৫৩তম আইএমওতে বাংলাদেশ গণিত দল

আগামী ৪ থেকে ১৬ জুলাই আর্জেন্টিনার মারডেল প্লাটা শহরে বসবে প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় আসর ৫৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও)-২০১২। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাবে পাঁচজন কৃতী শিক্ষার্থী। তাদের নিয়ে লিখেছেন বায়েজিদ ভূঁইয়া


গত বছর বর্ধিত গণিত ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রথম কোনো ক্যাম্পে ডাক পাই। ক্যাম্পে শুনতে পেলাম যে নবম শ্রেণী থেকে এখনো কেউ বাংলাদেশ থেকে আইএমওতে যায়নি। আর আমি তখন পড়ি অষ্টম শ্রেণীতে। মাথায় তখনই জেঁকে বসেছে আইএমও। সামনের বছর নবম শ্রেণীতে থাকব আমি এবং আমাকেই যেতে হবে। সে অনুযায়ী বছর ধরে অনুশীলন। শেষ পর্যন্ত দলে চান্স, স্বপ্ন সত্যি হলো। নিজের অনুভূতির কথাগুলো এভাবেই বলছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ছাত্র আদীব হাসান। ২০১২ সালে আইএমওতে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচজনের দলে আদীব সবচেয়ে কনিষ্ঠতম সদস্য। আর এই পাঁচজন খুদে গণিতবিদ নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও) মানেই তো বিরাট কিছু। সারা বিশ্ব থেকে বাছাই করা খুদে গণিতবিদদের বিশ্ব লড়াই। প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এই শিক্ষার্থীদের উৎসাহ জোগাতে আসেন বিশ্বের নামকরা গণিতবিদেরা। আইএমওতে আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে সাত বছর ধরে। এবারকার যাত্রা অষ্টমবারের মতো। ১৯৫৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন শুরু হয়। ২০০৪ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত ৪৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান যোগ দেন। বাংলাদেশ সেখানেই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ২০০৫ সালে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত ৪৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় গণিত দল। আইএমওতে বাংলাদেশের শিশুকাল কাটলেও এরই মধ্যে আমাদের অর্জন খুব একটা খারাপ নয়। ২০০৯ সালে জার্মানির ব্রিমেনে আইএমওর সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০তম আয়োজনে সামিন রিয়াসাত ও নাজিয়া চৌধুরী প্রথমবারের মতো অর্জন করে দুটি ব্রোঞ্জ পদক, ২০১০ সালে কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিত ৫১তম আইএমওতে তারিক আদনান এবং ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত ৫২তম আইএমওতে ধনঞ্জয় বিশ্বাস ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে। গত ছয় বছরে চারটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ১৩টি ‘অনারেবল ম্যানশন’ অর্জন করেছে বাংলাদেশের খুদে গণিতবিদেরা।

এবারের গণিত দল
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো দশম গণিত উৎসবের মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে দীর্ঘ মনোনয়ন-প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামী ৪ থেকে ১৬ জুলাই আর্জেন্টিনার মার ডেল প্লাটায় অনুষ্ঠেয় ৫৩তম আইএমওতে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছে কমিটি। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাবে সারা দেশ থেকে বাছাই করা পাঁচজন কৃতী শিক্ষার্থী। তারা হলো: এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ধনঞ্জয় বিশ্বাস ও নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী মির্জা মো. তানজীম শরীফ মুগ্ধ এবং ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ দাশ, এবারের এসএসসি পাস ঢাকার মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র আদীব হাসান।

ধনঞ্জয় বিশ্বাস
‘যতটুকু সময় পাচ্ছি, সবটা সময়ই অনুশীলন করছি। বলতে গেলে প্রস্তুতি অনেক ভালো। এ ছাড়া গত বছরের আইএমওর অভিজ্ঞতা তো আছেই। ভালো কিছু করতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।’ দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ধনঞ্জয় বিশ্বাস। সে এবার চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাবা মিলন কান্তি বিশ্বাস একজন ব্যবসায়ী এবং মা স্বাস্থ্য সহকারী স্বপ্না রানী দে দুজনই স্বপ্ন দেখেন, ছেলে দেশের জন্য বড় কোনো সাফল্য নিয়ে আসবে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধনঞ্জয় বড়। দ্বিতীয়বারের মতো এবার আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে এই প্রতিযোগী। গত বছর ৫২তম আইএমওতে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে ধনঞ্জয়। গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির প্রশিক্ষক কাজী হাসান জুবায়ের, তামান্না ইসলাম উর্মি, নাভেদ ও প্রাণন রহমান খান—সবাই সন্তুষ্ট তার ফলাফলে। নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ধনঞ্জয়। গণিতের অনুশীলন—সব মিলিয়ে অবসর তেমন নেই। সময় হলে গল্পের বই পড়া আর একটু বেশি সুযোগ পেলে ঘুমাতে ভালো লাগে তার। বড় হয়ে গণিত, পদার্থ নিয়ে পড়তে চায় ধনঞ্জয়।

মির্জা মো. তানজীম শরীফ মুগ্ধ
‘২০০৪ সালে তৃতীয় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম অংশ নিই। এরপর শুধু ২০০৫ ও ২০০৯ সাল ছাড়া প্রায় প্রতিবছরই আঞ্চলি এবং জাতীয়তে পুরস্কার পেয়েছি। ২০১০ সালে জাতীয়তে হয়েছিলাম সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন।’ কথাগুলো বলছিল মির্জা মো. তানজীম শরীফ মুগ্ধ। নটর ডেম কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে। জাতীয় ও বর্ধিত ক্যাম্প মিলে প্রায় ১০টি গণিত ক্যাম্পে অংশ নেয় মুগ্ধ। বাবা মো. মির্জা ইসকান্দার ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট কলেজের গণিতের শিক্ষক। তাঁর কাছ থেকে গণিতে হাতেখড়ি। মা স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাহমিনা বেগমের সব সময়ের অনুপ্রেরণা। ছেলের এই সাফল্যে দুজনই অনেক খুশি। কিছুদিন আগে শেষ হলো এইচএসসি পরীক্ষা, কিন্তু তখনো দূরে থাকেনি গণিত থেকে। পরীক্ষার ফাঁকে যখনই সময় পেতাম অন্য বইয়ের মাঝে লুকিয়ে গণিত করেছি। ইচ্ছা ছিল, যেভাবেই হোক দলে চান্স পওয়ার বলছিল মুগ্ধ। অবসরে গান গাইতে পছন্দ করে সে। ২০১০ সালে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুগ্ধ। প্রিয় খেলা টেবিল টেনিস। প্রথমবারের মতো আইএমওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে ভালো কিছু করবে, তেমনটাই ইচ্ছা মুগ্ধর। তিন ভাইয়ের মধ্যে মুগ্ধ দ্বিতীয়।

সৌরভ দাশ
‘একটু টেনশন কাজ করছিল, দলে থাকতে পারব কি না এই নিয়ে। তবে জাতীয় অলিম্পিয়াড থেকে শুরু করে অষ্টম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্প, এপিএমও, বর্ধিত ক্যাম্প সবগুলোতেই পরীক্ষা ভালো হয়েছে। অবশেষে দল ঘোষণা করার পর দেখলাম দলে চান্স পেয়েছি। সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগছে।’ কথাগুলো বলছিল ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ দাশ। সে এবার দ্বিতীয়বারের মতো যাচ্ছে আইএমওতে। বাবা গৌতম বুদ্ধ দাশ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ফুড অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিন এবং মা সুচেতা ভৌমিক গৃহিণী। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে সৌরভ বড়। ‘গতবার কিছুটা প্রস্তুতি কম ছিল, এবার আইএমওর অভিজ্ঞতা আর অনেক অনুশীলন করেছি। আশা আছে ভালো কিছু করব।’ দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে সৌরভ সুফিয়া-নুরুল পুরস্কার পেয়েছিল সৌরভ। বড় হয়ে ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায় সৌরভ। আইএমওর প্রস্তুতির জন্য জ্যামিতি ও নাম্বার থিওরির ওপর জোর দিচ্ছে সৌরভ।

নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ
‘আইএমও দলের জন্য নির্বাচিত হয়েছি শুনে অনেক খুশি হয়েছি। দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলাম।’ বলছিল নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। সে দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন হয়। বাবা মো. মতিউর রহমান মোল্লা বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, আর মা আরিফা পারভীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কম্পিউটার প্রোগ্রামার। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। এ ছাড়া শফিউল্লাহ সপ্তম গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন ও অষ্টম গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন হয় এবং নবম গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয়। বড় হয়ে জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় শফিউল্লাহ। ইচ্ছা আছে গত বছরের আইএমওর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আইএমওতে ভালো কোনো পদক অর্জন করা। সে এবার ঢাকার মণিপুর হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এসএসসি পাস করেছে। অবসরে সায়েন্স ফিকশন পড়তে ভালো লাগে। ‘সব সময়ই চেষ্টা করেছি ক্যাম্পে প্রশিক্ষকদের নির্দেশমতো হোমওয়ার্ক ও পরীক্ষায় অংশ নিতে।’ দেশের জন্য ভালো ফল এনে দিতে চায় এই শফিউল্লাহ।

আদীব হাসান
‘গণিতে অনুশীলনের জন্য ক্লাসের নিয়মিত পড়াশোনাও একটু কমিয়ে দিয়েছি। আব্বু-আম্মু তা জেনেও কিছু বলেননি, তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তা না হলে হয়তো দলে চান্স পেতাম না।’ বলছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র আদীব হাসান। সে দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে আঞ্চলিক পর্বে চ্যাম্পিয়ন এবং জাতীয় পর্বে এসে এম সেকান্দার আলী পুরস্কার পেয়েছে। ‘ছোটবেলা থেকেই গণিতের প্রতি অনেক টান তার। দলে চান্স পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি।’ বলছিলেন আদীবের মা নেত্রকোনার প্রতাপপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হুসনে আরা এবং বাবা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা খুরশেদ উদ্দিন খান। বড় হয়ে ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায় আদিব। কৃতজ্ঞতা জানাতে চায় গৃহশিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ আহসানউল্লাহকে, যাঁর হাত ধরে ২০০৯ সালে প্রথম প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া ধন্যবাদ জানাতে চায় ময়মনসিংহ প্যারালাল ম্যাথ স্কুলের প্রশিক্ষক সৌমিত্র চক্রবর্তীকে, যাঁর কাছ থেকে গণিতের কঠিন সমস্যা সমাধান করা আয়ত্ত করেছে। এবার জেএসসি পরীক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথম হয়েছে আদীব। প্রস্তুতি হিসেবে আইএমওর বিগত সালের প্রশ্ন, বিভিন্ন দেশের জাতীয় অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন অনুশীলন করছে সে। দুই বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে আদীব দ্বিতীয়।

যেভাবে হলো নির্বাচন
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর ও কুষ্টিয়া আঞ্চলিক গণিত উৎসবের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অষ্টমবারের মতো আইএমওতে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় গণিত দলের সদস্যদের অন্বেষণ। এরপর ১৭টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অংশ নেয় ২২ হাজার শিক্ষার্থী। এসব উৎসবে বিজয়ী এক হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫৬ জন গত ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দশম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অংশ নেয়। সেখান থেকে জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরির সেরা ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৩ থেকে ১৯ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় অষ্টম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্প এবং ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল ১৯ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত গণিত ক্যাম্প। পরবর্তীতে অষ্টম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্প ও বর্ধিত গণিত ক্যাম্পের ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ মাহবুব মজুমদারের সুপারিশ অনুসারে ৫২তম আইএমওর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় গণিত দলের পাঁচজন সদস্য নির্বাচন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

No comments

Powered by Blogger.