অনন্য দৃষ্টান্ত
জবাবদিহিতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণ যাতে সরাসরি তাঁর সাথে কথা বলতে পারে সেজন্য নিজের দুটি টেলিফোন নম্বর এবং ই-মেইল জানিয়ে দিলেন। তিনি সবাইকে অনুরোধ করলেন নম্বরগুলোতে ফোন করে, মেসেস পাঠিয়ে অথবা ই-মেইল করে যে কেউ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
কোন অভিযোগ জানানোর থাকলে সেটাও পারবেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ সুবিধা নিতে চায় তাহলে তা যেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি, আমার ছোট বোন এবং আমাদের পাঁচ ছেলেমেয়ে ছাড়া আমার আর কোন পরিবার নেই। এর বাইরে আমার কেউ নেই।’ প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তাঁর দুটি মোবাইল ফোনের নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা নাগরিকদের জন্য প্রকাশ করেন। সরকারপ্রধানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করে তাঁর সঙ্গে সরাসরি সাধারণ জনগণের কথা বলার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। এতে করে জনসাধারণের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের যে সুযোগ সৃষ্টি হলো তা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ হল।
প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে নম্বর জানানোর ঘটনায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাই ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েও অনেকে লাইনও কেটে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আবার ফোন করে নিশ্চিত করেছেন যে তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা অবধি এবং শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় পেয়েছেন তখনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁর মোবাইলে আসা কল রিসিভ করে জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। ধৈর্য সহকারে তাঁর মোবাইলে আসা ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমস্যা, সঙ্কট, অভিযোগ শুনেছেন, নোট করেছেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
নির্বাচিত সরকারের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। কিন্তু জনসাধারণ প্রায়ই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত পান না। জনসাধারণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে অনেকেই তাদের কথাই ভুলে যান। এতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ফলে দুর্নীতি বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। অতীতে দেশে কোন কোন মন্ত্রী-এমপি এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নাম ভাঙিয়েও সুবিধা নেয়ার মতো উদাহরণ রয়েছে। বাস্তবিক কারণেই প্রোটোকলসহ নানা নিয়মকানুন মেনে অনেক সময় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত পাওয়া জনসাধারণের জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া সরকারে দায়িত্বশীল এক শ্রেণীর লোক থাকে যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক খবর পৌঁছান না। উল্টো তাকে তুষ্ট করার চেষ্টায় থাকেন। এই প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত করলেন। এতে তার পক্ষে জনসাধারণের মনোভাব বোঝা সহজ হবে। জনসাধারণও তাদের অভাব-অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর ফোন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় তা নতুন মাত্রা যোগ করল।
গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। এতে করে জনসাধারণের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের যে সুযোগ সৃষ্টি হলো তা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ হল।
প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে নম্বর জানানোর ঘটনায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাই ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েও অনেকে লাইনও কেটে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আবার ফোন করে নিশ্চিত করেছেন যে তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা অবধি এবং শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় পেয়েছেন তখনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁর মোবাইলে আসা কল রিসিভ করে জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। ধৈর্য সহকারে তাঁর মোবাইলে আসা ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমস্যা, সঙ্কট, অভিযোগ শুনেছেন, নোট করেছেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
নির্বাচিত সরকারের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। কিন্তু জনসাধারণ প্রায়ই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত পান না। জনসাধারণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে অনেকেই তাদের কথাই ভুলে যান। এতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ফলে দুর্নীতি বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। অতীতে দেশে কোন কোন মন্ত্রী-এমপি এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নাম ভাঙিয়েও সুবিধা নেয়ার মতো উদাহরণ রয়েছে। বাস্তবিক কারণেই প্রোটোকলসহ নানা নিয়মকানুন মেনে অনেক সময় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত পাওয়া জনসাধারণের জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া সরকারে দায়িত্বশীল এক শ্রেণীর লোক থাকে যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক খবর পৌঁছান না। উল্টো তাকে তুষ্ট করার চেষ্টায় থাকেন। এই প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত করলেন। এতে তার পক্ষে জনসাধারণের মনোভাব বোঝা সহজ হবে। জনসাধারণও তাদের অভাব-অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর ফোন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় তা নতুন মাত্রা যোগ করল।
No comments