আমাদের নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে
১৮ জুন, সোমবার। স্থানীয় সময় ঠিক ১২টা ১০ মিনিটে আমাদের উড়োজাহাজ দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল। আমরা বিমান থেকে নেমে বাসে করে টার্মিনালে এলাম। দুই ধরনের যাত্রী এসেছে এ বিমানে করে। যারা দুবাই শহরে ঢুকবে তাদের জন্য এক পথ, আর যারা ট্রানজিট যাত্রী অর্থাৎ এখান থেকে অন্য দেশে যাবে, তাদের পথ ভিন্ন।
ট্রানজিট যাত্রীদের সেই ভিন্ন পথে আবার এয়ারপোর্ট টার্মিনালে ঢুকতে হবে। দুবাই এয়ারপোর্টের টার্মিনালে ঢোকাটা অন্যান্য এয়ারপোর্টের চেয়ে কঠিন। খুব কম এয়ারপোর্টেই জুতা খুলে তবে সিকিউরিটি চেক করতে হয়। কিন্তু দুবাই এয়ারপোর্টে এটা বাধ্যতামূলক। জুতা, ঘড়ি, বেল্ট সব খুলে তবেই নিরাপত্তা আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করে নিজেকে প্রমাণ করতে হয় আমি তোমাদের জন্য নিরাপদ। তবেই তারা ক্ষান্ত হয়। এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত হয়রানি চলতে থাকে।
আগে থেকে জানার কারণে আগেভাগেই সব খুলে লাগেজে দিয়ে তবে আর্চওয়ে ঢুকলাম। আর্চওয়ে বেটা নিশ্চুপই রইল। ফলে আমিও হয়রানি থেকে বেঁচে গেলাম। ভেতরে গিয়ে সব লাগেজ ও জুতা নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। এই জুতা খোলার কারণে মোজার গন্ধে বিশ্রি অবস্থা। কারণ দুবাই যারা এসেছে তাদের বেশিরভাগই শ্রমিকশ্রেণীর। ফলে মোজার ব্যাপারে তাদের অত সচেতনতা থাকার কথা নয়। ঘটনাই তাই ঘটেছে। কিন্তু তাতে কার কি আসে যায়। কিন্তু জুতার ভেতরে যদি গোপনে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকে যায়, তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?
একটু এগিয়ে গিয়ে খালি চেয়ারে বসে জুতা পরে নিলাম। লাগেজ নিয়ে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে উপরে উঠে এলাম। যাত্রী যারা উপরে উঠে আসছে তারা প্রথমেই দাঁড়াচ্ছে বিশাল মনিটরের সামনে। ওখানেই ভেসে উঠছে বিভিন্ন গন্তব্যের ফ্লাইট সিডিউল। আমিও এক মিনিট দাঁড়িয়ে আমার গেট নম্বর জানার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তখনও গেট নম্বর দেয়া হয়নি। আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট সেই সকাল ৭টায়। এ কারণেই হয়ত আমাদের রিওগামী ফ্লাইটের গেট নম্বর এখনও দেয়া হয়নি।
হাতে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়। এ সময় এয়ারপোর্টেই ঘুরে ঘুরে কাটাতে হবে। তাই বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে। মধ্যরাত হলে কি হবে পুরো এয়ারপোর্ট জনাকীর্ণ। মানুষে গিজগিজ করছে। বিশ্রামের চেয়ারগুলোও ফাঁকা নেই। রেস্টুরেন্ট, শপিংমল সবই মানুষে ঠাসা। চারদিকে আলোর ঝলকানি। ভেতরে বসে বোঝার উপায় নেই দিন না রাত।
এয়ারপোর্টের ভেতরেই কৃত্রিম পানির ফোয়ারা, মরুভূমি, বন তৈরি করা হয়েছে মানুষের বিনোদনের জন্য। প্রচুর মানুষ ওখানে বসে সময় কাটাচ্ছে, স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ছবি তুলে নিচ্ছে। আমিও তাই করলাম।
বিশাল এয়ারপোর্ট। আট হাজার ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত এ বিমান বন্দরে তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। এখনই এমাথা থেকে ওমাথা যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। তাতেও যাত্রী সামাল দেয়া যাচ্ছে না। ২০১১ সালেই প্রায় ছয় কোটি যাত্রী এ এয়ারপোর্ট দিয়ে আসা-যাওয়া করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রধান সংযোগ বিমান বন্দর হচ্ছে দুবাই। এই এয়ারপোর্টের মাধ্যমে বর্তমানে শুধু মধ্যাপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরাই আসা-যাওয়া করে না, বিশ্বের ২১৫টি গন্তব্যের যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। একমাত্র এন্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বে সব ক’টি মহাদেশে বিশ্বের ১৩০টি এয়ারলাইন্স এই এয়ারপোর্টের মাধ্যমে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে। প্রতিসপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালিত হয় ছয় হাজারেরও বেশি। এই ব্যস্ততার কারণে বর্তমানে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বিশ্বের সপ্তম ব্যস্ততম এয়ারপোর্টে পরিণত হয়েছে। অথচ নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এ এয়ারপোর্ট ছিল ছোট্ট পরিসরের একটি দ্বিতল ভবন মাত্র।
ঘুরতে ঘুরতেই এয়ারপোর্টে পাঁচ নারী শ্রমিকের দেখা মিলল। ওদের কারও হাতে উড়োজাহাজ থেকে আনা পাউরুটি, কারও হাতে পানি। তাই তারা খাচ্ছে। এক মেয়ে বলল, উড়োজাহাজের খাবার তাদের ভাল লাগেনি। কারণ তাতে কোন মসলা ছিল না। ফলে তারা কেউ খেতে পারেনি। বললাম, বিদেশের খাবার এমনই হয়। ওসবই খেতে হয়। তা না হলে খিধেয় মরতে হবে।
ওরা ঢাকা থেকে এসেছে জর্র্দান যাবে বাসাবাড়িতে কাজ করতে। থাকা-খাওয়া ফ্রি। মাসিক বেতন ২০০ ডলার। তারা সকলেই জীবনে প্রথম বিদেশে এসেছে। কেউ আবার লেখাপড়া জানে না। দেশে কেউ বাসাবাড়িতে, কেউ গার্মেন্টসে, আবার কেউ ছোটখাটো ব্যবসা করত। তারা সেই কাজ ছেড়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি দেশে যাচ্ছে অধিক উপার্জন করতে। দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে। আমরা শিক্ষিত মানুষরা যেখানে গেট নম্বর, সময় ভুল করে ফেলি সেখানে এই অশিক্ষিত নারী শ্রমিকদের সাহস দেখে বিম্মিত হয়ে গেলাম। এতদূর আসার পরও তাদের মনে কোন ভয় নেই। এটাই প্রমাণ করে, আমাদের নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে।
এক সময় জর্দানে একটি চমৎকার শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে। কিছু গার্মেন্টস কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর ওই সকল গার্মেন্টসে আমাদের শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পেয়েছিল। শ্রমিক নেতা নামধারী কিছুসংখ্যক শ্রমিকের কারণে সেই পুরো বাজার আজ নষ্ট হওয়ার পথে।
তখনও ওদের আম্মানগামী ফ্লাইটের গেট নম্বর দেয়া হয়নি। বললাম, একটু পর পর বিমান বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বোর্ডিং পাস দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতে কত নম্বর গেট। গেট নম্বর পাওয়া গেলে তাদের সাহায্যে যাতে গেটের সামনে গিয়ে বসে থাকে। সেই সঙ্গে ওদের সাবধানে থাকার আর পাসপোর্ট ও কাগজপত্র না হারানোর পরামর্শ দিয়ে আমি ফিরতি পথে হাঁটা ধরলাম। কারণ এটাই এয়ারপোর্টের সর্বশেষ দক্ষিণপ্রান্ত। এখান থেকে দুই নম্বর টার্মিনাল পেরিয়ে এক নম্বর টার্মিনালে হেঁটে যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগবে।
দুই নম্বর টার্মিনালের মাঝখানটা পুরোটাই নানা পণ্যের দোকানের ছড়াছড়ি। ওখানেই রয়েছে শুল্কমুক্ত দোকান। তবে শুল্কমুক্ত দোকানেও পণ্যের যে দাম তা বাইরের চেয়ে অনেক বেশি। আর যাত্রাপথে কেনাকাটা করে লাগেজ ভর্তি করে বোঝা বাড়িয়ে লাভ নেই। তাই দোকানপাটে খুব একটা ঢুকলাম না। দুই নম্বর টার্মিনাল পেরিয়ে নিচে এক নম্বর টার্মিনালে নেমে এলাম। উদ্দেশ্য হলো পুরো টার্মিনাল সম্পর্কে ধারণা রাখা।
এখানে এসে দেখলাম, সব আফ্রিকান যাত্রী চাদর মুড়ি দিয়ে লাইন ধরে মাটিতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। এক সময় আমাদের শ্রমিকদের এভাবে ঘুমাতে দেখা যেত। ওরা সব পরিবেশের সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরো এয়ারপোর্ট চক্কর দেয়ার পর এ টার্মিনালেই অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলাম। যাতে গেট নম্বর জানার পর দ্রুত যেতে পারি। কারণ এই টার্মিনাল থেকে গেট নম্বর শুরু হয়েছে।
-কাওসার রহমান
আগে থেকে জানার কারণে আগেভাগেই সব খুলে লাগেজে দিয়ে তবে আর্চওয়ে ঢুকলাম। আর্চওয়ে বেটা নিশ্চুপই রইল। ফলে আমিও হয়রানি থেকে বেঁচে গেলাম। ভেতরে গিয়ে সব লাগেজ ও জুতা নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। এই জুতা খোলার কারণে মোজার গন্ধে বিশ্রি অবস্থা। কারণ দুবাই যারা এসেছে তাদের বেশিরভাগই শ্রমিকশ্রেণীর। ফলে মোজার ব্যাপারে তাদের অত সচেতনতা থাকার কথা নয়। ঘটনাই তাই ঘটেছে। কিন্তু তাতে কার কি আসে যায়। কিন্তু জুতার ভেতরে যদি গোপনে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকে যায়, তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?
একটু এগিয়ে গিয়ে খালি চেয়ারে বসে জুতা পরে নিলাম। লাগেজ নিয়ে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে উপরে উঠে এলাম। যাত্রী যারা উপরে উঠে আসছে তারা প্রথমেই দাঁড়াচ্ছে বিশাল মনিটরের সামনে। ওখানেই ভেসে উঠছে বিভিন্ন গন্তব্যের ফ্লাইট সিডিউল। আমিও এক মিনিট দাঁড়িয়ে আমার গেট নম্বর জানার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তখনও গেট নম্বর দেয়া হয়নি। আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট সেই সকাল ৭টায়। এ কারণেই হয়ত আমাদের রিওগামী ফ্লাইটের গেট নম্বর এখনও দেয়া হয়নি।
হাতে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়। এ সময় এয়ারপোর্টেই ঘুরে ঘুরে কাটাতে হবে। তাই বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে। মধ্যরাত হলে কি হবে পুরো এয়ারপোর্ট জনাকীর্ণ। মানুষে গিজগিজ করছে। বিশ্রামের চেয়ারগুলোও ফাঁকা নেই। রেস্টুরেন্ট, শপিংমল সবই মানুষে ঠাসা। চারদিকে আলোর ঝলকানি। ভেতরে বসে বোঝার উপায় নেই দিন না রাত।
এয়ারপোর্টের ভেতরেই কৃত্রিম পানির ফোয়ারা, মরুভূমি, বন তৈরি করা হয়েছে মানুষের বিনোদনের জন্য। প্রচুর মানুষ ওখানে বসে সময় কাটাচ্ছে, স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ছবি তুলে নিচ্ছে। আমিও তাই করলাম।
বিশাল এয়ারপোর্ট। আট হাজার ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত এ বিমান বন্দরে তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। এখনই এমাথা থেকে ওমাথা যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। তাতেও যাত্রী সামাল দেয়া যাচ্ছে না। ২০১১ সালেই প্রায় ছয় কোটি যাত্রী এ এয়ারপোর্ট দিয়ে আসা-যাওয়া করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রধান সংযোগ বিমান বন্দর হচ্ছে দুবাই। এই এয়ারপোর্টের মাধ্যমে বর্তমানে শুধু মধ্যাপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরাই আসা-যাওয়া করে না, বিশ্বের ২১৫টি গন্তব্যের যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। একমাত্র এন্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বে সব ক’টি মহাদেশে বিশ্বের ১৩০টি এয়ারলাইন্স এই এয়ারপোর্টের মাধ্যমে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করে। প্রতিসপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালিত হয় ছয় হাজারেরও বেশি। এই ব্যস্ততার কারণে বর্তমানে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বিশ্বের সপ্তম ব্যস্ততম এয়ারপোর্টে পরিণত হয়েছে। অথচ নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এ এয়ারপোর্ট ছিল ছোট্ট পরিসরের একটি দ্বিতল ভবন মাত্র।
ঘুরতে ঘুরতেই এয়ারপোর্টে পাঁচ নারী শ্রমিকের দেখা মিলল। ওদের কারও হাতে উড়োজাহাজ থেকে আনা পাউরুটি, কারও হাতে পানি। তাই তারা খাচ্ছে। এক মেয়ে বলল, উড়োজাহাজের খাবার তাদের ভাল লাগেনি। কারণ তাতে কোন মসলা ছিল না। ফলে তারা কেউ খেতে পারেনি। বললাম, বিদেশের খাবার এমনই হয়। ওসবই খেতে হয়। তা না হলে খিধেয় মরতে হবে।
ওরা ঢাকা থেকে এসেছে জর্র্দান যাবে বাসাবাড়িতে কাজ করতে। থাকা-খাওয়া ফ্রি। মাসিক বেতন ২০০ ডলার। তারা সকলেই জীবনে প্রথম বিদেশে এসেছে। কেউ আবার লেখাপড়া জানে না। দেশে কেউ বাসাবাড়িতে, কেউ গার্মেন্টসে, আবার কেউ ছোটখাটো ব্যবসা করত। তারা সেই কাজ ছেড়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি দেশে যাচ্ছে অধিক উপার্জন করতে। দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে। আমরা শিক্ষিত মানুষরা যেখানে গেট নম্বর, সময় ভুল করে ফেলি সেখানে এই অশিক্ষিত নারী শ্রমিকদের সাহস দেখে বিম্মিত হয়ে গেলাম। এতদূর আসার পরও তাদের মনে কোন ভয় নেই। এটাই প্রমাণ করে, আমাদের নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে।
এক সময় জর্দানে একটি চমৎকার শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে। কিছু গার্মেন্টস কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর ওই সকল গার্মেন্টসে আমাদের শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পেয়েছিল। শ্রমিক নেতা নামধারী কিছুসংখ্যক শ্রমিকের কারণে সেই পুরো বাজার আজ নষ্ট হওয়ার পথে।
তখনও ওদের আম্মানগামী ফ্লাইটের গেট নম্বর দেয়া হয়নি। বললাম, একটু পর পর বিমান বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বোর্ডিং পাস দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতে কত নম্বর গেট। গেট নম্বর পাওয়া গেলে তাদের সাহায্যে যাতে গেটের সামনে গিয়ে বসে থাকে। সেই সঙ্গে ওদের সাবধানে থাকার আর পাসপোর্ট ও কাগজপত্র না হারানোর পরামর্শ দিয়ে আমি ফিরতি পথে হাঁটা ধরলাম। কারণ এটাই এয়ারপোর্টের সর্বশেষ দক্ষিণপ্রান্ত। এখান থেকে দুই নম্বর টার্মিনাল পেরিয়ে এক নম্বর টার্মিনালে হেঁটে যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগবে।
দুই নম্বর টার্মিনালের মাঝখানটা পুরোটাই নানা পণ্যের দোকানের ছড়াছড়ি। ওখানেই রয়েছে শুল্কমুক্ত দোকান। তবে শুল্কমুক্ত দোকানেও পণ্যের যে দাম তা বাইরের চেয়ে অনেক বেশি। আর যাত্রাপথে কেনাকাটা করে লাগেজ ভর্তি করে বোঝা বাড়িয়ে লাভ নেই। তাই দোকানপাটে খুব একটা ঢুকলাম না। দুই নম্বর টার্মিনাল পেরিয়ে নিচে এক নম্বর টার্মিনালে নেমে এলাম। উদ্দেশ্য হলো পুরো টার্মিনাল সম্পর্কে ধারণা রাখা।
এখানে এসে দেখলাম, সব আফ্রিকান যাত্রী চাদর মুড়ি দিয়ে লাইন ধরে মাটিতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। এক সময় আমাদের শ্রমিকদের এভাবে ঘুমাতে দেখা যেত। ওরা সব পরিবেশের সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরো এয়ারপোর্ট চক্কর দেয়ার পর এ টার্মিনালেই অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলাম। যাতে গেট নম্বর জানার পর দ্রুত যেতে পারি। কারণ এই টার্মিনাল থেকে গেট নম্বর শুরু হয়েছে।
-কাওসার রহমান
No comments