অমানবিক কর্মপরিবেশ বদলাতে হবে-পোশাকশ্রমিকের জীবন ও মৃত্যু
ঢাকার মিরপুরে কর্মরত অবস্থায় কারখানার ভেতরে এক নারী পোশাকশ্রমিকের অপমৃত্যু হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিউটি নামের ওই শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনা পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মজুরি-বঞ্চনার পাশাপাশি তাঁদের ওপর চলা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়াবহতাকেই তুলে ধরেছে।
যথারীতি তাঁর সহকর্মীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন এবং যথারীতি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন আহতও হয়েছেন। তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের এই অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্থিতিশীলতা আনা কঠিন। এ অবস্থা শিল্পটির জন্য তো বটেই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্যও হুমকিস্বরূপ।
লাখ লাখ নারীশ্রমিক এই শিল্পে কাজ করতে গিয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতির শিকার হন। মজুরি শোষণ ছাড়াও মালিকপক্ষের অমানবিক আচরণে প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হতে হয় শ্রমিকদের। গত কয়েক বছরে পোশাকশ্রমিকদের প্রায় সব আন্দোলনেই নারীশ্রমিকদের নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার কিছুই হয়নি। মারধর-গালিগালাজ-অপমান থেকে শুরু করে যৌন নিপীড়ন তাঁদের জীবনের নিত্যদিনের ঘটনা। মিরপুরের ওই নিহত শ্রমিক বিউটির বেলায়ও দেখা যায়, কাজ নিয়ে প্রথমে তাঁর সঙ্গে ফ্লোর ইনচার্জের ঝগড়া হয়। ফ্লোর ইনচার্জ এর জন্য তাঁকে অশ্লীল গালাগাল করে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এর কিছুক্ষণ পর শোনা যায়, বিউটি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়, বিউটির ভাগ্যে কী ঘটেছিল। এ রকম অজস্র বিউটিকে প্রতিদিন এ ধরনের নিপীড়ন ও গঞ্জনা সইতে হয়। অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশও শ্রমিকদের হতাশ করে। প্রায়ই আগুনে পুড়ে মৃত্যুর খবর প্রমাণ করে, কারখানাগুলো কী পরিমাণ অনিরাপদ। বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা তাই সময়েরই প্রয়োজন।
অল্পবয়সী মেয়েরা উপার্জন করে সম্মানের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য এখানে শ্রম বিক্রি করতে আসে। বিনিময়ে তারা যে আচরণ পায়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতাহীন বখাটে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা-পুলিশ কর্মকর্তাদের কারখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রাখা হয়। ভাবা হয়, নিয়ন্ত্রণ কঠোর হলেই শ্রমিকেরা মুখ বুজে বেশি কাজ করবেন। কিন্তু বলপ্রয়োগের এই মধ্যযুগীয় পদ্ধতি বর্তমান দুনিয়ায় অচল। গতিশীল প্রশাসন মানেই শিক্ষিত ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ একদল কর্মীকে বোঝায়, যারা শ্রমিকদের উৎপাদনের সহযোগী ভাববে। অথচ তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সেভাবে ভাবা হয় না।
ইউরোপ-আমেরিকায় শিল্প-কারখানায় কেবল বাঁচার মতো মজুরিই নয়, কর্মপরিবেশের বিষয়টিও একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। পোশাকশিল্পে বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি আর মালিকপক্ষের উদাসীনতা কিংবা শ্রমিকের সহনশীলতার ওপর ছেড়ে রাখা যায় না। এ শিল্পে মানবিক ও সভ্য কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সরকারকে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হবে। সেসবের ভিত্তিতে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সব কারখানা ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি রোধে অভিযোগ কেন্দ্র গঠন এবং নীতিমালা প্রণয়নের পুরোনো দাবি বাস্তবায়নও এখন জরুরি।
লাখ লাখ নারীশ্রমিক এই শিল্পে কাজ করতে গিয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতির শিকার হন। মজুরি শোষণ ছাড়াও মালিকপক্ষের অমানবিক আচরণে প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হতে হয় শ্রমিকদের। গত কয়েক বছরে পোশাকশ্রমিকদের প্রায় সব আন্দোলনেই নারীশ্রমিকদের নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার কিছুই হয়নি। মারধর-গালিগালাজ-অপমান থেকে শুরু করে যৌন নিপীড়ন তাঁদের জীবনের নিত্যদিনের ঘটনা। মিরপুরের ওই নিহত শ্রমিক বিউটির বেলায়ও দেখা যায়, কাজ নিয়ে প্রথমে তাঁর সঙ্গে ফ্লোর ইনচার্জের ঝগড়া হয়। ফ্লোর ইনচার্জ এর জন্য তাঁকে অশ্লীল গালাগাল করে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এর কিছুক্ষণ পর শোনা যায়, বিউটি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়, বিউটির ভাগ্যে কী ঘটেছিল। এ রকম অজস্র বিউটিকে প্রতিদিন এ ধরনের নিপীড়ন ও গঞ্জনা সইতে হয়। অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশও শ্রমিকদের হতাশ করে। প্রায়ই আগুনে পুড়ে মৃত্যুর খবর প্রমাণ করে, কারখানাগুলো কী পরিমাণ অনিরাপদ। বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা তাই সময়েরই প্রয়োজন।
অল্পবয়সী মেয়েরা উপার্জন করে সম্মানের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য এখানে শ্রম বিক্রি করতে আসে। বিনিময়ে তারা যে আচরণ পায়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতাহীন বখাটে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা-পুলিশ কর্মকর্তাদের কারখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রাখা হয়। ভাবা হয়, নিয়ন্ত্রণ কঠোর হলেই শ্রমিকেরা মুখ বুজে বেশি কাজ করবেন। কিন্তু বলপ্রয়োগের এই মধ্যযুগীয় পদ্ধতি বর্তমান দুনিয়ায় অচল। গতিশীল প্রশাসন মানেই শিক্ষিত ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ একদল কর্মীকে বোঝায়, যারা শ্রমিকদের উৎপাদনের সহযোগী ভাববে। অথচ তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সেভাবে ভাবা হয় না।
ইউরোপ-আমেরিকায় শিল্প-কারখানায় কেবল বাঁচার মতো মজুরিই নয়, কর্মপরিবেশের বিষয়টিও একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। পোশাকশিল্পে বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি আর মালিকপক্ষের উদাসীনতা কিংবা শ্রমিকের সহনশীলতার ওপর ছেড়ে রাখা যায় না। এ শিল্পে মানবিক ও সভ্য কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সরকারকে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হবে। সেসবের ভিত্তিতে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সব কারখানা ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি রোধে অভিযোগ কেন্দ্র গঠন এবং নীতিমালা প্রণয়নের পুরোনো দাবি বাস্তবায়নও এখন জরুরি।
No comments