টোকিও সম্মেলন-আফগানিস্তানকে ১৬০০ কোটি ডলার দেবে দাতারা-২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে এ সহায়তা দেওয়া হবে

জাপানের টোকিও সম্মেলনে আফগানিস্তানকে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার উন্নয়ন সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতা দেশগুলো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে এ সহায়তা দেওয়া হবে। এর মধ্যে জাপান দেবে ৩০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া বড় অঙ্কের সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।


আফগানিস্তানের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশটির জিডিপির ৯৫ শতাংশেরও বেশি আসে অর্থ সাহায্য থেকে। আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, আগামী দশকে আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিদেশি দাতাদের কাছ থেকে নতুন বিনিয়োগ হিসাবে বছরে অন্তত ৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
আফগানিস্তান ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতি মোকাবিলায় নতুন শর্তে রাজি হওয়ার পর টোকিও সম্মেলনে দেশটিকে ওই বিপুল অর্থ সহায়তা দেওয়ার এ প্রতিশ্রুতি এলো। গতকাল রবিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই শক্ত হাতে দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার করেন। ৮০টি দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক বহু সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন। এ ব্যাপারে ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে পরবর্তী বৈঠক করতে রাজি হয়েছেন দাতারা।
২০১৪ সালে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। ভবিষ্যতে ওই পরিস্থিতি থেকে আফগানিস্তানকে সুরক্ষার চেষ্টার অংশ হিসেবেই টোকিওতে সম্মেলন করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন দাতা দেশের প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ১০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে সংস্কারকাজ জরুরি। এর মধ্যে দুর্নীতি রোধ, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, আফগান বিশেষত নারীদের জন্য আরো বেশি অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভের ব্যবস্থা করার বিষয়টিতে নজর দেওয়া দরকার।
টোকিওতে যাওয়ার পথে গত শনিবার কাবুলে যাত্রাবিরতি করেন হিলারি। সে সময় আফগানিস্তানকে ন্যাটো জোটের বাইরে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হিলারি বলেন, আফগানিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই একা ছেড়ে যাবে না। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়েছে বলেও প্রশংসা করেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.