ব্যভিচারের অভিযোগে আফগান নারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
ব্যভিচারের অভিযোগে আফগান এক নারীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁকে গুলি করেছেন, তিনি তালেবান বলে আফগান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। রাজধানী কাবুলের পার্শ্ববর্তী পারওয়ান প্রদেশের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। রয়টার্সের হাতে আসা একটি ভিডিওচিত্রে এ ঘটনা দেখা গেছে।
তিন মিনিটের এ ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, একজন নারীকে শাল দিয়ে বেঁধে ধুলাবালির মধ্যে হাঁটুগেড়ে রাখা হয়েছে। পাগড়ি পরা এক ব্যক্তি তাঁর কাছে গিয়ে স্বয়ংক্রিয় একটি বন্দুক দিয়ে মাথায় পাঁচটি গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই নারী। পরে তাঁর মরদেহ পাশে ফেলে রাখা হয়। এ সময় আশপাশের শ দেড়েক লোক উল্লাস প্রকাশ করে। অনেকে বলে ওঠেন, ‘দীর্ঘজীবী হও আফগান মুজাহিদরা!’
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বন্দুকধারী ব্যক্তি ওই নারীর কাছাকাছি হওয়ামাত্র আরেক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ আমাদের ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। কেননা, এটা ভুল পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যভিচারের শাস্তি হবে—এটা আল্লাহরই নির্দেশ।’
প্রাদেশিক গভর্নর বাসির সালাঙ্গি বলেন, গত শনিবার ভিডিও রেকর্ডটি তাঁদের হাতে আসে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে এক সপ্তাহ আগে। প্রদেশের শিনওয়ারি জেলার কিমচক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি আফগান কর্মকর্তাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ১১ বছর আগে সেই শাসনামলে নারীদের ওপর নির্যাতনের কথা মনে করে তাঁরা উদ্বিগ্ন। সালাঙ্গি রয়টার্সকে বলেন, ‘ভিডিওটি দেখামাত্র আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে...ওই নারী অপরাধ করেননি...অপরাধ করেছে তালেবান।’ এ ব্যাপারে তালেবানের পক্ষ থেকে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তালেবানের পতনের পর থেকে আফগান নারীরা শিক্ষা, ভোট ও কাজের অধিকার ফিরে পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু এক লাখ ৩০ হাজার বিদেশি সেনা এবং তিন লাখ আফগান সেনা ও পুলিশের উপস্থিতিতেও তালেবান মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করায় উদ্বেগটা বেড়েই চলেছে। রয়টার্স।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বন্দুকধারী ব্যক্তি ওই নারীর কাছাকাছি হওয়ামাত্র আরেক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ আমাদের ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। কেননা, এটা ভুল পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যভিচারের শাস্তি হবে—এটা আল্লাহরই নির্দেশ।’
প্রাদেশিক গভর্নর বাসির সালাঙ্গি বলেন, গত শনিবার ভিডিও রেকর্ডটি তাঁদের হাতে আসে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে এক সপ্তাহ আগে। প্রদেশের শিনওয়ারি জেলার কিমচক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি আফগান কর্মকর্তাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ১১ বছর আগে সেই শাসনামলে নারীদের ওপর নির্যাতনের কথা মনে করে তাঁরা উদ্বিগ্ন। সালাঙ্গি রয়টার্সকে বলেন, ‘ভিডিওটি দেখামাত্র আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে...ওই নারী অপরাধ করেননি...অপরাধ করেছে তালেবান।’ এ ব্যাপারে তালেবানের পক্ষ থেকে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তালেবানের পতনের পর থেকে আফগান নারীরা শিক্ষা, ভোট ও কাজের অধিকার ফিরে পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু এক লাখ ৩০ হাজার বিদেশি সেনা এবং তিন লাখ আফগান সেনা ও পুলিশের উপস্থিতিতেও তালেবান মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করায় উদ্বেগটা বেড়েই চলেছে। রয়টার্স।
No comments