নদী দখলমুক্ত রাখতে অব্যাহত নজরদারি দরকার-তুরাগ-বুড়িগঙ্গায় নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি
এ পর্যন্ত কতবার যে টঙ্গীর তুরাগ, ঢাকার বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, তার কোনো লেখাজোখা নেই। কিন্তু কয়েক দিন না-যেতেই অবৈধ দখলদারদের সদর্পে প্রত্যাবর্তন দেখা গেছে। নদীর তীর একদিকে পরিষ্কার করা, আর অন্যদিকে পুনর্দখল হয়ে যাওয়ার এই খেলা আর কত দিন চলবে? একবার ঢাকার
চারপাশের নদীপথে নৌ-বৃত্তপথ চালু করা হলো। টঙ্গীর তুরাগ তীরসহ কয়েকটি স্থানে নৌযাত্রীদের জন্য জেটিও বানানো হলো। কিন্তু দেখা গেল, সেগুলোও বেদখল। অথচ নৌপথ চালু থাকলে মহানগর ঢাকায় জনপরিবহন কিছুটা উন্নত হয়। তাহলে সম্ভাবনাময় এই নৌপথ অব্যবহূত রাখা হচ্ছে কেন?
এখন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি চালু করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার একাংশে নৌযান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আশা করা হচ্ছে, এতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার লক্ষাধিক লোক ও জানমালের নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ। কারণ, ওই এলাকাটি অপরাধীদের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
কিন্তু নৌ-ফাঁড়িকে আরেকটি বড় কাজ করতে হবে। নদীর তীর অবৈধ দখলমুক্ত রাখার গুরুদায়িত্বটিও তাদের ওপর অর্পণ করা হোক। যারা নদী দখলের ব্যবসা করে, তাদের তৎপরতা রোধে নৌ-ফাঁড়ির কঠোর নজরদারি কার্যকর করা হোক। শুধু তা-ই নয়, নদীর তীরে গড়ে ওঠা অনেক শিল্পকারখানার বর্জ্য সরাসরি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে ফেলা হয়। এভাবে নদীদূষণ চলছে নির্বিবাদে। আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন, কিন্তু কার্যকর হয় না। এই দূষণ রোধের জন্যও দরকার নৌ-ফাঁড়ি।
শুধু তুরাগ তীরের নৌ-ফাঁড়িই যথেষ্ট নয়। নৌ-বৃত্তপথের জন্য ঢাকা মহানগরের চারপাশের নদীতীরে আরও কিছু নৌ-ফাঁড়ি চালু করতে হবে। এদের যেমন লোকবল থাকবে, তেমনি থাকবে যানবল। তাদের স্পিডবোট ও অন্য সাজসরঞ্জাম দিয়ে সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা না হলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।
বিশ্বের সব দেশই প্রধান নগরগুলোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর তীর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। নদীসম্ভারে ঢাকা হয়তো লন্ডন, মস্কো, বেইজিংয়ের মতো হবে না, তাই বলে কলকাতার মতোও হওয়া যাবে না? অবহেলা যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়।
এখন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি চালু করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার একাংশে নৌযান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আশা করা হচ্ছে, এতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার লক্ষাধিক লোক ও জানমালের নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ। কারণ, ওই এলাকাটি অপরাধীদের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
কিন্তু নৌ-ফাঁড়িকে আরেকটি বড় কাজ করতে হবে। নদীর তীর অবৈধ দখলমুক্ত রাখার গুরুদায়িত্বটিও তাদের ওপর অর্পণ করা হোক। যারা নদী দখলের ব্যবসা করে, তাদের তৎপরতা রোধে নৌ-ফাঁড়ির কঠোর নজরদারি কার্যকর করা হোক। শুধু তা-ই নয়, নদীর তীরে গড়ে ওঠা অনেক শিল্পকারখানার বর্জ্য সরাসরি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে ফেলা হয়। এভাবে নদীদূষণ চলছে নির্বিবাদে। আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন, কিন্তু কার্যকর হয় না। এই দূষণ রোধের জন্যও দরকার নৌ-ফাঁড়ি।
শুধু তুরাগ তীরের নৌ-ফাঁড়িই যথেষ্ট নয়। নৌ-বৃত্তপথের জন্য ঢাকা মহানগরের চারপাশের নদীতীরে আরও কিছু নৌ-ফাঁড়ি চালু করতে হবে। এদের যেমন লোকবল থাকবে, তেমনি থাকবে যানবল। তাদের স্পিডবোট ও অন্য সাজসরঞ্জাম দিয়ে সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা না হলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।
বিশ্বের সব দেশই প্রধান নগরগুলোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর তীর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। নদীসম্ভারে ঢাকা হয়তো লন্ডন, মস্কো, বেইজিংয়ের মতো হবে না, তাই বলে কলকাতার মতোও হওয়া যাবে না? অবহেলা যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়।
No comments