এমসি কলেজে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ-আগুনে পুড়ল ছাত্রাবাস
ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের জের ধরে সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে ছাত্রাবাসের ছয়টি ব্লকের চারটি সম্পূর্ণ, দুটির আংশিক পুড়ে গেছে। গতকাল রবিবার রাতে ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর পরই ছাত্রাবাসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, আগুনে চারটি ভবনের ৪২টি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ৭০টির মতো কক্ষ।
সিলেটের প্রাচীন এই কলেজের ছাত্রাবাসে দুই শতাধিক কক্ষ রয়েছে। নগরের উপকণ্ঠ টিলাগড়ে পাহাড়ি টিলাবেষ্টিত বিশাল এলাকাজুড়ে এই ছাত্রাবাসে প্রায় এক হাজার ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
রাত সোয়া ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ড। তিনি জানান, রাত ৮টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু আগুনের তীব্র উত্তাপ ও পানি সংকটের কারণে কাজ শুরু করতে তাঁদের একটু বিলম্ব হয়। পরে তাঁরা কাজ শুরু করেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে মারধর করে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রশিবিরকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন মুহূর্তেই অন্যান্য কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুনে ওই সব কক্ষের বইপুস্তক, আসবাবপত্রসহ সব কিছু পুড়ে যায়। এ সময় ভয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ত্যাগ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরো জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রাবাসের ৩ নম্বর ব্লকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক দফা বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর ছাত্রশিবির পিছু হটলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা একটি পথসভাও করে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ, এস আর রুমেল, ছাত্রশিবিরের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও কর্মী জাহাঙ্গীর আলম। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহ পরান থানার ওসি এনামুল মনোয়ার বলেন, ছাত্রাবাসের চারটি ভবনের শতাধিক কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, আগুনে চারটি ভবনের ৪২টি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ৭০টির মতো কক্ষ।
সিলেটের প্রাচীন এই কলেজের ছাত্রাবাসে দুই শতাধিক কক্ষ রয়েছে। নগরের উপকণ্ঠ টিলাগড়ে পাহাড়ি টিলাবেষ্টিত বিশাল এলাকাজুড়ে এই ছাত্রাবাসে প্রায় এক হাজার ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
রাত সোয়া ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ড। তিনি জানান, রাত ৮টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু আগুনের তীব্র উত্তাপ ও পানি সংকটের কারণে কাজ শুরু করতে তাঁদের একটু বিলম্ব হয়। পরে তাঁরা কাজ শুরু করেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে মারধর করে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রশিবিরকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন মুহূর্তেই অন্যান্য কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুনে ওই সব কক্ষের বইপুস্তক, আসবাবপত্রসহ সব কিছু পুড়ে যায়। এ সময় ভয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ত্যাগ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরো জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রাবাসের ৩ নম্বর ব্লকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক দফা বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর ছাত্রশিবির পিছু হটলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা একটি পথসভাও করে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ, এস আর রুমেল, ছাত্রশিবিরের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও কর্মী জাহাঙ্গীর আলম। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহ পরান থানার ওসি এনামুল মনোয়ার বলেন, ছাত্রাবাসের চারটি ভবনের শতাধিক কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
No comments