মীর কাশেমকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি-যুদ্ধাপরাধী বিচার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মীর কাশেম আলীকে সেফহোমে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ১২ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন অথবা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে হবে প্রসিকিউশনের তদন্ত দলকে। ওই দিন আসামিকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে।


একই অভিযোগে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) রবিবার উপস্থাপন হয়নি।
এদিকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন ও আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী মোজাফফর আহমেদ খানের জেরা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আযমের সাক্ষীর জন্য আজকেও দিন নির্ধারণ রয়েছে। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার হাজী মোবারক হোসেনের মামলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গলবার। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২-এ এই মামলাগুলোর শুনানি ও দিন নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-২-এ আজ বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য, আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরা সদস্য মীর কাসেম আলীকে একদিন ‘সেফহোমে’ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দিয়েছে। প্রসিকিউশন বিভাগ বৃহস্পতিবার তিন দিন সেফহোমে নিয়ে মীর কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেছে, প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা এক দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ‘সেফহোমে’ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এ সময় পাশের কক্ষে আসামির আইনজীবী ও একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন।
আর মীর কাশেম আলীকে কবে ধানম-ির ‘সেফহোমে’ নেয়া হবে, তা দুদিন আগে তার আইনজীবী তাজুল ইসলামকে জানাতে বলেছে ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ১২ আগস্ট মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন অথবা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে হবে প্রসিকিউশনের তদন্ত দলকে। ওই দিন আসামিকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে।
মীর কাশেম আলীকে ১৭ জুন মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান। মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার হুকুমেই একাত্তরে চট্টগ্রামে বহু লোককে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়। একাত্তরে আলবদর বাহিনী গঠন করে তিনি ওই বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান হন। এই বাহিনী চট্টগ্রামের মহামায়া ভবনকে ডালিম হোটেলে রূপান্তর করে নির্যাতন ক্যাম্প স্থাপন করে।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মীর কাসেম আলীর নির্দেশনায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ চালানো হয় বলেও অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মীর কাশেমকে একাত্তরে চট্টগ্রামের মানুষ চিনতো মিন্টু নামে। কলেজছাত্র থাকাকালে সেখানেই তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের দায়িত্ব নেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পাকিস্তানী বাহিনী এই দেশের যে সব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে, তার তালিকা তৈরিতেও মীর কাশেম ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কাদের মোল্লা
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী মোজাফফর আহমেদ খানকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী মোজাফফর আহমেদ খানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক।
৩ জুলাই আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের এ সাক্ষী তার জবানবন্দী দেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনালে বিচারকের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহারের জন্য সাক্ষী ক্ষমা চান। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, ঐ দিনের ঘটনার জন্য দুঃখীত ও ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ তার সহযোদ্ধারা নিহত হবার কারণে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে যে জেরা করেন তার কিছু অংশ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন : আপনারা এসে ক্যাম্প থেকে (আসাম) বের হলেন। ট্রেনিং কাগজপত্র নিয়েছিলেন।
উত্তর : প্রতিটি ট্রাকে ভারতীয় একজন অফিসার ছিল।
প্রশ্ন : আপনারা যখন আগরতলায় ফিরে এসে রিপোর্ট করলেন, সেখানে কয়দিন ছিলেন।
উত্তর : ৭ দিন।
প্রশ্ন : আপনারা একটি টিম করেছিলেন। সে টিমে কয়জন ছিল।
উত্তর : ২৫ জন।
প্রশ্ন : ২৫ জন বললেন, কয় তারিখ বাংলাদেশের মাটিতে প্রবেশ করলেন।
উত্তর : সেখান থেকে আমাদেরকে ট্রাকযোগে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিল।
প্রশ্ন : এই ২৫ জনের মধ্যে কেরানীগঞ্জের কয়জন এবং বাইরের কয়জন।
উত্তর : ১৫ জন কেরানীগঞ্জের এবং ১০ জন ছিল বাইরের পার্শ¦বর্তী সাভার থানার।
প্রশ্ন : এদের নাম বলতে পারেন।
উত্তর : ফরিদ আহম্মেদ, আফজাল উদ্দিন, নাসির উল্লাহ, জসীম মিয়া, আয়েন উদ্দিন, আব্দুর রাশেদ, আ: হালিম, মোঃ আব্দুল মোতালেব, মোঃ রমিজ উদ্দিন, মোঃ আমিনুর রশিদ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে ফেরার পরে ২৫ জন প্রথম কোথায় আসলেন।
উত্তর : কেরানীগঞ্জের কলারোয়া।
প্রশ্ন : সেখানে ২৫ জন যে ক্যাম্প স্থাপন করলেন, সেটা স্কুল, কলেজ না বাড়ি।
উত্তর : বাড়ি।
প্রশ্ন : বাড়ির মালিকের নাম কি।
উত্তর : মতিউর রহমান সরকার।
প্রশ্ন : উনি কি এখনও জীবিত আছেন?
উত্তর : জীবিত আছেন।
প্রশ্ন : চলাফেরা করতে পারেন?
উত্তর : পারেন।
প্রশ্ন : আপনার ওখানে ক্য্ম্পা করলেন, তারিখ কতো?
উত্তর : সম্ভবত একাত্তরের ২৮ আগস্ট।
প্রশ্ন : ক্যাম্প স্থাপন করলেন, সেখান থেকে প্রথম কোথায় অপারেশন করলেন?
উত্তর : সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তরিখে সৈয়দপুর তুলসীবাড়ি।
প্রশ্ন : অপারেশন দিনে না রাতে করলেন।
উত্তর : সকাল ১০টায়।
প্রশ্ন : অপারেশনের টার্গেটটা কি ছিল।
উত্তর : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ।
প্রশ্ন : তারা ট্রাক নিয়ে আসছিল । পাড়া মহল্লায় আগুন লাগিয়েছিল।
উত্তর : গানবোট দিয়ে এসেছিল।
প্রশ্ন : নদীর নাম কি?
উত্তর : ধলেশ্বরী।
প্রশ্ন : ওরা এসে কোথায়ও বোমবিং করে।
উত্তর : ওখানে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে আক্রমণ করে।
প্রশ্ন : ঐ ক্যাম্পের নাম কি।
উত্তর : পাড়া গ্রাম।
প্রশ্ন : ঐ ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা কতজন ছিল।
উত্তর : প্রায় দুই শত জন।
প্রশ্ন : পাকবাহিনীর গানবোটে কত জন ছিল।
উত্তর : প্রায় তিন শত জন। ওরা গানবোট ও স্পিডবোটে এসেছিল।
প্রশ্ন : পাড়াগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের কমান্ডার কে ছিলেন?
উত্তর : ইয়াহিয়া খান চৌধুরী মিন্টু।
প্রশ্ন : ঐ ক্যাম্পের ওপর পাক বাহিনী আগে না মুক্তিযোদ্ধা আগে গুলি করে।
উত্তর : পাক সেনাবহিনী।
প্রশ্ন : আক্রমণ করার সময় আপনারা কোন্ দিকে ছিলেন?
উত্তর : ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এগুচ্ছিলেন। আরও ৫টি ক্যাম্প ছিল।
প্রশ্ন : দুই পক্ষে গুলি শুরু হলো কতক্ষণ স্থায়ী ছিল।
উত্তর : সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রশ্ন : কলাতিয়াতে আরও ৫টি ক্যাম্প ছিল।
উত্তর : জি।
প্রশ্ন : পাক সেনাবাহিনীর ও মুক্তিযোদ্ধা পক্ষের কতজন মারা যায়।
উত্তর : এক জন মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী মারা যান। আমিসহ ১০ জন আহত হই।
প্রশ্ন : ওমর আলী কার অধীনে ছিল।
উত্তর : পিন্টু সাহেবের।
প্রশ্ন : ৯ জন আপনার অধীনে পিন্টু সাহেবের অধীনে কয় জন।
উত্তর : ২৫ জন ছাড়া ৫টি ক্যাম্পের ১ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল।
প্রশ্ন : পাকসেনাদের মধ্যে কত জন হতাহত হয়।
উত্তর : ৫৩ জন পাকসেনা মারা যায়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের জিএস কে ছিলেন আপনি জানেন?
উত্তর : ছাত্র সংঘের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা।
প্রশ্ন : তার (কাদের মোল্লার) সঙ্গে আপনার কোন অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল না।
উত্তর : ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল না, তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল।
প্রশ্ন : আপনি কাদের মোল্লাকে কোন সাল থেকে চিনেন?
উত্তর : ১৯৬৯ সাল থেকে।
প্রশ্ন : তাকে নেতা হিসেবে চিনতেন।
উত্তর : হ্যাঁ, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হিসেবে।
প্রশ্ন : ’৭১ সালে পাকসেনারা আপনাকে কখনও ডান্ডি (পরিচয়পত্র) দেখাতে বলেনি।
উত্তর : না, আমি তাদের কখনও মুখোমুখি হইনি।
প্রশ্ন : আপনি ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দী দেয়ার আগে আর কোথাও জবানবন্দী দিয়েছেন।
উত্তর : ২০০৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দিয়েছি।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেটসহ কোন কাগজপত্র কাউকে দেখাননি?
উত্তর : না। আমার কাছে কেউ দেখতে চায়নি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত আর কোথাও কোন জবানবন্দী দেননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনার জবানবন্দীতে কাদের মোল্লার জড়িত থাকার কোন ঘটনা বলেননি?
উত্তর : কাদের মোল্লাকে অস্ত্র হাতে মিরপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেছি।
প্রশ্ন : আপনি নিজের চোখে কোন ঘটনা দেখেছেন?
উত্তর : বলেছি তো অস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।
প্রশ্ন : কি অপরাধ করতে দেখেছেন?
উত্তর : ওনাকে চাইনিজ রাইফেল নিয়ে ফিজিক্যাল মিরপুর ট্রেনিং সেন্টারের গেটের সামনে দেখেছি।
প্রশ্ন : এ ছাড়া আর কিছু দেখেননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি প্রসিকিউশনের শেখানো মতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছেন?
উত্তর : ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি এ মামলার পূর্বে কাদের মোল্লাকে কখনো দেখেননি।
উত্তর : দেখেছি।
প্রশ্ন : ৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে ওনার এলাকা ফরিদপুরে চলে যান এরপর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাকায় আসেননি।
উত্তর : ইহা সত্য নয়।
এ ছাড়া সাক্ষীকে যুদ্ধের সময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল জেরার কার্যক্রম আজ পর্যন্ত মুলতবি করে।
২০ জুন আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ৯৬ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে ৩ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। ২৮ মে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ এনে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-২। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৭ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনে ১৬ এপ্রিল মামলা ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে গত ১ নবেম্বর জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেয়। একটি মামলায় তাকে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই সুপ্রীমকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালে তদন্তকারী সংস্থার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়। সকালে কাদের মোল্লাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.