হালদাপারে মাছের উৎসব by হামিদ উল্লাহ
গরদুয়ারার বাঁকে বাঁকে শত শত নৌকা দাঁড়িয়ে। জাল ফেলার জায়গা নেই কোথাও। কিন্তু তাতে ডিম সংগ্রহে কারও সমস্যা হচ্ছে না। যেটুকু জায়গায় জাল ফেলা হচ্ছে তা-ই ভরে যাচ্ছে ডিমে। একেকটি নৌকায় তিন-চারজন লোক জাল ফেলে ডিম সংগ্রহে ব্যস্ত।
শুক্রবার ভোররাত থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত এভাবেই ব্যস্ত ছিলেন হালদাপারের ডিম সংগ্রহকারী লোকজন।
ডিম সংগ্রহকারী লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতের যেকোনো মৌসুমের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি ডিম পাওয়া গেছে হালদায়। এর পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কেজি। এসব ডিম থেকে প্রায় ৩৫০ কেজি রেণুপোনা পাওয়া যাবে। এর আগে গত ৮ এপ্রিলও একবার ডিম ছেড়েছিল হালদার মা-মাছ। তাতে ৩০ কেজি রেণুপোনা পাওয়া যায়। তবে এপ্রিল মাসে হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য দ্বারা নদী দূষণের কারণে মা-মাছ আর ডিম ছাড়বে কি না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও ডিম সংগ্রহকারী লোকজন সন্দিহান ছিলেন। শুক্রবার শেষ রাতে তাদের সে সন্দেহ দূর হয়। এবারের রেণুপোনার পরিমাণ শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কেজিতে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা যায়, ২০১১ সালে হালদার ডিম থেকে পাওয়া রেণুপোনার পরিমাণ ছিল ২২০ কেজি। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৫০ কেজি এবং ২০০৯ সালে ৪০ কেজি। রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ এসব ডিম দিয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ডিম ছাড়ে কাতলা মাছ।
গতকাল শনিবার হালদার পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ব্যস্ত ছিলেন পোনা ফোটানোর কাজে। নদীর পাড়ে তৈরি অসংখ্য কুয়াতে অব্যাহতভাবে পানি নেড়ে নেড়ে এসব ডিম ফোটাতে হয়। এটা সনাতন পদ্ধতি। তবে মদুনাঘাট এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ডিম ফোটানোর জন্য মৎস্য অধিদপ্তরও কিছু কুয়া তৈরি করেছে।
জানা যায়, ডিম থেকে পোনা ফুটতে ১৬-১৭ ঘণ্টা সময় লাগে। এ জন্য হালদা থেকে যত বেশি ডিম সংগ্রহ করা যায় ততই ভালো। অবশিষ্ট ডিম কর্ণফুলী নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানিতে মিশে ধ্বংস হয়ে যায়। হালদার পানি সাগরে যেতে সময় লাগে মাত্র আট ঘণ্টা।
এবারের মৌসুমে বেশি ডিম সংগ্রহ করতে পারার পেছনে বিশেষজ্ঞ ও ডিম সংগ্রহকারী লোকজন কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের টানা প্রচারণার ফলে মা- মাছ নিধনের বিরুদ্ধে হালদা পাড়ের মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। ফলে এরই মধ্যে হালদায় মা-মাছের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতে ডিমও পাওয়া গেছে প্রচুর। নদীপারের মানুষের আন্তরিকতার কারণে মা-মাছ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আশঙ্কা করেন, নদী খনন কিংবা বাঁক কাটার মতো কাজ শুরু হলে হালদা আবারও মা-মাছশূন্য হয়ে যেতে পারে।
গরদুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার ভোরে মা-মাছ ডিম ছাড়ার সময় নদীতে জোয়ার শুরু হচ্ছিল। এতে মা-মাছের ছেড়ে দেওয়া ডিম উজানে চলে যায়।
এতে স্থানীয় লোকজন উৎফুল্ল মনে ডিম সংগ্রহ করেন। হালদা নদীর গরদুয়ারা, অংকুরিঘোনা, নাপিতেরঘাট, কাগতিয়ারটেক ছাড়াও উজানে রাউজান ও হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানেও ডিম পাওয়া যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রভাতী দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারে হালদায় অতীতের চেয়ে অনেক বেশি ডিম পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সবার সাফল্য।’
জানা যায়, হালদার মা-মাছ ডিম ছাড়ার জন্য বেছে নেয় তুমুল বৃষ্টি আর বজ্রপাত ও পাহাড়ি ঢলের মতো প্রাকৃতিক বৈরি পরিবেশ। এ ধরণের পরিবেশের জন্য মা মাছ প্রতিবছর মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে। পরিবেশ অনুকূল না হলে ডিম ছাড়ার পরিমাণও কমে যায়।
ডিম সংগ্রহকারী লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতের যেকোনো মৌসুমের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি ডিম পাওয়া গেছে হালদায়। এর পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কেজি। এসব ডিম থেকে প্রায় ৩৫০ কেজি রেণুপোনা পাওয়া যাবে। এর আগে গত ৮ এপ্রিলও একবার ডিম ছেড়েছিল হালদার মা-মাছ। তাতে ৩০ কেজি রেণুপোনা পাওয়া যায়। তবে এপ্রিল মাসে হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য দ্বারা নদী দূষণের কারণে মা-মাছ আর ডিম ছাড়বে কি না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও ডিম সংগ্রহকারী লোকজন সন্দিহান ছিলেন। শুক্রবার শেষ রাতে তাদের সে সন্দেহ দূর হয়। এবারের রেণুপোনার পরিমাণ শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কেজিতে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা যায়, ২০১১ সালে হালদার ডিম থেকে পাওয়া রেণুপোনার পরিমাণ ছিল ২২০ কেজি। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৫০ কেজি এবং ২০০৯ সালে ৪০ কেজি। রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ এসব ডিম দিয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ডিম ছাড়ে কাতলা মাছ।
গতকাল শনিবার হালদার পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ব্যস্ত ছিলেন পোনা ফোটানোর কাজে। নদীর পাড়ে তৈরি অসংখ্য কুয়াতে অব্যাহতভাবে পানি নেড়ে নেড়ে এসব ডিম ফোটাতে হয়। এটা সনাতন পদ্ধতি। তবে মদুনাঘাট এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ডিম ফোটানোর জন্য মৎস্য অধিদপ্তরও কিছু কুয়া তৈরি করেছে।
জানা যায়, ডিম থেকে পোনা ফুটতে ১৬-১৭ ঘণ্টা সময় লাগে। এ জন্য হালদা থেকে যত বেশি ডিম সংগ্রহ করা যায় ততই ভালো। অবশিষ্ট ডিম কর্ণফুলী নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানিতে মিশে ধ্বংস হয়ে যায়। হালদার পানি সাগরে যেতে সময় লাগে মাত্র আট ঘণ্টা।
এবারের মৌসুমে বেশি ডিম সংগ্রহ করতে পারার পেছনে বিশেষজ্ঞ ও ডিম সংগ্রহকারী লোকজন কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের টানা প্রচারণার ফলে মা- মাছ নিধনের বিরুদ্ধে হালদা পাড়ের মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। ফলে এরই মধ্যে হালদায় মা-মাছের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতে ডিমও পাওয়া গেছে প্রচুর। নদীপারের মানুষের আন্তরিকতার কারণে মা-মাছ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আশঙ্কা করেন, নদী খনন কিংবা বাঁক কাটার মতো কাজ শুরু হলে হালদা আবারও মা-মাছশূন্য হয়ে যেতে পারে।
গরদুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার ভোরে মা-মাছ ডিম ছাড়ার সময় নদীতে জোয়ার শুরু হচ্ছিল। এতে মা-মাছের ছেড়ে দেওয়া ডিম উজানে চলে যায়।
এতে স্থানীয় লোকজন উৎফুল্ল মনে ডিম সংগ্রহ করেন। হালদা নদীর গরদুয়ারা, অংকুরিঘোনা, নাপিতেরঘাট, কাগতিয়ারটেক ছাড়াও উজানে রাউজান ও হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানেও ডিম পাওয়া যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রভাতী দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারে হালদায় অতীতের চেয়ে অনেক বেশি ডিম পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সবার সাফল্য।’
জানা যায়, হালদার মা-মাছ ডিম ছাড়ার জন্য বেছে নেয় তুমুল বৃষ্টি আর বজ্রপাত ও পাহাড়ি ঢলের মতো প্রাকৃতিক বৈরি পরিবেশ। এ ধরণের পরিবেশের জন্য মা মাছ প্রতিবছর মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে। পরিবেশ অনুকূল না হলে ডিম ছাড়ার পরিমাণও কমে যায়।
No comments