যুদ্ধাপরাধীর বিচারে ব্যর্থ হলে শেখ হাসিনাকেও ওরা হত্যা করবে-যুবলীগের মহানগর (উত্তর) সম্মেলনে সাজেদা চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী জিয়াউর রহমান। আজ এ কথা বলতে কোন দ্বিধা নেই। জিয়ার ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।’ রবিবার রাজধানীর কলাবাগান মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মধ্যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে আগামী নির্বাচনে যুব সমাজ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। তাছাড়া বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যর্থ হবে। গোটা দেশ হত্যাকা-ের লীলাভূমিতে পরিণত হবে। শেখ হাসিনাকেও হত্যা করবে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গীগোষ্ঠী।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে কোন চাঁদাবাজ, ধাঁন্দাবাজ, টেন্ডারবাজসহ সন্ত্রাসী থাকবে না। কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসীদের হাতে ক্ষমতা ও নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে না।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে আজ কোন দল নেই। যা আছে সব ভুয়া। বাঙালী জাতীয়তাবাদের চিন্তা অন্যান্য দলের মাথায় নেই। তাদের আছে লুট করা আর মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ার চিন্তা। দেশের তরুণ সমাজ জাগ্রত থাকলে, ওঠে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগকে আর কেউ দমাতে পারবে না। সংবিধানের চার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে দেশের যুব সমাজকে এগিয়ে যাওয়াসহ ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।’
সংসদ উপনেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে দল চালাতে লাইসেন্স নিতে হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি যারা বন্দুক ঘাড়ে নিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা সাময়িক। জিয়াউর রহমানও বন্দুক কাঁধে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, যুব সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী যুবলীগ। আমার প্রত্যাশা যোগ্য নেতৃত্বে যুব সমাজ এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উস্কানির মুখে নির্বাচনী সকল ওয়াদা বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। তিনি বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংসদে এসে কথা বলুন। সংসদ বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে যুবলীগ জবাব দেবে। বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক জনসভায় বিগত দিনের কর্মকা-ে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে নানক বলেন, কোন্টা ভুল আর কোন্টা অপরাধ তা আপনার (খালেদা জিয়া) জানা নেই। আমার প্রশ্ন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আর্জেস গ্রেনেড কোথা থেকে এসেছিল? শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা ভুল না অপরাধ? সাবেক মন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া, আহসান উল্যাহ মাস্টারকে হত্যা ভুল না অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে বিচার হবে। হরতাল দিয়ে এসব হত্যাকা-ের বিচার দমিয়ে রাখা যাবে না।
বিএনপির দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন মন্তব্য করে নানক বলেন, তারা এখন বিগত দিনের কলঙ্ক মোচনের জন্য মিথ্যা বলে যাচ্ছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে বিএনপি। উন্নয়ন ও রাজধানীর যানজট নিরসনসহ পরিবর্তনের পদক্ষেপ দেখে খালেদা জিয়া এখন আতঙ্কিত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে নানক বলেন, আপনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। সাড়ে তিন বছর পর মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে এখনও মামলা মোকাবেলা করতে হয়। আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এসব মামলাগুলো কাদের দেয়া?
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম বলেন, সরকারের সাড়ে তিন বছরে যুবলীগের কোন নেতাকর্মী কিছু না পেয়ে বিএনপিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে সুখ ও শান্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উপস্থিত ছিলেন একেএম রহমত আলী, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাহেদা তারেক দিপ্তীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে কোন চাঁদাবাজ, ধাঁন্দাবাজ, টেন্ডারবাজসহ সন্ত্রাসী থাকবে না। কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসীদের হাতে ক্ষমতা ও নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে না।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে আজ কোন দল নেই। যা আছে সব ভুয়া। বাঙালী জাতীয়তাবাদের চিন্তা অন্যান্য দলের মাথায় নেই। তাদের আছে লুট করা আর মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ার চিন্তা। দেশের তরুণ সমাজ জাগ্রত থাকলে, ওঠে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগকে আর কেউ দমাতে পারবে না। সংবিধানের চার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে দেশের যুব সমাজকে এগিয়ে যাওয়াসহ ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।’
সংসদ উপনেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে দল চালাতে লাইসেন্স নিতে হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি যারা বন্দুক ঘাড়ে নিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা সাময়িক। জিয়াউর রহমানও বন্দুক কাঁধে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, যুব সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী যুবলীগ। আমার প্রত্যাশা যোগ্য নেতৃত্বে যুব সমাজ এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উস্কানির মুখে নির্বাচনী সকল ওয়াদা বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। তিনি বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংসদে এসে কথা বলুন। সংসদ বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে যুবলীগ জবাব দেবে। বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক জনসভায় বিগত দিনের কর্মকা-ে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে নানক বলেন, কোন্টা ভুল আর কোন্টা অপরাধ তা আপনার (খালেদা জিয়া) জানা নেই। আমার প্রশ্ন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আর্জেস গ্রেনেড কোথা থেকে এসেছিল? শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা ভুল না অপরাধ? সাবেক মন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া, আহসান উল্যাহ মাস্টারকে হত্যা ভুল না অপরাধ? যদি অপরাধ হয়, তাহলে বিচার হবে। হরতাল দিয়ে এসব হত্যাকা-ের বিচার দমিয়ে রাখা যাবে না।
বিএনপির দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন মন্তব্য করে নানক বলেন, তারা এখন বিগত দিনের কলঙ্ক মোচনের জন্য মিথ্যা বলে যাচ্ছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে বিএনপি। উন্নয়ন ও রাজধানীর যানজট নিরসনসহ পরিবর্তনের পদক্ষেপ দেখে খালেদা জিয়া এখন আতঙ্কিত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে নানক বলেন, আপনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। সাড়ে তিন বছর পর মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে এখনও মামলা মোকাবেলা করতে হয়। আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এসব মামলাগুলো কাদের দেয়া?
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম বলেন, সরকারের সাড়ে তিন বছরে যুবলীগের কোন নেতাকর্মী কিছু না পেয়ে বিএনপিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে সুখ ও শান্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উপস্থিত ছিলেন একেএম রহমত আলী, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাহেদা তারেক দিপ্তীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
No comments