সোহেল তাজের আসন এখন শূন্য-রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর সক্রিয় রাজনীতিতেই থাকছেন না তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তবে রাজনীতির বাইরে থেকে দেশ, মানুষ ও আওয়ামী লীগের জন্য যদি কিছু করার থাকে তা করবেন তিনি। গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে সোহেল তাজ পদত্যাগ করায় সংসদের গাজীপুর-৪ আসন শূন্য হওয়ার কথা জানিয়েছেন স্পিকার আবদুল হামিদ। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন হওয়ার কথা।
পদত্যাগের পর নিজেকে স্বাধীন লাগছে মন্তব্য করে সোহেল তাজ বলেন, 'এখন আমি স্বাধীন, স্বাধীন নাগরিক। সামনে রোজার মাস ও ঈদ। সাধারণ নাগরিকের মতো সব কিছু পালন করব।'
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র ছেলে সোহেল তাজ কালের কণ্ঠকে ব্যক্তিগত অনেক কথা বললেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের প্রকৃত কারণ বলেননি। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব- 'আমি শপথ নিয়ে মন্ত্রী হয়েছিলাম। সেই শপথ ভাঙা যাবে না। তবে আপনারা সব কিছুই জানেন। নতুন করে কিছু বলার নেই।'
সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করায় প্রতিমন্ত্রীর পদেও আর নেই জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের ফলে আমি আর মন্ত্রী নেই।' মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়াও গতকাল কালের কণ্ঠকে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সোহেল তাজের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। নিয়মানুযায়ী সংসদ সদস্য যদি মন্ত্রী হন, তাঁর সংসদ সদস্যপদ না থাকলে মন্ত্রিত্বও থাকবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজকালের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় সশরীরে গিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন সোহেল তাজ। গতকাল সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার বলেন, 'গত ৭ জুলাই বিকেলে গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ তাঁর স্বহস্তে লিখিত পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ৭ জুলাই বিকেল থেকে তাঁর আসন শূন্য হয়েছে।' স্পিকার বলেন, 'তাঁর পদত্যাগপত্রটি বিধিসম্মত হওয়ায় আমি তা গ্রহণ করেছি।'
পদত্যাগ করার পরই শনিবার রাতে সোহেল তাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেথা করতে গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রী তাজের সঙ্গে কথা বললেও একান্তে বৈঠক করেননি বলে সূত্র জানিয়েছে। যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সামনে সোহেল তাজ একান্তে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সবাই আওয়ামী লীগের লোক, তোমার যা বলার এখানেই বলো।'
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সোহেল তাজ। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। পরে ৯ মে স্পিকার জানান, সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী জমা দেওয়া হয়নি। তাই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাঁকে সশরীরে এসে স্বহস্তে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবেন উল্লেখ করে কালের কণ্ঠকে সোহেল তাজ বলেছেন, 'আমার বাবা তাজউদ্দীন সাহেবের রক্তে এবং আমার মা জোহরা তাজউদ্দীনের শ্রমের বিনিময়ে গড়া এই দল। তাই যত দিন বাঁচব, এই দলের সঙ্গেই আছি।'
রাজনীতি করবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, 'আমি কখনোই দুই কথা বলি না। ২০০৯ সাল থেকে একই কথা বলে আসছি। আমি এই মুহূর্তে আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকছি না।' তিনি বলেন, 'আশা করি, পরবর্তী নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষ একজন ভালো, যোগ্য মানুষকে নির্বাচিত করবেন।'
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার গঠন করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পরে ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। পরে তিনি ১ জুন পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করা হয়। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাঁর পদত্যাগের প্রজ্ঞাপন জারি না করায় বিব্রতবোধ করে এবং তাঁর অ্যাকাউন্টে জমাকৃত মাসিক বেতন-ভাতার চেক প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দুটি চিঠি পাঠান সোহেল তাজ।
পদত্যাগের পর নিজেকে স্বাধীন লাগছে মন্তব্য করে সোহেল তাজ বলেন, 'এখন আমি স্বাধীন, স্বাধীন নাগরিক। সামনে রোজার মাস ও ঈদ। সাধারণ নাগরিকের মতো সব কিছু পালন করব।'
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র ছেলে সোহেল তাজ কালের কণ্ঠকে ব্যক্তিগত অনেক কথা বললেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের প্রকৃত কারণ বলেননি। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব- 'আমি শপথ নিয়ে মন্ত্রী হয়েছিলাম। সেই শপথ ভাঙা যাবে না। তবে আপনারা সব কিছুই জানেন। নতুন করে কিছু বলার নেই।'
সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করায় প্রতিমন্ত্রীর পদেও আর নেই জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের ফলে আমি আর মন্ত্রী নেই।' মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়াও গতকাল কালের কণ্ঠকে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সোহেল তাজের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। নিয়মানুযায়ী সংসদ সদস্য যদি মন্ত্রী হন, তাঁর সংসদ সদস্যপদ না থাকলে মন্ত্রিত্বও থাকবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজকালের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় সশরীরে গিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন সোহেল তাজ। গতকাল সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার বলেন, 'গত ৭ জুলাই বিকেলে গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ তাঁর স্বহস্তে লিখিত পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ৭ জুলাই বিকেল থেকে তাঁর আসন শূন্য হয়েছে।' স্পিকার বলেন, 'তাঁর পদত্যাগপত্রটি বিধিসম্মত হওয়ায় আমি তা গ্রহণ করেছি।'
পদত্যাগ করার পরই শনিবার রাতে সোহেল তাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেথা করতে গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রী তাজের সঙ্গে কথা বললেও একান্তে বৈঠক করেননি বলে সূত্র জানিয়েছে। যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সামনে সোহেল তাজ একান্তে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সবাই আওয়ামী লীগের লোক, তোমার যা বলার এখানেই বলো।'
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সোহেল তাজ। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। পরে ৯ মে স্পিকার জানান, সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী জমা দেওয়া হয়নি। তাই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাঁকে সশরীরে এসে স্বহস্তে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবেন উল্লেখ করে কালের কণ্ঠকে সোহেল তাজ বলেছেন, 'আমার বাবা তাজউদ্দীন সাহেবের রক্তে এবং আমার মা জোহরা তাজউদ্দীনের শ্রমের বিনিময়ে গড়া এই দল। তাই যত দিন বাঁচব, এই দলের সঙ্গেই আছি।'
রাজনীতি করবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, 'আমি কখনোই দুই কথা বলি না। ২০০৯ সাল থেকে একই কথা বলে আসছি। আমি এই মুহূর্তে আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকছি না।' তিনি বলেন, 'আশা করি, পরবর্তী নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষ একজন ভালো, যোগ্য মানুষকে নির্বাচিত করবেন।'
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার গঠন করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পরে ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। পরে তিনি ১ জুন পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করা হয়। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাঁর পদত্যাগের প্রজ্ঞাপন জারি না করায় বিব্রতবোধ করে এবং তাঁর অ্যাকাউন্টে জমাকৃত মাসিক বেতন-ভাতার চেক প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দুটি চিঠি পাঠান সোহেল তাজ।
No comments