যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চান সৌদির 'বার্বি' রাজকন্যা-* দেশে নিরাপত্তাঝুঁকির অভিযোগ * ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের কোনো সদস্যের এ ধরনের আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা এই প্রথম
দেশে নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কায় সৌদি রাজকন্যা সারা বিন্তে তালাল বিন আবদুল আজিজ যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। সৌদির ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের কোনো সদস্যের এ ধরনের আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে সৌদি রাজবংশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়বে।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
৩৮ বছরের সারা কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণের পরিকল্পনা করারও অভিযোগ করেন। টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, অপহরণ করে তাঁকে রিয়াদে ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর সন্তানদেরও অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। লন্ডনের একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সৌদি আরবের 'বার্বি' রাজক্যনা হিসেবে পরিচিত সারা চার সন্তান নিয়ে বর্তমানে লন্ডনের একটি পাঁচ-তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন। তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ব্যক্তিগত একটি নিরাপত্তা দল। রয়েছে দুটি পোষা কুকুরও।
সারা বলেন, 'আমি এখন খুবই ভয়ের মধ্যে আছি। আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে রাজপরিবারের বিরোধিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।' এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগসাজশ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। তবে সারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সারার আইনজীবীরা তাঁর আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটি গত শুক্রবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। সারার অভিযোগ যাচাই করে তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সৌদি আরব তাঁকে দেশে ফেরত চায়। এ অবস্থায় লন্ডন-রিয়াদের কূটনৈতিক বিবাদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশা আবদুল আজিজ সারার দাদা। তাঁর বাবা ৮০ বছরের যুবরাজ তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। তালাল 'দ্য রেড প্রিন্স' হিসেবে খ্যাত। বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যের পর ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আছেন সারা। বাবার সঙ্গে নিজের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কিছু একটা হয়েছিল বাবার সঙ্গে। তিনি তা সহজ করে গ্রহণ করতে পারেননি। এ জন্য তিনি আমাকে শাস্তি দিতে চান। অথচ তাঁর সঙ্গে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আমি তাঁর খুবই প্রিয় ছিলাম।'
সারা জানান, মায়ের রেখে যাওয়া সাড়ে ৩২ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গেও তাঁর বিবাদ চলছিল। সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেন সারা। তাঁর মা ছিলেন তালালের তৃতীয় স্ত্রী। ২০০৮ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সারারা ১৪ ভাইবোন। রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন সারা। এক চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে পরে তাঁদের ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার দুই বছর পর সারার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সৌদি দূতাবাস নতুন পাসপোর্ট দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাঁর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাঁকে প্রত্যর্পণের হুমকি দেওয়া হয়। সৌদি দূতাবাসের বাইরে একজন কর্মকর্তাকে তাঁকে জোরপূর্বক ভেতরে নেওয়ারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ সারার। তাঁর দাবি, ব্যাপারটি নিয়ে জলঘোলা করতে চাননি বলেই তিনি তখন পুলিশ ডাকেননি।
সারা জানান, তাঁর চাচা ক্রাউন প্রিন্স নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ তাঁকে সমর্থন দিতেন। কিন্তু গত মাসে তিনি মারা যান। এ অবস্থায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটি ত্বরান্বিত হয়েছে বলে সারা জানান। বলেন 'তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাসহ, হুমকি, হামলা, অপহরণের চেষ্টা' এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাদশা আবদুল্লাহর কর্তৃত্ব বা শরিয়া আইনকে চ্যালেঞ্জ করতে চান না সারা। বলেন, 'আমি আমার অধিকার ও সম্মান ফেরত চাই।' তাঁর চার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় চান তিনি।
সৌদি দূতাবাসের একজন কূটনীতিক বলেন, 'তাঁর (সারা) ভিসা ও যুক্তরাজ্যে থাকার ব্যাপারে দূতাবাস জড়িত। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।
৩৮ বছরের সারা কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণের পরিকল্পনা করারও অভিযোগ করেন। টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, অপহরণ করে তাঁকে রিয়াদে ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর সন্তানদেরও অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। লন্ডনের একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সৌদি আরবের 'বার্বি' রাজক্যনা হিসেবে পরিচিত সারা চার সন্তান নিয়ে বর্তমানে লন্ডনের একটি পাঁচ-তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন। তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ব্যক্তিগত একটি নিরাপত্তা দল। রয়েছে দুটি পোষা কুকুরও।
সারা বলেন, 'আমি এখন খুবই ভয়ের মধ্যে আছি। আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে রাজপরিবারের বিরোধিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।' এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগসাজশ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। তবে সারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সারার আইনজীবীরা তাঁর আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটি গত শুক্রবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। সারার অভিযোগ যাচাই করে তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সৌদি আরব তাঁকে দেশে ফেরত চায়। এ অবস্থায় লন্ডন-রিয়াদের কূটনৈতিক বিবাদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশা আবদুল আজিজ সারার দাদা। তাঁর বাবা ৮০ বছরের যুবরাজ তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। তালাল 'দ্য রেড প্রিন্স' হিসেবে খ্যাত। বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যের পর ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আছেন সারা। বাবার সঙ্গে নিজের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কিছু একটা হয়েছিল বাবার সঙ্গে। তিনি তা সহজ করে গ্রহণ করতে পারেননি। এ জন্য তিনি আমাকে শাস্তি দিতে চান। অথচ তাঁর সঙ্গে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আমি তাঁর খুবই প্রিয় ছিলাম।'
সারা জানান, মায়ের রেখে যাওয়া সাড়ে ৩২ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গেও তাঁর বিবাদ চলছিল। সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেন সারা। তাঁর মা ছিলেন তালালের তৃতীয় স্ত্রী। ২০০৮ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সারারা ১৪ ভাইবোন। রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন সারা। এক চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে পরে তাঁদের ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার দুই বছর পর সারার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সৌদি দূতাবাস নতুন পাসপোর্ট দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাঁর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাঁকে প্রত্যর্পণের হুমকি দেওয়া হয়। সৌদি দূতাবাসের বাইরে একজন কর্মকর্তাকে তাঁকে জোরপূর্বক ভেতরে নেওয়ারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ সারার। তাঁর দাবি, ব্যাপারটি নিয়ে জলঘোলা করতে চাননি বলেই তিনি তখন পুলিশ ডাকেননি।
সারা জানান, তাঁর চাচা ক্রাউন প্রিন্স নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ তাঁকে সমর্থন দিতেন। কিন্তু গত মাসে তিনি মারা যান। এ অবস্থায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারটি ত্বরান্বিত হয়েছে বলে সারা জানান। বলেন 'তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাসহ, হুমকি, হামলা, অপহরণের চেষ্টা' এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাদশা আবদুল্লাহর কর্তৃত্ব বা শরিয়া আইনকে চ্যালেঞ্জ করতে চান না সারা। বলেন, 'আমি আমার অধিকার ও সম্মান ফেরত চাই।' তাঁর চার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় চান তিনি।
সৌদি দূতাবাসের একজন কূটনীতিক বলেন, 'তাঁর (সারা) ভিসা ও যুক্তরাজ্যে থাকার ব্যাপারে দূতাবাস জড়িত। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।
No comments