ঘটনার দ্রুত তদন্ত করুন-পুলিশ কেন এভাবে মারা যাবে
পাবনার বেড়া উপজেলার দুর্গম ঢালারচরে পুলিশ ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্য এবং তাঁদের এক সোর্সের খুন হওয়ার ঘটনাটি উদ্বেগজনক। এটি সম্ভবত সাধারণ অপরাধীদের কাজ নয়, বরং ধারণা করা হচ্ছে, কথিত ‘সর্বহারা’ চরমপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই সদস্যদের হত্যা করেছে।
তবু বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, কী কারণে ও কী পরিস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটল।
পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থলের দুর্গম ওই চরাঞ্চলে চরমপন্থী সর্বহারা গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণের স্থান, ‘অভয়ারণ্য’—এ ধরনের কথা দীর্ঘদিন ধরে শোনা যায়। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। গত মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ডটি তাদের নতুন করে তৎপরতা শুরুর পূর্বাভাস কি না, সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান চালানো উচিত। অতীতে এই ‘সর্বহারা’দের সহিংস পথ থেকে স্বাভাবিক শান্তিময় জীবন-জীবিকায় ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিগত মেয়াদে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে তাদের সাধারণ ক্ষমা, অস্ত্র সমর্পণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু মানুষকে অস্ত্র সমর্পণ করতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ‘সর্বহারা’র তৎপরতা কখনোই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, মহল বা জাতীয়ভাবে বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘সর্বহারা’র সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহার করেছে, এমন ধারণা চালু আছে, বিশেষত স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। তবে কয়েক বছর ধরে দেশে ইসলাম ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী নানা গোষ্ঠীর সহিংস তৎপরতায় ‘সর্বহারা’দের তৎপরতা যেন বা একটু আড়ালেই চাপা পড়েছে। এখন ইসলামি জঙ্গি ও ‘সর্বহারা’ চরমপন্থীরা একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো, সর্বহারার সশস্ত্র রাজনীতি বা ইসলামি জঙ্গিবাদ—কোনো পক্ষেই বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নেই। এই গোষ্ঠীগুলো জনবিচ্ছিন্ন, সে কারণেই গোপন। তাদের কর্মকাণ্ডে রাজনীতির চেয়ে অপরাধবৃত্তি আর সহিংসতাই বেশি। তারা জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ত্রাসের পরিবেশ ছড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে কিছু অর্জন করতে পারে না।
ঢালারচরের পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থেকে ‘সর্বহারা’দের সর্বসাম্প্রতিক গতিবিধি সম্পর্কে জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকার নিতে পারবে। তাই তদন্ত দ্রুত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এ রকম দুর্গম ও বিপজ্জনক এলাকাগুলোয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা আরও জোরালো করা হোক। অস্ত্রধারী কিছু লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ জানালে অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে তাঁদের হত্যা করে দিব্যি চলে যেতে পারবে, এ কেমন কথা? তাহলে পুলিশের নিজের নিরাপত্তা কোথায়? এলাকাটা সর্বহারাদের অভয়ারণ্য, এটা জানা থাকার পরও পুলিশের সদস্যরা কি সতর্কতার প্রয়োজন বোধ করেন না? এভাবে প্রাণ হারানো কি অনিবার্য ছিল?
পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থলের দুর্গম ওই চরাঞ্চলে চরমপন্থী সর্বহারা গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণের স্থান, ‘অভয়ারণ্য’—এ ধরনের কথা দীর্ঘদিন ধরে শোনা যায়। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। গত মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ডটি তাদের নতুন করে তৎপরতা শুরুর পূর্বাভাস কি না, সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান চালানো উচিত। অতীতে এই ‘সর্বহারা’দের সহিংস পথ থেকে স্বাভাবিক শান্তিময় জীবন-জীবিকায় ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিগত মেয়াদে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে তাদের সাধারণ ক্ষমা, অস্ত্র সমর্পণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু মানুষকে অস্ত্র সমর্পণ করতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ‘সর্বহারা’র তৎপরতা কখনোই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি, মহল বা জাতীয়ভাবে বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ‘সর্বহারা’র সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহার করেছে, এমন ধারণা চালু আছে, বিশেষত স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। তবে কয়েক বছর ধরে দেশে ইসলাম ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী নানা গোষ্ঠীর সহিংস তৎপরতায় ‘সর্বহারা’দের তৎপরতা যেন বা একটু আড়ালেই চাপা পড়েছে। এখন ইসলামি জঙ্গি ও ‘সর্বহারা’ চরমপন্থীরা একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো, সর্বহারার সশস্ত্র রাজনীতি বা ইসলামি জঙ্গিবাদ—কোনো পক্ষেই বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নেই। এই গোষ্ঠীগুলো জনবিচ্ছিন্ন, সে কারণেই গোপন। তাদের কর্মকাণ্ডে রাজনীতির চেয়ে অপরাধবৃত্তি আর সহিংসতাই বেশি। তারা জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ত্রাসের পরিবেশ ছড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে কিছু অর্জন করতে পারে না।
ঢালারচরের পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থেকে ‘সর্বহারা’দের সর্বসাম্প্রতিক গতিবিধি সম্পর্কে জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকার নিতে পারবে। তাই তদন্ত দ্রুত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এ রকম দুর্গম ও বিপজ্জনক এলাকাগুলোয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা আরও জোরালো করা হোক। অস্ত্রধারী কিছু লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ জানালে অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে তাঁদের হত্যা করে দিব্যি চলে যেতে পারবে, এ কেমন কথা? তাহলে পুলিশের নিজের নিরাপত্তা কোথায়? এলাকাটা সর্বহারাদের অভয়ারণ্য, এটা জানা থাকার পরও পুলিশের সদস্যরা কি সতর্কতার প্রয়োজন বোধ করেন না? এভাবে প্রাণ হারানো কি অনিবার্য ছিল?
No comments