ধর্মঘট অব্যাহত, আট ছাত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট অব্যাহত আছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে আট শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘উন্নয়ন ফি’ না কমানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে গেলে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম বাধা দেন। এ সময় ওই বিভাগের ছাত্রলীগের কর্মীরা কয়েকজন আন্দোলনকারীকে লাঞ্ছিত করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিনে ছাত্র জোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মিছিল গেলে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁদের বহিরাগত বলেছেন। এ সময় মিছিলকারীরা পরিচয়পত্র দেখালে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে ছাত্রলীগের কর্মীরা কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।
শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া অবিলম্বে উন্নয়ন ফি বাতিল করা না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বাজায় রাখতে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিলের মোট ৯০ শতাংশ সরকার থেকে আসে। বাকি ১০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকেই ওঠাতে হবে। কিন্তু উন্নয়ন ফি বন্ধ করা হলে বাকি টাকা আসবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার জন্য উন্নয়ন ফি নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে যে আট শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিনে ছাত্র জোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মিছিল গেলে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁদের বহিরাগত বলেছেন। এ সময় মিছিলকারীরা পরিচয়পত্র দেখালে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে ছাত্রলীগের কর্মীরা কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।
শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া অবিলম্বে উন্নয়ন ফি বাতিল করা না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বাজায় রাখতে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিলের মোট ৯০ শতাংশ সরকার থেকে আসে। বাকি ১০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকেই ওঠাতে হবে। কিন্তু উন্নয়ন ফি বন্ধ করা হলে বাকি টাকা আসবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার জন্য উন্নয়ন ফি নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে যে আট শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
No comments