সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে অনেকের পেটের ভাত হজম হয় না : প্রধানমন্ত্রী
গণমাধ্যম যাচাই-বাছাই না করে সরকারের বিরুদ্ধে লিখছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে অনেকের পেটের ভাত হজম হয় না।' বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত টক শোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'জনগণ ভালো থাকলে অনেকের ভালো লাগে না।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাদের পছন্দ নয়। সরকার ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছে এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে এত সমালোচনা।'
গতকাল শনিবার দুপুরে গণভবনে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রারম্ভিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'মিডিয়া এখন স্বাধীনভাবে লিখছে। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। আমরা যখন গরিব মানুষকে দিচ্ছি, তখনই তাদের যত হা-হুতাশ। কেননা গরিব মানুষকে দিলে তাদের ভাগে টান পড়ে যায়।' গ্রামের মানুষের কোনো হা-হুতাশ নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, মিডিয়া, টক শোতে এক চিত্র, আর গ্রামে গেলে আরেক চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মিডিয়ায় স্বাধীনতার অপব্যবহার হচ্ছে। সত্য না মিথ্যা তা যাচাই করার দরকার নেই। তাদের লিখতেই হবে। আমি প্রতিদিন পত্রিকাগুলো দেখি। কিছু দাগ দিয়ে রাখি। অনেক সময় এমন সব ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয় এবং তাতে দেশের যে ক্ষতি হয়ে যায়, সেটি তারা বুঝতেও পারে না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের অবস্থা ভালো নয় বলে অনেকে সমালোচনা করছেন। যাঁরা ভালো দেখেন না, তাঁরা চান না মানুষ একটু ভালো থাকুক। জনগণ স্বস্তিতে থাকুক।' তিনি বলেন, 'জঙ্গিবাদ নেই, বাংলা ভাই নেই, বোমার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে যাদের মনে শান্তি নেই, তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই- বিএনপি-জামায়াতের সময় দেশ ছিল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, হত্যা, খুন আর দুর্নীতির দেশ। এখন সেগুলো নেই বলেই কি তাদের মনে এত অশান্তি?'
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তেলা মাথায় তেল ঢালতে পছন্দ করে না।
বিগত জোট সরকারের আমলে ১৪ সাংবাদিক নিহত এবং এক হাজার ৪০০ আহত হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সাংবাদিককে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে মামলা করতে পারেননি। আবার অনেকে নিজ এলাকায়ও থাকতে পারেননি।
অসাংবিধানিকভাবে কেউ যেন ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'মিলিটারি ডিক্টেটরদের পকেট থেকে জন্ম নেওয়া এবং উড়ে এসে জুড়ে বসাদের দল দিয়ে জনগণের কোনো কল্যাণ হতে পারে না।'
সরকারের অর্জনগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ যে শান্তিতে থাকে, সেটা মানুষকে বলতে হবে।'
কুড়িগ্রামের দলীয় নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রংপুর-কুড়িগ্রাম অঞ্চল থেকে মঙ্গা দূর করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতেও এ দেশে আর মঙ্গা বলে কোনো শব্দ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলার সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী এমপি। জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকাররম হোসেন সাচ্চুসহ বিভিন্ন থানা-উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভায় অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সতীশ চন্দ্র রায়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে গণভবনে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রারম্ভিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'মিডিয়া এখন স্বাধীনভাবে লিখছে। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। আমরা যখন গরিব মানুষকে দিচ্ছি, তখনই তাদের যত হা-হুতাশ। কেননা গরিব মানুষকে দিলে তাদের ভাগে টান পড়ে যায়।' গ্রামের মানুষের কোনো হা-হুতাশ নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, মিডিয়া, টক শোতে এক চিত্র, আর গ্রামে গেলে আরেক চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মিডিয়ায় স্বাধীনতার অপব্যবহার হচ্ছে। সত্য না মিথ্যা তা যাচাই করার দরকার নেই। তাদের লিখতেই হবে। আমি প্রতিদিন পত্রিকাগুলো দেখি। কিছু দাগ দিয়ে রাখি। অনেক সময় এমন সব ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয় এবং তাতে দেশের যে ক্ষতি হয়ে যায়, সেটি তারা বুঝতেও পারে না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের অবস্থা ভালো নয় বলে অনেকে সমালোচনা করছেন। যাঁরা ভালো দেখেন না, তাঁরা চান না মানুষ একটু ভালো থাকুক। জনগণ স্বস্তিতে থাকুক।' তিনি বলেন, 'জঙ্গিবাদ নেই, বাংলা ভাই নেই, বোমার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে যাদের মনে শান্তি নেই, তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই- বিএনপি-জামায়াতের সময় দেশ ছিল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, হত্যা, খুন আর দুর্নীতির দেশ। এখন সেগুলো নেই বলেই কি তাদের মনে এত অশান্তি?'
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তেলা মাথায় তেল ঢালতে পছন্দ করে না।
বিগত জোট সরকারের আমলে ১৪ সাংবাদিক নিহত এবং এক হাজার ৪০০ আহত হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সাংবাদিককে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে মামলা করতে পারেননি। আবার অনেকে নিজ এলাকায়ও থাকতে পারেননি।
অসাংবিধানিকভাবে কেউ যেন ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'মিলিটারি ডিক্টেটরদের পকেট থেকে জন্ম নেওয়া এবং উড়ে এসে জুড়ে বসাদের দল দিয়ে জনগণের কোনো কল্যাণ হতে পারে না।'
সরকারের অর্জনগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ যে শান্তিতে থাকে, সেটা মানুষকে বলতে হবে।'
কুড়িগ্রামের দলীয় নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রংপুর-কুড়িগ্রাম অঞ্চল থেকে মঙ্গা দূর করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতেও এ দেশে আর মঙ্গা বলে কোনো শব্দ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলার সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী এমপি। জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকাররম হোসেন সাচ্চুসহ বিভিন্ন থানা-উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভায় অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সতীশ চন্দ্র রায়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments