আইনের শাসন বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ও মানছে না সরকার। এ বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা রানা আব্বাস মো. শাহীন হাওলাদার
ব্যবসায়ী, বাবুগঞ্জ, বরিশাল
ব্যবসায়ী, বাবুগঞ্জ, বরিশাল
সরকারের পক্ষে যে রায় যাচ্ছে সে রায় ঠিকই সরকার মানছে। আর যে রায় তাদের পক্ষে যাচ্ছে না সেটি আর মানছে না! এই যেমন, উচ্চ আদালতে রায়ে বলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি নির্বাচন হতে পারে। সরকার সেটি
মানছে না। আবার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচন দিতে।
সেটি কিন্তু সরকার ঠিকই মানছে। অর্থাৎ আদালতের রায়
সরকারের পক্ষে গেলে মানবে,
নতুবা নয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
উচ্চ আদালতের রায় মানছে না সরকার_ এই কথাটি কতখানি যৌক্তিক তা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। আদালতের রায় না মেনেই সরকার কীভাবে দেশ চালাচ্ছে? সরকার অবশ্যই আদালতের রায় মেনে চলে। তবে মাঝে মধ্যে ব্যতিক্রম ঘটে। যেমন তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে ঘটেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা এখন আর হবে না। যৌক্তিক কারণেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করার প্রশ্নই আসে না। আমরা আশা করব, যাতে সরকার এবং উচ্চ আদালতের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিক সম্পর্ক সৃষ্টি না হয়। এতে করে দেশের শান্তি-কল্যাণ বিঘি্নত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
জুবায়ের ইসলাম
ব্যবসায়ী, নতুনহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। কারণ এ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত উচ্চ আদালতের রায় মেনে নেওয়া। সে সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায় মেনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া সরকারের উচিত হবে।
অ্যাডভোকেট ফাহাদ উদ্দিন বিন আমিন
আইনজীবী, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করার মতো খারাপ নজির আগেও ছিল। বর্তমান সরকার তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মাত্র। বর্তমান সরকারের উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানছে না, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতের সরকারও এটার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জনগণের ওপর।
জাহিদুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, তালতলা, সিলেট
যে সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না সে সরকার আগামী নির্বাচনের রায় মানবে কী করে?
মো. শামসু
চালক, ফুলপুর, ময়মনসিংহ
সরকারকে উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে এবং আইন অনুযায়ী চলতে হবে। কারণ, এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। আইনগত বৈধ সরকার।
মো. এনামুল হক মনি
ব্যবসায়ী, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
সরকারকে অবশ্যই উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে, নইলে দেশ বিপথে যাবে।
কিবরিয়া হোসেন বাপ্পী
শিক্ষার্থী, সরকারি মুহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম
উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে সরকার দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছে। একদিকে তারা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট রায়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করছে, আবার অন্যদিকে জনসংশ্লিষ্ট রায়গুলো বাস্তবায়নে অনীহা এবং গাফিলতি করছে। যেটা আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়। সরকারের আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অবশ্য কর্তব্য।
মো. ওমর ফারুক বাবর
শিক্ষার্থী, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ গাজীপুর
যে কোনো দেশের জন্য সরকার ও উচ্চ আদালত একটি অপরিহার্য অংশ। যখনই এ দুটি অংশ পরস্পর বিরোধে জড়িয়ে পড়বে, তখন দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে।
জলিল ইসলাম রায়হান
শিক্ষক, রাঙ্গাবালি, পটুয়াখালী
সরকারের উচ্চ আদালতের রায় না মানার পেছনে কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও দায়ী। এসব দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রাজন ঘোষ
ব্যবসায়ী, কাপাসিয়া, গাজীপুর
সরকার কেন উচ্চ আদালতের রায় মানছে না তা আমরা সবাই জানি। বিচার বিভাগ আসলেই কি আলাদা হয়েছে? সরকারের আদালতের রায় অবমাননার প্রেক্ষাপটে এমন প্রশ্ন উদ্রেক হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যদি সত্যিই বিচার বিভাগ আলাদা হতো, তাহলে সরকার আদালতের রায় মানতে বাধ্য থাকত। আমাদের হাজারো আইন আছে কিন্তু বেশিরভাগ আইনেরই বাস্তব প্রয়োগ নেই। আইনের বাস্তব প্রয়োগের জন্য দরকার সরকারের সদিচ্ছা। এ ক্ষেত্রে বিচারকদেরও আরও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করতে হবে।
পুলক বাবু
চাকরিজীবী, দোহাজারী, চট্টগ্রাম
অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এ দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা এখনও পাইনি। এখনও স্বাধীন হয়নি আমাদের বিচার বিভাগ। এ কারণেই আজ সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। এক সরকার খুনিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়, আর এক সরকার এসে সে রায় বাতিল করে দেয়। সরকার খেয়ালখুশিমতো আদালতের রায়ের ওপর হস্তক্ষেপ করছে, যা সত্যি দুঃখজনক।
মো. আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড. ঢাকা
সরকারই যদি আদালতের রায় না মানে তবে সাধারণ জনগণ কী করবে? কারণ সরকারকেই তো সাধারণ জনগণ অনুসরণ করে।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এর জন্য দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মো. ইব্রাহিম
চাকরিজীবী, চৌমুহনী, নোয়াখালী
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, সরকার কেন এমন কাজ করছে? সরকার যে উচ্চ আদালতের রায় মানছে না এটা গণতন্ত্রের জন্য মোটেও সুখবর নয়। আদালতকে নিজের গতিতে চলতে দিতে হবে। দেশের স্বার্থে, আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে।
লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরী
ব্যবসায়ী, রাউজান, চট্টগ্রাম
অনেক মামলার রায় বাস্তবায়নে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে রায়গুলো দেওয়া হয়েছে তা বেশিরভাগই মানেনি সরকার। এটি গণতন্ত্রের জন্য এক অশনিসংকেত।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আইনি কাঠামোতে জনগণের ন্যায্যবিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু উচ্চ আদালত মনে হয় তা করছে না। এ কারণেই সরকারও উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। বিগত বিএনপি সরকারের আমলেও আমরা দেখেছিলাম আইন লঙ্ঘন করে অনেক সন্ত্রাসীকে রক্ষা করেছিল। এ সরকারকেই আইন ও বিচার বিভাগকে নানা জটিলতার কালো হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়
আইনজীবী, ঢাকা জজকোর্ট
উচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেন; সরকার সেটি বহাল মানল। এরপর উচ্চ আদালত যখন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেন, সরকার সেটিও মানল। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলা হয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠে যেতে পারে তবে আরও দু'বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকার দু'বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে নেই। সরকারের এ ধরনের দ্বৈত চরিত্র ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
মো. শামীম
শিক্ষার্থী, কিশোরগঞ্জ এ কে টেকনোলজি
উচ্চ আদালতের রায় জনগণের স্বার্থেই হতে হবে। সরকারের মনমতো হলে রায় মানবে আর মনমতো না হলে রায় মানবে না, এটা তো হতে পারে না।
জহিরুল ইসলাম পলাশ
শিক্ষার্থী, চাটখিল সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
দেশের সরকারই যেখানে রায় মানছে না, সেখানে জনগণ কীভাবে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে?
এহসানুল কবীর
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
সরকার যদি উচ্চ আদালতের রায় না মানে তাহলে জনসাধারণের কাছে কী বার্তা পেঁৗছাবে? সরকারের উচিত হবে উচ্চ আদালতের রায় মানা। না হলে উচ্চ আদালতের প্রতি জনগণের আস্থা উঠে যাবে।
মো. মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
উচ্চ আদালতের রায় যদি সরকার না মানে তবে আদালত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। জনগণকে জানাতে পারে। আইনের ঊধর্ে্বর্ কেউ থাকতে পারে না। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের রায় দেশের জনগণের পাশাপাশি সরকারকেও মানার মানসিকতা থাকতে হবে। আর বিচারকদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
জসিম উদ্দিন
ব্যবসায়ী, কেরানীহাট, চট্টগ্রাম
আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কারণ আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি জড়িয়ে গেছে। যদি সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে অবশ্যই উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে। আর দেশের প্রতিটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে।
ওমর আলী
মানবাধিকার কর্মী, বাংলামটর, ঢাকা
নির্বাচিত সরকারের কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
আবু জাহেদ
চাকরিজীবী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
আমরা চাই নির্দলীয় সবকিছু হোক। রায় নিরপেক্ষ হলে সরকারের উচিত হবে তা মেনে নেওয়া।
সুলতান আহমেদ
সংবাদকর্মী, কানাইঘাট, সিলেট
উচ্চ আদালতের রায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সরকার সে রায় মেনে চলুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
উচ্চ আদালতের রায় সরকারকে অবশ্যই মেনে নেওয়া উচিত। আদালতের রায়ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
সরকার যেহেতু দেশ চালাচ্ছে, তারা নিশ্চয় আদালতের রায় ভালো করেই বোঝে। আদালতের রায়কে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা সরকার ভালোভাবেই জানে।
মানছে না। আবার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচন দিতে।
সেটি কিন্তু সরকার ঠিকই মানছে। অর্থাৎ আদালতের রায়
সরকারের পক্ষে গেলে মানবে,
নতুবা নয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
উচ্চ আদালতের রায় মানছে না সরকার_ এই কথাটি কতখানি যৌক্তিক তা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। আদালতের রায় না মেনেই সরকার কীভাবে দেশ চালাচ্ছে? সরকার অবশ্যই আদালতের রায় মেনে চলে। তবে মাঝে মধ্যে ব্যতিক্রম ঘটে। যেমন তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে ঘটেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা এখন আর হবে না। যৌক্তিক কারণেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করার প্রশ্নই আসে না। আমরা আশা করব, যাতে সরকার এবং উচ্চ আদালতের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিক সম্পর্ক সৃষ্টি না হয়। এতে করে দেশের শান্তি-কল্যাণ বিঘি্নত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
জুবায়ের ইসলাম
ব্যবসায়ী, নতুনহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। কারণ এ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত উচ্চ আদালতের রায় মেনে নেওয়া। সে সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায় মেনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া সরকারের উচিত হবে।
অ্যাডভোকেট ফাহাদ উদ্দিন বিন আমিন
আইনজীবী, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করার মতো খারাপ নজির আগেও ছিল। বর্তমান সরকার তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মাত্র। বর্তমান সরকারের উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানছে না, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতের সরকারও এটার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জনগণের ওপর।
জাহিদুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, তালতলা, সিলেট
যে সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না সে সরকার আগামী নির্বাচনের রায় মানবে কী করে?
মো. শামসু
চালক, ফুলপুর, ময়মনসিংহ
সরকারকে উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে এবং আইন অনুযায়ী চলতে হবে। কারণ, এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। আইনগত বৈধ সরকার।
মো. এনামুল হক মনি
ব্যবসায়ী, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
সরকারকে অবশ্যই উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে, নইলে দেশ বিপথে যাবে।
কিবরিয়া হোসেন বাপ্পী
শিক্ষার্থী, সরকারি মুহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম
উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে সরকার দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছে। একদিকে তারা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট রায়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করছে, আবার অন্যদিকে জনসংশ্লিষ্ট রায়গুলো বাস্তবায়নে অনীহা এবং গাফিলতি করছে। যেটা আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়। সরকারের আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অবশ্য কর্তব্য।
মো. ওমর ফারুক বাবর
শিক্ষার্থী, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ গাজীপুর
যে কোনো দেশের জন্য সরকার ও উচ্চ আদালত একটি অপরিহার্য অংশ। যখনই এ দুটি অংশ পরস্পর বিরোধে জড়িয়ে পড়বে, তখন দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে।
জলিল ইসলাম রায়হান
শিক্ষক, রাঙ্গাবালি, পটুয়াখালী
সরকারের উচ্চ আদালতের রায় না মানার পেছনে কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও দায়ী। এসব দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রাজন ঘোষ
ব্যবসায়ী, কাপাসিয়া, গাজীপুর
সরকার কেন উচ্চ আদালতের রায় মানছে না তা আমরা সবাই জানি। বিচার বিভাগ আসলেই কি আলাদা হয়েছে? সরকারের আদালতের রায় অবমাননার প্রেক্ষাপটে এমন প্রশ্ন উদ্রেক হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যদি সত্যিই বিচার বিভাগ আলাদা হতো, তাহলে সরকার আদালতের রায় মানতে বাধ্য থাকত। আমাদের হাজারো আইন আছে কিন্তু বেশিরভাগ আইনেরই বাস্তব প্রয়োগ নেই। আইনের বাস্তব প্রয়োগের জন্য দরকার সরকারের সদিচ্ছা। এ ক্ষেত্রে বিচারকদেরও আরও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করতে হবে।
পুলক বাবু
চাকরিজীবী, দোহাজারী, চট্টগ্রাম
অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এ দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা এখনও পাইনি। এখনও স্বাধীন হয়নি আমাদের বিচার বিভাগ। এ কারণেই আজ সরকার উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। এক সরকার খুনিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়, আর এক সরকার এসে সে রায় বাতিল করে দেয়। সরকার খেয়ালখুশিমতো আদালতের রায়ের ওপর হস্তক্ষেপ করছে, যা সত্যি দুঃখজনক।
মো. আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড. ঢাকা
সরকারই যদি আদালতের রায় না মানে তবে সাধারণ জনগণ কী করবে? কারণ সরকারকেই তো সাধারণ জনগণ অনুসরণ করে।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এর জন্য দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মো. ইব্রাহিম
চাকরিজীবী, চৌমুহনী, নোয়াখালী
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, সরকার কেন এমন কাজ করছে? সরকার যে উচ্চ আদালতের রায় মানছে না এটা গণতন্ত্রের জন্য মোটেও সুখবর নয়। আদালতকে নিজের গতিতে চলতে দিতে হবে। দেশের স্বার্থে, আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে।
লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরী
ব্যবসায়ী, রাউজান, চট্টগ্রাম
অনেক মামলার রায় বাস্তবায়নে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে রায়গুলো দেওয়া হয়েছে তা বেশিরভাগই মানেনি সরকার। এটি গণতন্ত্রের জন্য এক অশনিসংকেত।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আইনি কাঠামোতে জনগণের ন্যায্যবিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু উচ্চ আদালত মনে হয় তা করছে না। এ কারণেই সরকারও উচ্চ আদালতের রায় মানছে না। বিগত বিএনপি সরকারের আমলেও আমরা দেখেছিলাম আইন লঙ্ঘন করে অনেক সন্ত্রাসীকে রক্ষা করেছিল। এ সরকারকেই আইন ও বিচার বিভাগকে নানা জটিলতার কালো হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়
আইনজীবী, ঢাকা জজকোর্ট
উচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেন; সরকার সেটি বহাল মানল। এরপর উচ্চ আদালত যখন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেন, সরকার সেটিও মানল। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলা হয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠে যেতে পারে তবে আরও দু'বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকার দু'বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে নেই। সরকারের এ ধরনের দ্বৈত চরিত্র ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
মো. শামীম
শিক্ষার্থী, কিশোরগঞ্জ এ কে টেকনোলজি
উচ্চ আদালতের রায় জনগণের স্বার্থেই হতে হবে। সরকারের মনমতো হলে রায় মানবে আর মনমতো না হলে রায় মানবে না, এটা তো হতে পারে না।
জহিরুল ইসলাম পলাশ
শিক্ষার্থী, চাটখিল সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
দেশের সরকারই যেখানে রায় মানছে না, সেখানে জনগণ কীভাবে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে?
এহসানুল কবীর
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
সরকার যদি উচ্চ আদালতের রায় না মানে তাহলে জনসাধারণের কাছে কী বার্তা পেঁৗছাবে? সরকারের উচিত হবে উচ্চ আদালতের রায় মানা। না হলে উচ্চ আদালতের প্রতি জনগণের আস্থা উঠে যাবে।
মো. মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
উচ্চ আদালতের রায় যদি সরকার না মানে তবে আদালত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। জনগণকে জানাতে পারে। আইনের ঊধর্ে্বর্ কেউ থাকতে পারে না। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের রায় দেশের জনগণের পাশাপাশি সরকারকেও মানার মানসিকতা থাকতে হবে। আর বিচারকদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
জসিম উদ্দিন
ব্যবসায়ী, কেরানীহাট, চট্টগ্রাম
আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কারণ আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি জড়িয়ে গেছে। যদি সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে অবশ্যই উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে। আর দেশের প্রতিটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে।
ওমর আলী
মানবাধিকার কর্মী, বাংলামটর, ঢাকা
নির্বাচিত সরকারের কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
আবু জাহেদ
চাকরিজীবী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
আমরা চাই নির্দলীয় সবকিছু হোক। রায় নিরপেক্ষ হলে সরকারের উচিত হবে তা মেনে নেওয়া।
সুলতান আহমেদ
সংবাদকর্মী, কানাইঘাট, সিলেট
উচ্চ আদালতের রায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সরকার সে রায় মেনে চলুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
উচ্চ আদালতের রায় সরকারকে অবশ্যই মেনে নেওয়া উচিত। আদালতের রায়ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
সরকার যেহেতু দেশ চালাচ্ছে, তারা নিশ্চয় আদালতের রায় ভালো করেই বোঝে। আদালতের রায়কে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা সরকার ভালোভাবেই জানে।
No comments