সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও নিয়মিত তদারকি জরুরি-গণপরিবহনে নৈরাজ্য
রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমানোর জন্য এ খাতে সংস্কার দীর্ঘ প্রত্যাশিত। কিন্তু অগ্রগতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গণপরিবহন খাতে নৈরাজ্যের মতোই নৈরাজ্য রয়েছে এ ব্যাপারে সরকারের ভাবনাচিন্তায়ও। গত ১৫ জুলাই থেকে রাজধানীতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস-মিনিবাস এবং ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক নিষিদ্ধ করে
অভিযান শুরু করার পর এখন আবার রাজধানীতে ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় এ খাতে সরকারের অদূরদর্শিতা, যথাযথ পরিকল্পনার ঘাটতিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ও প্রস্তুতিহীন ছিল, তা-ই স্পষ্ট হয়েছে এ ঘটনায়।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি ইতিবাচক। এতে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যানবাহনের প্রাদুর্ভাব কমবে, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে। কিন্তু এই কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আগে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে কী অবস্থা বিরাজ করছে, সেটা বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। এমনিতেই ঢাকায় জনসংখ্যার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অপ্রতুল। ফলে অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হওয়াসহ জনদুর্ভোগ ভয়াবহভাবে বেড়ে যেতে দেখা গেছে। তাড়াহুড়ো করে অভিযান শুরু না করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে অভিযান করা হলেই সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতো। যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি এড়ানোও সম্ভব হতো। আর ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক রাজধানীতে রাত ১১টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলার অনুমতি দেওয়ার মতো কোনো ছাড় সরকারকে দিতে হতো না। ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যানবাহন রাতে চলাচল করলে ঝুঁকি কমে যাওয়ার বা ক্ষতি কম হওয়ার কোনো কারণ তো নেই। এতে বোঝাই যাচ্ছে যে এই পদক্ষেপ সফল করার জন্য কর্তৃপক্ষের যতটা প্রস্তুতি থাকা আর কৌশলী হওয়া প্রয়োজন ছিল, তাতে ঘাটতি ছিল।
আমরা মনে করি, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দিনে বা রাতে কখনোই চলতে দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু রাজধানীর গণপরিবহন খাতের বাস্তবতা বিবেচনা করে এ ধরনের কর্মসূচি এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যেন পুরোনো যান তুলে নিয়ে নতুন যান রাস্তায় নামানোর জন্য যানবাহনের মালিকদের একটি বাস্তবানুগ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায়, আর সেই সময়ের মধ্যে তাঁরা সেটা করতে ব্যর্থ হলে নতুন ব্যক্তিদের লাইসেন্স দিয়ে নতুন গাড়ি নামানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে। তা ছাড়া কোন সময়ে কত যানবাহন মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেই তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা উচিত। এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করে মেয়াদোত্তীর্ণ যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এবং এর ফলে পরিবহনের ক্ষেত্রে যেন কোনো শূন্যতা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। দীর্ঘ সময়জুড়ে এ ব্যাপারে তদারকির ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবের ফলে বর্তমানের জঞ্জাল জমেছে। অল্প সময়ের এক অভিযানে এর সমাধান পাওয়া কঠিন। এ জন্য প্রয়োজন একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা এবং যথাযথভাবে নিয়মিত তদারকি।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি ইতিবাচক। এতে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যানবাহনের প্রাদুর্ভাব কমবে, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে। কিন্তু এই কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আগে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে কী অবস্থা বিরাজ করছে, সেটা বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। এমনিতেই ঢাকায় জনসংখ্যার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অপ্রতুল। ফলে অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হওয়াসহ জনদুর্ভোগ ভয়াবহভাবে বেড়ে যেতে দেখা গেছে। তাড়াহুড়ো করে অভিযান শুরু না করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে অভিযান করা হলেই সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতো। যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি এড়ানোও সম্ভব হতো। আর ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক রাজধানীতে রাত ১১টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলার অনুমতি দেওয়ার মতো কোনো ছাড় সরকারকে দিতে হতো না। ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যানবাহন রাতে চলাচল করলে ঝুঁকি কমে যাওয়ার বা ক্ষতি কম হওয়ার কোনো কারণ তো নেই। এতে বোঝাই যাচ্ছে যে এই পদক্ষেপ সফল করার জন্য কর্তৃপক্ষের যতটা প্রস্তুতি থাকা আর কৌশলী হওয়া প্রয়োজন ছিল, তাতে ঘাটতি ছিল।
আমরা মনে করি, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দিনে বা রাতে কখনোই চলতে দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু রাজধানীর গণপরিবহন খাতের বাস্তবতা বিবেচনা করে এ ধরনের কর্মসূচি এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যেন পুরোনো যান তুলে নিয়ে নতুন যান রাস্তায় নামানোর জন্য যানবাহনের মালিকদের একটি বাস্তবানুগ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায়, আর সেই সময়ের মধ্যে তাঁরা সেটা করতে ব্যর্থ হলে নতুন ব্যক্তিদের লাইসেন্স দিয়ে নতুন গাড়ি নামানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে। তা ছাড়া কোন সময়ে কত যানবাহন মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেই তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা উচিত। এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করে মেয়াদোত্তীর্ণ যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এবং এর ফলে পরিবহনের ক্ষেত্রে যেন কোনো শূন্যতা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। দীর্ঘ সময়জুড়ে এ ব্যাপারে তদারকির ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবের ফলে বর্তমানের জঞ্জাল জমেছে। অল্প সময়ের এক অভিযানে এর সমাধান পাওয়া কঠিন। এ জন্য প্রয়োজন একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা এবং যথাযথভাবে নিয়মিত তদারকি।
No comments