আ.লীগের সভায় প্রধানমন্ত্রী-পত্রপত্রিকায়, টক শোতে দেশের এক চিত্র, আর গ্রামে অন্য চিত্র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিদিনের পত্রপত্রিকা আর টেলিভিশনের টক শোতে দেশের যে চিত্র ফুটে ওঠে, গ্রামের চিত্র তার সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, কিছু লোক আছে, সাধারণ মানুষ ভালো থাকলে তাঁদের ভালো লাগে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাঁদের পছন্দ নয়। যে কারণে তাঁদের সমালোচনার শেষ নেই।
গতকাল শনিবার গণভবনে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সত্য হোক, মিথ্যা হোক, লিখেই যাচ্ছে। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে মনে হয় তাঁদের পেটের ভাত হজম হয় না। এটাই বাস্তবতা। এতে যে দেশের ক্ষতি হচ্ছে, তা তাঁরা চিন্তাও করেন না। আমরা তাঁদের বাধা দিই না।’ তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ১৪ জন সাংবাদিক নিহত এবং এক হাজার ৪০০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অনেককে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। অনেক সাংবাদিক এলাকায় থাকতে পারতেন না। একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও নির্যাতিত হয়েছেন। থানায় মামলা পর্যন্ত নেওয়া হতো না। বিচার পেত না। তখন ভয়ে সাংবাদিকেরাও লিখতে পারতেন না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন নিশ্চিত করেছি। যে কেউ থানায় মামলা করতে পারে। সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে।’
সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা কথায় কথায় বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, তাঁরা আসলে দেশের মানুষের ভালো চান না। মানুষ ভালো থাকুক, তা তাঁরা চান না। আমরা গ্রামের মানুষকে দিচ্ছি বলে বোধ হয় তাঁদের টান পড়ছে। তাই তাঁদের এত হা-পিত্যেশ। গ্রামের মানুষের মধ্যে কোনো হা-পিত্যেশ দেখি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁদের মনে শান্তি নাই তাঁদের বলছি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কীভাবে খুন, সন্ত্রাস ও বোমাবাজি হয়েছিল? এখন দেশে বাংলা ভাই, জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাস নেই বলেই হয়তো তাঁদের মনে শান্তি নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। দেশের অবস্থা ভালো নেই কোথায়? দেশের মানুষ কি দুর্ভিক্ষে আছে? খাবার পাচ্ছে না? এমন প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, না, কৃষিতে সরকার ভালো করছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু কৃষিতে কেন, সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার থাকলেও আমরা এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত এই সেবা পৌঁছে দিয়েছি। শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যা আগে কখনো হয়নি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। সারা দেশে ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে বেকারদের চাকরি দিয়েছি। সরকারিভাবেই গত সাড়ে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কাজের সুযোগ হয়েছে। যাঁরা খেটে খেতে চান, তাঁরা কাজ করতে পারছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল।’
বিদ্যুৎ-সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য ছিল, ২০১১ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই সময়ে আমরা পাঁচ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করেছি। ২১ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বেড়েছে। বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যদি কিছু উৎপাদন বাড়ত, তা হলে এখন সমস্যা হতো না। তাদের সময় উৎপাদন বাড়া তো দূরের কথা, বরং কমেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা দিয়ে দেশ চালিয়েছে, তারাও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারেনি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ভুলে যায় না। মানুষকে যে কথা দেয়, তা বাস্তবায়ন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ কিছু পায়।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মাহবুব উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সত্য হোক, মিথ্যা হোক, লিখেই যাচ্ছে। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে মনে হয় তাঁদের পেটের ভাত হজম হয় না। এটাই বাস্তবতা। এতে যে দেশের ক্ষতি হচ্ছে, তা তাঁরা চিন্তাও করেন না। আমরা তাঁদের বাধা দিই না।’ তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ১৪ জন সাংবাদিক নিহত এবং এক হাজার ৪০০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অনেককে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। অনেক সাংবাদিক এলাকায় থাকতে পারতেন না। একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও নির্যাতিত হয়েছেন। থানায় মামলা পর্যন্ত নেওয়া হতো না। বিচার পেত না। তখন ভয়ে সাংবাদিকেরাও লিখতে পারতেন না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন নিশ্চিত করেছি। যে কেউ থানায় মামলা করতে পারে। সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে।’
সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা কথায় কথায় বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, তাঁরা আসলে দেশের মানুষের ভালো চান না। মানুষ ভালো থাকুক, তা তাঁরা চান না। আমরা গ্রামের মানুষকে দিচ্ছি বলে বোধ হয় তাঁদের টান পড়ছে। তাই তাঁদের এত হা-পিত্যেশ। গ্রামের মানুষের মধ্যে কোনো হা-পিত্যেশ দেখি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁদের মনে শান্তি নাই তাঁদের বলছি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কীভাবে খুন, সন্ত্রাস ও বোমাবাজি হয়েছিল? এখন দেশে বাংলা ভাই, জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাস নেই বলেই হয়তো তাঁদের মনে শান্তি নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। দেশের অবস্থা ভালো নেই কোথায়? দেশের মানুষ কি দুর্ভিক্ষে আছে? খাবার পাচ্ছে না? এমন প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, না, কৃষিতে সরকার ভালো করছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু কৃষিতে কেন, সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার থাকলেও আমরা এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত এই সেবা পৌঁছে দিয়েছি। শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যা আগে কখনো হয়নি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। সারা দেশে ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে বেকারদের চাকরি দিয়েছি। সরকারিভাবেই গত সাড়ে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কাজের সুযোগ হয়েছে। যাঁরা খেটে খেতে চান, তাঁরা কাজ করতে পারছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল।’
বিদ্যুৎ-সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য ছিল, ২০১১ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই সময়ে আমরা পাঁচ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করেছি। ২১ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বেড়েছে। বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যদি কিছু উৎপাদন বাড়ত, তা হলে এখন সমস্যা হতো না। তাদের সময় উৎপাদন বাড়া তো দূরের কথা, বরং কমেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা দিয়ে দেশ চালিয়েছে, তারাও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারেনি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ভুলে যায় না। মানুষকে যে কথা দেয়, তা বাস্তবায়ন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ কিছু পায়।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মাহবুব উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments