১৫ রফতানি খাতে ৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রণোদনা-১ জুলাই থেকে কার্যকর by শাহ আলম খান
চলতি (২০১২-১৩) অর্থবছরের জন্য রফতানি খাতে সরকারের প্রদেয় নগদ সহায়তা ও ভর্র্তুকি প্রদানের হার ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অগ্রাধিকার বিবেচনায় রফতানির ১৫টি খাতকে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি প্রদানের আওতায় আনা হয়েছে।
এসব খাতে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নীতিগত সহায়তা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন পণ্য নতুন বাজার (বস্ত্র খাত) সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা, ইইউ ব্যতীত) হিসেবে ২ শতাংশ হারে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে রফতানি খাতে সরকারের নগদ সহায়তা ও ভর্তূকী প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হয়েছে এমন রফতানি খাতগুলোকে চিহ্নিতকরণ ও এর বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি প্রদানের নির্ধারিত হারও উল্লেখ করা হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এসব রফতানি পণ্যের রফতানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি প্রাপ্তির সুবিধা চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে কার্যকর এবং তা আগামী ২০১৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, রফতানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা সংক্রান্ত সকল এফই সার্কুলার বা সার্কুলার পত্রের শর্তাবলী যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনের সূচনা বক্তব্যে বলা হয়েছে, দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার পূর্ববর্তী বছরসমূহের ন্যায় চলতি ২০১২-২০১৩ অর্থবছরেও কতিপয় পণ্য রফতানি খাতে রফতানি ভর্তুকি নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আনুপাতিকহারে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে এমন খাতগুলো হচ্ছে রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৫ শতাংশ, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতের তৈরি পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫-২০ শতাংশ, কৃষি পণ্য (শাকসবজি বা ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাত (এগ্রোপ্রসেসিং) কৃষিপণ্য রফতানি খাতে রফতানি ভর্তুকি ২০ শতাংশ, হাড়ের গুঁড়া রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য রফতানি খাতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, ঈশ্বরদী ইপিজেডে কৃষিভিত্তিক শিল্প বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে লিকুইড গ্লুকোজ রফতানি খাতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রফতানি খাতে ভতুর্কি ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ, চামড়াজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, জাহাজ রফতানির বিপরীতে রফতানি ভতুর্কি ৫ শতাংশ, নতুন পণ্য নতুন বাজার (বস্ত্র খাত) সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা, ইইউ ব্যতীত) ২ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মের) ৫ শতাংশ, আলু রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্ল্যাক্স রফতানির বিপরীতে রফতানি ভতুর্কি ১০ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ ভর্তুতি ১০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক আগে থেকেই সরকারের কাছে রফতানির পরিমাণ ও রফতানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে রফতানি খাতের গতিশীলতা জোরদারের সুপারিশ করে আসছিল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও সদা প্রস্তুত ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রানীত বিভাগের ওই কর্মকর্তা মনে করেন, সরকার সঠিক সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে রফতানিকারকরা যেমন উৎসাহিত হবেন, তেমনি রফতানির পরিমাণও বাড়বে যার মাধ্যমে রফতানি আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
প্রজ্ঞাপনের সূচনা বক্তব্যে বলা হয়েছে, দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার পূর্ববর্তী বছরসমূহের ন্যায় চলতি ২০১২-২০১৩ অর্থবছরেও কতিপয় পণ্য রফতানি খাতে রফতানি ভর্তুকি নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আনুপাতিকহারে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে এমন খাতগুলো হচ্ছে রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৫ শতাংশ, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতের তৈরি পণ্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫-২০ শতাংশ, কৃষি পণ্য (শাকসবজি বা ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাত (এগ্রোপ্রসেসিং) কৃষিপণ্য রফতানি খাতে রফতানি ভর্তুকি ২০ শতাংশ, হাড়ের গুঁড়া রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য রফতানি খাতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, ঈশ্বরদী ইপিজেডে কৃষিভিত্তিক শিল্প বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে লিকুইড গ্লুকোজ রফতানি খাতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রফতানি খাতে ভতুর্কি ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ, চামড়াজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, জাহাজ রফতানির বিপরীতে রফতানি ভতুর্কি ৫ শতাংশ, নতুন পণ্য নতুন বাজার (বস্ত্র খাত) সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা, ইইউ ব্যতীত) ২ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মের) ৫ শতাংশ, আলু রফতানি খাতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্ল্যাক্স রফতানির বিপরীতে রফতানি ভতুর্কি ১০ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্যাদি রফতানি খাতে নগদ ভর্তুতি ১০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক আগে থেকেই সরকারের কাছে রফতানির পরিমাণ ও রফতানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে রফতানি খাতের গতিশীলতা জোরদারের সুপারিশ করে আসছিল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও সদা প্রস্তুত ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রানীত বিভাগের ওই কর্মকর্তা মনে করেন, সরকার সঠিক সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে রফতানিকারকরা যেমন উৎসাহিত হবেন, তেমনি রফতানির পরিমাণও বাড়বে যার মাধ্যমে রফতানি আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
No comments