বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস ঘটনায় ইউজিসির উদ্বেগ-উচ্চ শিক্ষা কমিশন গঠনের খসড়া আইন নীতিগত অনুমোদন

দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বুধবার ইউজিসি ভবনে অনুষ্ঠিত পূর্ণ কমিশন সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, একটি মহল উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট ও অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা করছে। সভায় ইউজিসিকে উচ্চ শিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের খসড়া আইন নীতিগত অনুমোদন করা হয়। সভায় জানানো হয়, বেশ কিছু সংশোধনী এনে অচিরেই এ খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হবে।


সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মহলের ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ অপতৎপরতার নিন্দা জানানো হয়। ইউজিসির পক্ষ থেকে সবাইকে সহনশীল আচরণের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপাচার্যদের ধৈর্য ও সহনশীলতার জন্য সাধুবাদ জানানো হয়। সভায় ইউজিসির সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব উল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সভায় বলা হয়, ১৯৭৩ সালে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং বিভিন্ন কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য ইউজিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কালের পরিক্রমায় দেশে উচ্চ শিক্ষার চাহিদা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ইউজিসিকে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের আদলে উচ্চ শিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে অধিকতর শক্তিশালী, স্বাধীন, অর্থবহ ও কার্যকর করার প্রস্তাব সংবলিত খসড়া আইন অনুমোদন করা হয়।
দেশে বিদ্যমান অন্যান্য কমিশন ও সংস্থার আদলে প্রস্তাবিত 'উচ্চ শিক্ষা কমিশনে'র প্রধানের (চেয়ারম্যান) পদমর্যাদা ও অবস্থান সরকারের একজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং এ কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্যদের পদমর্যাদা ও অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন বিচারপতির সমান করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী, প্রফেসর ড. মোঃ মুহিবুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোহাব্বত খান, প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম সাঈদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএস মাহফুজুল বারিসহ অন্যরা।

No comments

Powered by Blogger.