওয়ার পর মিসরের সেনা ও পুলিশ বাহিনী যৌথ অভিযান হাতে নেয়। ইসরায়েলের অনুমোদন সাপেক্ষে সিনাইতে সেনা উপস্থিতিও বাড়ানো হয়। কয়েকটি ইসলামপন্থী জঙ্গিদলের নেতাকে গ্রেপ্তার করার পরও তাদের প্রতিহত করা যায়নি। জঙ্গিরা মাঝেমধ্যে ইসরায়েলেও রকেট হামলা করে আসছে।
সিনাইয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীর হামলাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমোস গিলাদ বলেন, 'সিনাইয়ের দায়িত্ব শুধু মিসরের এবং সেখানে সন্ত্রাস দমনের জন্য তারা সবকিছুই করতে পারে। আজকের হামলার সাফল্য ভবিষ্যতে আরো বড় হামলাকে প্রতিহত করবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments