সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিকেই নজর দিতে হবে-সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
গত রোববার সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন, যা আলোচনার দাবি রাখে। তিনি যথার্থভাবেই জনপ্রশাসনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন এবং অনেক বিষয়ে কেন্দ্রের দিকে না তাকিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের বড় বাধা রাজনৈতিক, সন্দেহ নেই।
কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের গা বাঁচানোর মানসিকতাও কম দায়ী নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র নীতি নির্ধারণ করবে; আর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়োগ, বদলি, ছুটি, পেনশন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, ভূমি অধিগ্রহণসহ অনেক কাজ স্থানীয় পর্যায়ে সম্পন্ন করারও তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে কার্যবিধি সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে তাও করতে হবে।
সরকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের বাধাগুলো অপসারণ করা অসম্ভব নয়। সংবিধানে চার স্তরের স্থানীয় সরকারের কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি। জেলা পরিষদ নির্বাচিত নয়। উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হলেও দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসা হয়নি। সাংসদেরা স্থানীয় সরকারের কর্তৃত্বই মানতে চান না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসন যাতে নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে আরও গতিশীল করার যে তাগিদ দিয়েছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। সমস্যা হলো বাস্তবায়ন নিয়ে। সরকার অনেক ভালো সিদ্ধান্ত নিলেও সময়মতো তা বাস্তবায়িত হয় না, ফলে জনগণ তার সুফল পায় না। গত অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বেড়েছে, এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় তা কম। অতএব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার আরও বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরস্কার ও শাস্তির বিধান রাখতে পারে।
বৈঠকে কয়েকজন সচিব খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। এটি ভালো লক্ষণ। এতে নীতিনির্ধারক ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তার অবসান হয়, পারস্পরিক আস্থা বাড়ে। সে দিক থেকে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে সচিবেরা তাঁদের বক্তব্যে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে যতটা উৎসাহী ছিলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাধাগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ততটাই ছিলেন নীরব। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিশ্চয়ই তাঁরা মাঠপ্রশাসনের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত।
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন, কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচিবদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য অযৌক্তিকভাবে না বাড়াতে পারে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বেগের সঙ্গে আমরাও একমত। প্রশ্ন হলো, কথিত বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙা যাবে কী করে? এর সঙ্গে সরকারি দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্ত থাকলে প্রশাসনের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন বৈকি। সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আসতে হবে রাজনৈতিক পর্যায়েই। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানি নিয়ে গত বছর যে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সরকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের বাধাগুলো অপসারণ করা অসম্ভব নয়। সংবিধানে চার স্তরের স্থানীয় সরকারের কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি। জেলা পরিষদ নির্বাচিত নয়। উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হলেও দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসা হয়নি। সাংসদেরা স্থানীয় সরকারের কর্তৃত্বই মানতে চান না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসন যাতে নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে আরও গতিশীল করার যে তাগিদ দিয়েছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। সমস্যা হলো বাস্তবায়ন নিয়ে। সরকার অনেক ভালো সিদ্ধান্ত নিলেও সময়মতো তা বাস্তবায়িত হয় না, ফলে জনগণ তার সুফল পায় না। গত অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বেড়েছে, এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় তা কম। অতএব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার আরও বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরস্কার ও শাস্তির বিধান রাখতে পারে।
বৈঠকে কয়েকজন সচিব খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। এটি ভালো লক্ষণ। এতে নীতিনির্ধারক ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তার অবসান হয়, পারস্পরিক আস্থা বাড়ে। সে দিক থেকে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে সচিবেরা তাঁদের বক্তব্যে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে যতটা উৎসাহী ছিলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাধাগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ততটাই ছিলেন নীরব। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিশ্চয়ই তাঁরা মাঠপ্রশাসনের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত।
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন, কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচিবদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য অযৌক্তিকভাবে না বাড়াতে পারে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বেগের সঙ্গে আমরাও একমত। প্রশ্ন হলো, কথিত বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙা যাবে কী করে? এর সঙ্গে সরকারি দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্ত থাকলে প্রশাসনের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন বৈকি। সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আসতে হবে রাজনৈতিক পর্যায়েই। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানি নিয়ে গত বছর যে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments