সরকারি হিসাবে আরও বেশি-বাংলাদেশে কালো টাকা জিডিপির ৩৭ শতাংশ
বাংলাদেশে কালোটাকার হার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৭ শতাংশ। এই হিসাবে কালোটাকার পরিমাণ হয় প্রায় এক লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। অস্ট্রিয়ায় জোহানস কেপলার ইউনিভার্সিটি অব লিনজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডারের গবেষণায় বাংলাদেশের কালোটাকার এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
‘বিশ্বব্যাপী ছায়া অর্থনীতি: ১৬২টি দেশের নতুন হিসাব’ নামের এই গবেষণা গত বছর প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক স্নাইডার ২০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কালোটাকা নিয়ে কাজ করছেন। এটাকেই কালোটাকা নিয়ে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য গবেষণা ধরা হয়।
আন্তর্জাতিক গবেষণায় বাংলাদেশের কালোটাকার হার ৩৭ শতাংশ হলেও নিজস্ব হিসাবে এর পরিমাণ আরও বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কালোটাকা জিডিপির সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮১ শতাংশ। এই হিসাবে বাংলাদেশের কালোটাকার পরিমাণ সর্বনিম্ন এক লাখ ৭৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ তিন লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
‘বাংলাদেশের অপ্রকাশ্য অর্থনীতির আকার: একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ’ নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময় জমির অতি উচ্চমূল্য এবং শেয়ারবাজারের তেজিভাবের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ কালোটাকার যোগসূত্র রয়েছে। এ ছাড়া, কালোটাকা বাড়ায় কিছু ব্যক্তির কাছে সম্পদ ঘনীভূত হচ্ছে। এতে সমাজে জীবনযাত্রার মানেও বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।
কোন দেশে কত কালোটাকা: অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গড়ে সবচেয়ে বেশি কালোটাকা আছে লাতিন ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে, ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। সাব-সাহারান আফ্রিকায় এই হার ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় কালোটাকার হার ৩৪ শতাংশ।
দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি অনানুষ্ঠানিক অর্থের মালিক জর্জিয়া। জর্জিয়ায় কালোটাকা দেশটির জিডিপির ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পরের অবস্থান বলিভিয়ার, ৭০ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, দেশটির অনানুষ্ঠানিক বা ছায়া অর্থনীতির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের কালোটাকা ২৩ শতাংশ, ভুটানের ৩১ দশমিক ১ শতাংশ, মালদ্বীপের কালোটাকা ৩২ দশমিক ১ শতাংশ, নেপালের কালোটাকা সাড়ে ৩৭ শতাংশ এবং পাকিস্তানের কালোটাকার হার ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, ৪৭ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের কালোটাকা ছিল ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২০০০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০০২ সালে সাড়ে ৩৫ শতাংশ, ২০০৩ সালে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০০৫ সালে ৩৬ শতাংশ, ২০০৬ সালে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০০৭ সালে তা বেড়ে হয় ৩৭ শতাংশ। অধ্যাপক স্নাইডারের গবেষণায় সবগুলো দেশের ক্ষেত্রেই সর্বশেষ ২০০৭ সালের তথ্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণায় বাংলাদেশের কালোটাকার হার ৩৭ শতাংশ হলেও নিজস্ব হিসাবে এর পরিমাণ আরও বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কালোটাকা জিডিপির সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮১ শতাংশ। এই হিসাবে বাংলাদেশের কালোটাকার পরিমাণ সর্বনিম্ন এক লাখ ৭৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ তিন লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
‘বাংলাদেশের অপ্রকাশ্য অর্থনীতির আকার: একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ’ নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময় জমির অতি উচ্চমূল্য এবং শেয়ারবাজারের তেজিভাবের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ কালোটাকার যোগসূত্র রয়েছে। এ ছাড়া, কালোটাকা বাড়ায় কিছু ব্যক্তির কাছে সম্পদ ঘনীভূত হচ্ছে। এতে সমাজে জীবনযাত্রার মানেও বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।
কোন দেশে কত কালোটাকা: অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গড়ে সবচেয়ে বেশি কালোটাকা আছে লাতিন ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে, ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। সাব-সাহারান আফ্রিকায় এই হার ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় কালোটাকার হার ৩৪ শতাংশ।
দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি অনানুষ্ঠানিক অর্থের মালিক জর্জিয়া। জর্জিয়ায় কালোটাকা দেশটির জিডিপির ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পরের অবস্থান বলিভিয়ার, ৭০ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, দেশটির অনানুষ্ঠানিক বা ছায়া অর্থনীতির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের কালোটাকা ২৩ শতাংশ, ভুটানের ৩১ দশমিক ১ শতাংশ, মালদ্বীপের কালোটাকা ৩২ দশমিক ১ শতাংশ, নেপালের কালোটাকা সাড়ে ৩৭ শতাংশ এবং পাকিস্তানের কালোটাকার হার ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, ৪৭ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের কালোটাকা ছিল ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২০০০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০০২ সালে সাড়ে ৩৫ শতাংশ, ২০০৩ সালে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০০৫ সালে ৩৬ শতাংশ, ২০০৬ সালে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০০৭ সালে তা বেড়ে হয় ৩৭ শতাংশ। অধ্যাপক স্নাইডারের গবেষণায় সবগুলো দেশের ক্ষেত্রেই সর্বশেষ ২০০৭ সালের তথ্য রয়েছে।
No comments