সুন্দরবনের বাঘ লোকালয়ে by কল্যাণ ব্যানার্জি
সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে একটি বাঘ। গতকাল রোববার সকালে বাঘটি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রাম গোলাখালীতে চলে আসে। সেই থেকে বাঘটি ওই গ্রামের একটি চিংড়িঘেরের বেড়ির ওপর অবস্থান করছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১৮টি গুলি ও শতাধিক বাজি ফুটিয়ে শব্দ করেও বাঘটিকে সুন্দরবনে ফেরত পাঠানো যায়নি।
গোলাখালী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র গাইন ও সিরাজুল ইসলাম জানান, সকাল ছয়টার দিকে গ্রামেরই বাসিন্দা খোকন গাজী দেখতে পান, তাঁর চিংড়িঘেরে বেড়ির ওপর একটি বিশাল আকৃতির বাঘ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী ও বন বিভাগকে জানান। সকাল আটটার দিকে বন বিভাগ ও টাইগার রেসপন্স দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা বাঘটিকে সুন্দরবনে ফেরত পাঠানোর জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক বাজি ফোটান। পরে রাইফেল থেকে শূন্যে গুলি ছোড়েন। তাতেও বাঘটি বনে ফিরে যায়নি। বেলা একটা পর্যন্ত বাঘটি বেড়ির ওপর ২০-২৫ গজের মধ্যে চলাফেরা করে। এরপর বাঘটি বেড়ির ওপর শুয়ে পড়ে। রাত সাড়ে নয়টার দিকেও বাঘটি ওই স্থানে শুয়ে ছিল।
গোলাখালী গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, গ্রামে বাঘ অবস্থান করায় অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে আবার চুনকুড়ি নদী পেরিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালি স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এটি পুরুষ বাঘ। দৈর্ঘ্য হবে ৯-১০ ফুট। বাঘটি অসুস্থ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে বাঘটি যাতে গ্রামের দিকে আসতে না পারে সে জন্য ঘেরসংলগ্ন দুটি সড়ক জাল দিয়ে ঘেরাও করে দেওয়া হয়েছে।
গোলাখালী গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, গ্রামে বাঘ অবস্থান করায় অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে আবার চুনকুড়ি নদী পেরিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালি স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এটি পুরুষ বাঘ। দৈর্ঘ্য হবে ৯-১০ ফুট। বাঘটি অসুস্থ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে বাঘটি যাতে গ্রামের দিকে আসতে না পারে সে জন্য ঘেরসংলগ্ন দুটি সড়ক জাল দিয়ে ঘেরাও করে দেওয়া হয়েছে।
No comments