মন্ত্রী কেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হবেন?-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাচিপ
গত বৃহস্পতিবার সরকার-সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ (স্বাচিপ) তিনটি সংগঠনের বৈঠকে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এই সংগঠনের সভাপতি এবং তিনি সভায় সভাপতিত্বও করছিলেন।
কিন্তু প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সংগঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের নেতারা তাঁর প্রতি বিষোদ্গার করেন। এমনকি তাঁকে কথাও বলতে দেননি। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজ ও ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অভিযোগ আনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে মন্ত্রীকে বক্তব্য দিতে না দেওয়া শিষ্টাচারবর্জিত। আমরা তাদের এই আচরণের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে মন্ত্রীর কাছে উল্লিখিত অভিযোগের জবাবও দাবি করছি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেসব প্রতিষ্ঠান করেছেন, আইনকানুন মেনে করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রভাবিত করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার।
দুর্ভাগ্যজনক যে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের সমর্থক পেশাজীবী সংগঠনগুলো তখন প্রশাসনে দৌরাত্ম্য দেখায়। বিএনপি আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চিকিৎসকদের পদায়ন ও বদলির ব্যাপারে মাতব্বরি করত। এখন স্বাচিপও একই কাজ করছে। কে কোথায় পদায়ন বা বদলি হবেন, সেটি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের, কোন পেশাজীবী সংগঠনের নয়।
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী কি কোনো পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হতে পারেন? এ ব্যাপারে আইনগত বাধা না থাকলেও নৈতিক বাধা আছে বলে আমরা মনে করি। নৌপরিবহনমন্ত্রী কেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকসংগঠনের নেতা কিংবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাচিপের সভাপতি হবেন?
মন্ত্রী হিসেবে তাঁরা অর্পিত দায়িত্ব পালনে কারও প্রতি রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হতে পারেন না। কিন্তু একটি দলীয় ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হলে সেটি যে তাঁদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তা গত বৃহস্পতিবার স্বাচিপের সভায়ও প্রমাণিত। সরকার-নিয়োজিত সব চিকিৎসক ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সেটি তদারক করাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে একটি পেশাজীবী সংগঠনের উপদলীয় কোন্দলে কেন তিনি নিজেকে জড়াবেন?
দুর্ভাগ্যজনক যে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের সমর্থক পেশাজীবী সংগঠনগুলো তখন প্রশাসনে দৌরাত্ম্য দেখায়। বিএনপি আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চিকিৎসকদের পদায়ন ও বদলির ব্যাপারে মাতব্বরি করত। এখন স্বাচিপও একই কাজ করছে। কে কোথায় পদায়ন বা বদলি হবেন, সেটি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের, কোন পেশাজীবী সংগঠনের নয়।
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী কি কোনো পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হতে পারেন? এ ব্যাপারে আইনগত বাধা না থাকলেও নৈতিক বাধা আছে বলে আমরা মনে করি। নৌপরিবহনমন্ত্রী কেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকসংগঠনের নেতা কিংবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাচিপের সভাপতি হবেন?
মন্ত্রী হিসেবে তাঁরা অর্পিত দায়িত্ব পালনে কারও প্রতি রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হতে পারেন না। কিন্তু একটি দলীয় ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা হলে সেটি যে তাঁদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তা গত বৃহস্পতিবার স্বাচিপের সভায়ও প্রমাণিত। সরকার-নিয়োজিত সব চিকিৎসক ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সেটি তদারক করাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে একটি পেশাজীবী সংগঠনের উপদলীয় কোন্দলে কেন তিনি নিজেকে জড়াবেন?
No comments