গাড়ি আমদানি কমেছে by মাসুদ মিলাদ
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায়ের একক বড় খাত হিসেবে গত দুই অর্থবছরে শীর্ষস্থানে ছিল মোটর গাড়ি খাত। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় এ খাতে রাজস্ব আদায়ও কমে গেছে। গত ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১১) হিসাবে, এই খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। বন্দর ও কাস্টম হাউসের নথিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় গাড়ি আমদানি অর্ধেকে নেমেছে। এই সময়কালে, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তিন হাজার ৩১৮টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ৩৩৩টি একবার ব্যবহূত (রিকন্ডিশন্ড) ও ৯৮৫টি নতুন গাড়ি।
২০১০-১১ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ছয় হাজার ৯৯৩টি গাড়ি। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ২৭৯টি ব্যবহূত ও এক হাজার ৭১৪টি নতুন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নথিতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ খাতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। একই সময়ে আদায় হয়েছে এক হাজার ১০৪ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ি আমদানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তবে অন্যান্য খাত থেকে আদায় বেড়েছে।
কাস্টম হাউসের তথ্যে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে এ খাত থেকে আদায় হয় তিন হাজার ১২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে আদায় হয় তিন হাজার ২৫৮ কোটি টাকা।
এই দুই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের দ্বিতীয় খাতে থাকা জ্বালানি তেল এখন শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে জ্বালানি খাত থেকে রাজস্ব আসে যথাক্রমে দুই হাজার ২৪ কোটি এবং দুই হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
পুরোনো গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সহসভাপতি হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারকে আমরা সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দিই। কিন্তু এখন এ খাতে দুরবস্থা চলছে। ব্যাংকগুলোও অর্থায়ন করতে পারছে না।’
No comments