প্রতারণার নানা ফাঁদ-সতর্ক থাকুন, সতর্ক করুন
ধনসম্পদ বাড়ূক_ এমন মনোভাব সম্ভবত বেশিরভাগ নারী-পুরুষের। এর পন্থা যথার্থ কি-না, সেটা নিয়ে কেউ ভাবে, কেউবা ভাবতে চায় না। সৎ না অসৎ পন্থা_ সেটা নিয়েও অভিন্ন মত মিলবে না। তবে ধনলাভ যেন দ্রুত হয় এবং ঝুট-ঝামেলা কম থাকে, সেটা চাইবে বেশিরভাগ মানুষ।
আবার লাভের আশায় ঝুঁকি নিতে চাওয়া লোকের সংখ্যাও কম নয়। ধান্ধাবাজ-ফটকাবাজরা কি এ সুযোগটাই নিতে তৎপর থাকে? লোভের বশে মানুষ কি স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে বসে? একের পর এক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কথা প্রকাশ পাচ্ছে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে। অভিনব সব কৌশলে ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করা হয় এক বা দু'জন নয় বরং হাজার হাজার মানুষকে। গণমাধ্যম এসব ঘটনা নিয়মিত তুলে ধরছে। প্রতারকদের কাছ থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও এ বিষয়ে অবগত। কিন্তু তারপরও ঘটছে অভাবিত সব ঘটনা। শনিবার সমকালের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'অনলাইনে আয়_ প্রতারণার অভিযোগে স্কাইল্যান্সারের চেয়ারম্যান আটক'। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিপুল আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন_ এমনই অভিযোগ। শুক্রবার একদল প্রতারিত গ্রাহক পুলিশকে খবর দিলে চেয়ারম্যানকে আটকের ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তি অবশ্য দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার যারা জানেন, তারা কীভাবে এত সহজে প্রতারকের ফাঁদে ধরা পড়লেন সে প্রশ্ন স্বাভাবিক। এ কাজ যারা করেছে তাদের অন্যায় গুরুতর এবং কঠোর শাস্তি হোক, এটাই কাম্য। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে তারা কী করে দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে পারল, সেটাও প্রশ্ন। নাকি দু'পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা গড়ে উঠেছিল? দুর্ভাগ্য যে, এ প্রশ্নের নিষ্পত্তি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-খবর সাধারণের হাতে থাকে না। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন_ আধুনিক প্রযুক্তির সুফল যাদের নাগালে তারা কেন এত সহজে বিপদে পড়ে যেতে পারে? পরিশ্রমবিহীন উপার্জনের টোপ সামনে পড়তেই পারে। কিন্তু তা যে ঝুঁকি ও ঝামেলাহীন নয়, বরং থাকতে পারে বিপদ_ সেটা কি একবারের জন্যও মনে হয় না?
No comments