পোশাক শিল্পে সন্ত্রাসীদের উপদ্রবঃ ঝুট-ঝামেলার অবসান চাই
দেশের পোশাক শিল্প কারখানায় ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের পাশাপাশি এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। মজুরির দাবি বাস্তবায়নে হরহামেশাই হামলা-ভাংচুর-লুটতরাজ চলছে বিভিন্ন শিল্প কারখানায়।
স্বার্থান্বেষী মহল চালু কারখানায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বড় ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার সূত্রপাত করছে। সম্প্রতি পোশাক কারখানায় হামলার ঘটনার পেছনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে ঝুট-সন্ত্রাসীরা। গার্মেন্ট শিল্পের বাড়তি কাপড়ের অংশ ‘ঝুট’ ব্যবসার সঙ্গে শুরু থেকেই ঝুট-সন্ত্রাসীরা জড়িত। বেশ কিছুদিন ধরে এদের রোষানলে পড়েছে রফতানির সর্ববৃহত্ খাত পোশাক শিল্প।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে গত এক বছরে শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে বিশেষ মহল তথা মাস্তান ও ঝুট-সন্ত্রাসীরা সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী, মিরপুর ও অন্যান্য এলাকার অন্তত অর্ধ শতাধিক কারখানায় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। সর্বশেষ হামলার শিকার হয়েছে আশুলিয়ায় অবস্থিত একটি শিল্প গ্রুপের তিনটি কারখানা। বর্তমানে এ কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানায় সব কটিই শতভাগ রফতানিমুখী এবং সরকারের কমপ্লায়েন্ট কারখানার তালিকাভুক্ত। ছুটি বাড়ানোর ছুতোয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে লুটতরাজ করে ২৬ নভেম্বর। এর ক’দিন আগে আর একটি গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গেও সাধারণ শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, ইদানীং বেশি হামলা হচ্ছে কমপ্লায়েন্ট কারখানাগুলোতে। অভিযোগ আছে, যে সব কারখানা থেকে চাহিদামত ঝুটের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলোই বেছে নিচ্ছে ঝুট-সন্ত্রাসীরা। এসব কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে ও বদনাম রটিয়ে উস্কে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে পোশাক শিল্পে লাগাতার অশান্তি-অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। সাধারণ শ্রমিক, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং মালিকদের মতে, গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসা দখল, কারখানা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বার্থান্বেষী একাধিক মহল শিল্প কারখানার পরিবেশ তাঁতিয়ে রাখার সুযোগ খোঁজে। বর্তমানে সাভার এলাকার কারখানাগুলো এই অপতত্পরতার কারণে অস্থির। যে কোনো সময় সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন করে গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে ঝুট ব্যবসা দখলে নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্ষমতাসীনদের ভেতরেই দেখা দেয় দখলের প্রতিযোগিতা। এরা এখন বাড়তি ফায়দা আদায়ের জন্য শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এরই মধ্যে গার্মেন্ট শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন। নভেম্বর মাসে বিজিএমইএ আয়োজিত বাটেক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে এর পেছনে মদতদাতাদের খুঁজে বের করতে সরাসরি উদ্যোগ নেয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তারপরও গার্মেন্ট শিল্পে আগের হালই বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঈদের মাসে টঙ্গী, গাজীপুর, আশুলিয়ার গার্মেন্ট কারখানায় অসন্তোষ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার যে আশঙ্কা করেছিল বিজিএমইএ, তেমন কিছু ঘটেনি। বিশেষ মহল ও তাদের সহযোগী মাস্তান, ঝুট-সন্ত্রাসী এবং বহিরাগত লোকজন নানা অজুহাত ও গুজব সৃষ্টি করে সাধারণ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে। এর পেছনে যে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে—এ অভিযোগও মিথ্যা নয়। এ অবস্থায় দেশের সর্ববৃহত্ রফতানি খাত গার্মেন্ট শিল্প, শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থে যে কোনো মূল্যে দুর্বৃত্তদের উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। বহিরাগতরা কী করে শ্রমিক অসন্তোষ
বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের যৌথ উদ্যোগ জরুরি। তবে একইসঙ্গে সরকারকে ঘোষণা মোতাবেক উপড়ে ফেলতে হবে শিল্প কারখানায় বিরাজমান ষড়যন্ত্রের শিকড়। শুধু কথায় যে কাজ হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দরকার ঝুট-ঝামেলা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে গত এক বছরে শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে বিশেষ মহল তথা মাস্তান ও ঝুট-সন্ত্রাসীরা সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী, মিরপুর ও অন্যান্য এলাকার অন্তত অর্ধ শতাধিক কারখানায় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। সর্বশেষ হামলার শিকার হয়েছে আশুলিয়ায় অবস্থিত একটি শিল্প গ্রুপের তিনটি কারখানা। বর্তমানে এ কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানায় সব কটিই শতভাগ রফতানিমুখী এবং সরকারের কমপ্লায়েন্ট কারখানার তালিকাভুক্ত। ছুটি বাড়ানোর ছুতোয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে লুটতরাজ করে ২৬ নভেম্বর। এর ক’দিন আগে আর একটি গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গেও সাধারণ শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা যায়, ইদানীং বেশি হামলা হচ্ছে কমপ্লায়েন্ট কারখানাগুলোতে। অভিযোগ আছে, যে সব কারখানা থেকে চাহিদামত ঝুটের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলোই বেছে নিচ্ছে ঝুট-সন্ত্রাসীরা। এসব কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে ও বদনাম রটিয়ে উস্কে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে পোশাক শিল্পে লাগাতার অশান্তি-অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। সাধারণ শ্রমিক, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং মালিকদের মতে, গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসা দখল, কারখানা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বার্থান্বেষী একাধিক মহল শিল্প কারখানার পরিবেশ তাঁতিয়ে রাখার সুযোগ খোঁজে। বর্তমানে সাভার এলাকার কারখানাগুলো এই অপতত্পরতার কারণে অস্থির। যে কোনো সময় সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন করে গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে ঝুট ব্যবসা দখলে নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্ষমতাসীনদের ভেতরেই দেখা দেয় দখলের প্রতিযোগিতা। এরা এখন বাড়তি ফায়দা আদায়ের জন্য শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এরই মধ্যে গার্মেন্ট শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন। নভেম্বর মাসে বিজিএমইএ আয়োজিত বাটেক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে এর পেছনে মদতদাতাদের খুঁজে বের করতে সরাসরি উদ্যোগ নেয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তারপরও গার্মেন্ট শিল্পে আগের হালই বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঈদের মাসে টঙ্গী, গাজীপুর, আশুলিয়ার গার্মেন্ট কারখানায় অসন্তোষ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার যে আশঙ্কা করেছিল বিজিএমইএ, তেমন কিছু ঘটেনি। বিশেষ মহল ও তাদের সহযোগী মাস্তান, ঝুট-সন্ত্রাসী এবং বহিরাগত লোকজন নানা অজুহাত ও গুজব সৃষ্টি করে সাধারণ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে। এর পেছনে যে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে—এ অভিযোগও মিথ্যা নয়। এ অবস্থায় দেশের সর্ববৃহত্ রফতানি খাত গার্মেন্ট শিল্প, শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থে যে কোনো মূল্যে দুর্বৃত্তদের উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। বহিরাগতরা কী করে শ্রমিক অসন্তোষ
বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের যৌথ উদ্যোগ জরুরি। তবে একইসঙ্গে সরকারকে ঘোষণা মোতাবেক উপড়ে ফেলতে হবে শিল্প কারখানায় বিরাজমান ষড়যন্ত্রের শিকড়। শুধু কথায় যে কাজ হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দরকার ঝুট-ঝামেলা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ।
No comments