পুস্তকা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পুস্তকা’র কর্মাধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনটিসিবি) থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল রোববার রাজধানীর
মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক। পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ২৫।
মো. আবুবকর সিদ্দিক মুঠোফোনে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে আসামির সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি জানান, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সালমান এফ রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তিনি আরও জানান, এর আগে গত জুন মাসে সালমান এফ রহমানের অপর দুটি ছাপাখানা শুকতারা ও প্রিপ্রেসের বিরুদ্ধেও এনটিসিবির সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করেছিল। ওই মামলা দুটিরও তদন্ত চলছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হায়াতুজ্জামান মোল্লা জানিয়েছেন, এফআইআর অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০০১ শিক্ষাবর্ষের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বই মুদ্রণের নিরাপত্তা কাগজ, কভার কাগজ প্রদান এবং সেলাই ও বাঁধাই করার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মোট ৬০টি বিষয়ে দুই কোটি ৫১ লাখ পাঁচ হাজার বই খোলাবাজারে বিক্রির জন্য দেওয়ার কথা। ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় বই বাজারজাত করেনি। এমনকি এনটিসিবির বিক্রয় আদেশ ছাড়াই তারা পাঠ্যপুস্তক বাজারজাত করেছে। ফলে চুক্তির ১১ নম্বর শর্ত ভঙ্গ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আবার নির্ধারিত ৩০টি পাঠ্যপুস্তকে এনটিসিবির মান অনুযায়ী কাগজ না দিয়ে নিম্নমানের কাগজ দেওয়ায় আরও প্রায় তিন কোটি টাকা, আরও ২৬টি বিষয়ের নিম্নমানের বই ছাপার জন্য আরও ৫৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৬২ টাকা, নির্ধারিত আকারের চেয়ে ২৪ বিষয়ের বই ছোট করায় ৪৫ লাখ নয় হাজার ৪১৬ টাকা এবং সাতটি বিষয়ের বইতে নিম্নমানের সেলাই দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৪১৯ টাকাসহ মোট ১১ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৩ টাকা জরিমানা করে এনটিসিবি।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে দুদক দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে ইকবাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছে।
মো. আবুবকর সিদ্দিক মুঠোফোনে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে আসামির সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি জানান, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সালমান এফ রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তিনি আরও জানান, এর আগে গত জুন মাসে সালমান এফ রহমানের অপর দুটি ছাপাখানা শুকতারা ও প্রিপ্রেসের বিরুদ্ধেও এনটিসিবির সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করেছিল। ওই মামলা দুটিরও তদন্ত চলছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হায়াতুজ্জামান মোল্লা জানিয়েছেন, এফআইআর অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০০১ শিক্ষাবর্ষের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বই মুদ্রণের নিরাপত্তা কাগজ, কভার কাগজ প্রদান এবং সেলাই ও বাঁধাই করার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মোট ৬০টি বিষয়ে দুই কোটি ৫১ লাখ পাঁচ হাজার বই খোলাবাজারে বিক্রির জন্য দেওয়ার কথা। ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় বই বাজারজাত করেনি। এমনকি এনটিসিবির বিক্রয় আদেশ ছাড়াই তারা পাঠ্যপুস্তক বাজারজাত করেছে। ফলে চুক্তির ১১ নম্বর শর্ত ভঙ্গ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আবার নির্ধারিত ৩০টি পাঠ্যপুস্তকে এনটিসিবির মান অনুযায়ী কাগজ না দিয়ে নিম্নমানের কাগজ দেওয়ায় আরও প্রায় তিন কোটি টাকা, আরও ২৬টি বিষয়ের নিম্নমানের বই ছাপার জন্য আরও ৫৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৬২ টাকা, নির্ধারিত আকারের চেয়ে ২৪ বিষয়ের বই ছোট করায় ৪৫ লাখ নয় হাজার ৪১৬ টাকা এবং সাতটি বিষয়ের বইতে নিম্নমানের সেলাই দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৪১৯ টাকাসহ মোট ১১ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৩ টাকা জরিমানা করে এনটিসিবি।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে দুদক দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে ইকবাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছে।
No comments