জবির চার শিক্ষক লাঞ্ছিত আট শিক্ষার্থীকে শোকজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর ধার্যকৃত উন্নয়ন ফি নিয়ে আন্দোলনকারীরা গতকাল ক্লাসরুমে ঢুকে চার শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা একজোট হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে।
এদিকে গত ক'দিনের আন্দোলনে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত, ব্যাংক কার্যালয় অবরোধ করে ভর্তি কাজে বাধা দেওয়াসহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার দায়ে আট শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা হলো_ অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের আসিফ নেওয়াজ, মনোবিজ্ঞানের রাকিবুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানের শরীফুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ফারুক আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তাহমিদা ইসলাম তানিয়া, উদ্ভিদবিদ্যার মাসুদ রানা, ইংরেজি বিভাগের লাকী আক্তার বৃষ্টি ও জাহিদুল ইসলাম। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তা লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ধার্যকৃত ৫ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। কয়েক দফা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে তারা প্রতিটি বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষকের সঙ্গে তারা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান নামে এক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তার
সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একটু পর বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের। এক পর্যায়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। একই সময় আন্দোলনকারীদের অন্য একটি অংশ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি পরীক্ষা কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনার চেষ্টা করে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিন এতে বাধা দিলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। পরে মিছিল শহীদ মিনারের সামনে পেঁৗছলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা একজোট হয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়।
পরে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা বলেন, গুটিকয়েক প্রগতিশীল ছাত্রজোট নামধারী আন্দোলনের নামে প্রতিদিন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও আহত করেছে। দুপুর ১টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষকরা গোলাম আযমকে গ্রেফতারের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ক্যাম্পাসে র্যালি বের করেন। এ সময় তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, গোলাম আযমকে গ্রেফতার ইস্যুতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।
দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও আহত করাসহ আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনের নামে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তা নিন্দনীয়। অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা বেগম বলেন, উন্নয়ন ফি নেওয়া বন্ধ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজও বন্ধ হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অনুষদের ডিন ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল ধার্যকৃত ৫ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। কয়েক দফা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে তারা প্রতিটি বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষকের সঙ্গে তারা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান নামে এক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তার
সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একটু পর বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের। এক পর্যায়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। একই সময় আন্দোলনকারীদের অন্য একটি অংশ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি পরীক্ষা কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনার চেষ্টা করে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিন এতে বাধা দিলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। পরে মিছিল শহীদ মিনারের সামনে পেঁৗছলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা একজোট হয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়।
পরে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা বলেন, গুটিকয়েক প্রগতিশীল ছাত্রজোট নামধারী আন্দোলনের নামে প্রতিদিন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও আহত করেছে। দুপুর ১টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষকরা গোলাম আযমকে গ্রেফতারের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ক্যাম্পাসে র্যালি বের করেন। এ সময় তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, গোলাম আযমকে গ্রেফতার ইস্যুতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।
দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও আহত করাসহ আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনের নামে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তা নিন্দনীয়। অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা বেগম বলেন, উন্নয়ন ফি নেওয়া বন্ধ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজও বন্ধ হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অনুষদের ডিন ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments