মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা-এশিয়া অঞ্চলে আরও যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নৌশক্তি আরও জোরদার করছে। ২০২০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের মোট যুদ্ধজাহাজের ৬০ শতাংশ এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এশিয়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্যানেট্টা বলেন, যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সামরিক অংশীদারির আওতা বাড়ানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেখানে জোরালো প্রভাব নিশ্চিত করতে ‘সুচিন্তিত ও দৃঢ়’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলগত পরিবর্তনের উদ্দেশ্য চীনকে প্রতিহত করা নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় উদ্বিগ্ন চীন। চীনের আশঙ্কা, দক্ষিণ চীন সাগরসহ এই অঞ্চলে চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নৌশক্তি বাড়াচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই অঞ্চলে আমাদের নৌশক্তি বৃদ্ধিকে অনেকে চীনের প্রতি একধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। কিন্তু আমি এটাকে পুরোপুরি নাকচ করে দিচ্ছি; বরং ওই অঞ্চলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধিতে চীনও উপকৃত হবে। কেননা, ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।’
প্যানেট্টা জানান, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় সমানসংখ্যক মার্কিন নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে ওই দুই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ করা হবে। এ ছাড়া ডুবোজাহাজ ও নৌযুদ্ধের বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে যুদ্ধবিমানবাহী ছয়টি রণতরি।
মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান আরও জানান, তাঁদের মোট ১১টি জঙ্গিবিমানবাহী রণতরির ছয়টি এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ চলতি বছর নৌবহর থেকে বাদ পড়লে সেই সংখ্যা পাঁচ-এ নেবে আসবে। তবে ২০১৫ সালে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের নতুন একটি রণতরি সেখানে পাঠানো হবে।
ভারতের টাইমস নাউ টেলিভিশন গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত স্বার্থের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের সপ্তম নৌবহরের ঘাঁটি গড়তে চায়। কেননা, দক্ষিণ চীন সাগরের ঘাঁটিগুলোতে চীনের শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের সার্বিক উপস্থিতি বাড়াতে চায়। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করা গেলে সেখান থেকে একদিকে যেমন চীনের ওপর নজরদারি করা যাবে, তেমনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুবিধাজনক কৌশলগত অবস্থান হবে।
তবে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনাই হয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চট্টগ্রামে মার্কিন সপ্তম নৌবহর মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বলে টাইমস নাউ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বাজেটে কাটছাঁটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরের আকার আগামী কয়েক বছরে ছোট করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা যেকোনো মূল্যে বাড়ানো হবে।
‘সাংগ্রি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক সম্মেলনে মার্কিন সামরিক কৌশলসম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেন প্যানেট্টা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৭টি দেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ওই সম্মেলনে যোগ দেন। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলগত পরিবর্তনের উদ্দেশ্য চীনকে প্রতিহত করা নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় উদ্বিগ্ন চীন। চীনের আশঙ্কা, দক্ষিণ চীন সাগরসহ এই অঞ্চলে চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নৌশক্তি বাড়াচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই অঞ্চলে আমাদের নৌশক্তি বৃদ্ধিকে অনেকে চীনের প্রতি একধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। কিন্তু আমি এটাকে পুরোপুরি নাকচ করে দিচ্ছি; বরং ওই অঞ্চলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধিতে চীনও উপকৃত হবে। কেননা, ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।’
প্যানেট্টা জানান, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় সমানসংখ্যক মার্কিন নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে ওই দুই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ করা হবে। এ ছাড়া ডুবোজাহাজ ও নৌযুদ্ধের বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে যুদ্ধবিমানবাহী ছয়টি রণতরি।
মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান আরও জানান, তাঁদের মোট ১১টি জঙ্গিবিমানবাহী রণতরির ছয়টি এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ চলতি বছর নৌবহর থেকে বাদ পড়লে সেই সংখ্যা পাঁচ-এ নেবে আসবে। তবে ২০১৫ সালে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের নতুন একটি রণতরি সেখানে পাঠানো হবে।
ভারতের টাইমস নাউ টেলিভিশন গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত স্বার্থের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের সপ্তম নৌবহরের ঘাঁটি গড়তে চায়। কেননা, দক্ষিণ চীন সাগরের ঘাঁটিগুলোতে চীনের শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের সার্বিক উপস্থিতি বাড়াতে চায়। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করা গেলে সেখান থেকে একদিকে যেমন চীনের ওপর নজরদারি করা যাবে, তেমনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুবিধাজনক কৌশলগত অবস্থান হবে।
তবে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনাই হয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চট্টগ্রামে মার্কিন সপ্তম নৌবহর মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বলে টাইমস নাউ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বাজেটে কাটছাঁটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরের আকার আগামী কয়েক বছরে ছোট করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা যেকোনো মূল্যে বাড়ানো হবে।
‘সাংগ্রি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক সম্মেলনে মার্কিন সামরিক কৌশলসম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেন প্যানেট্টা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৭টি দেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ওই সম্মেলনে যোগ দেন। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
No comments