ত্রিপুরা সফর তাৎপর্যপূর্ণ-এ উষ্ণতা দুই দেশকেই ধরে রাখতে হবে
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সরকারি সফর এতটাই উষ্ণ ও প্রাণবন্ত অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে, যা ত্রিপুরা-বাংলাদেশের গভীর আত্মীয়তার কথাই দুই দেশের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের এই প্রথম ত্রিপুরা সফরে গোটা রাজ্যে একটি উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরার জনসাধারণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরের প্রথম দিন বুধবার বারবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করেছেন।
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ হামিদ আনসারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও শিল্পমন্ত্রী যতীন্দ্র চৌধুরী, রাজ্যপাল ডি. যশোবন্ত রাও পাতিল, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবাল। দৈনিক কালের কণ্ঠের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে ত্রিপুরায় এক অভাবনীয় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিপুরার সরকার ও জনগণ শেখ হাসিনার এ সফরকে উৎসবের আমেজে গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা যে একসূত্রে গাঁথা, সে কথা ত্রিপুরার জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের যে অবদান, তা কোনোক্রমেই বিস্মৃত হওয়ার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়াই শুধু নয়, ত্রিপুরা ধারণ করে রেখেছে অনেক স্মৃতি ও বহু শহীদের সমাধি। বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তরেখা রচিত হলেও আত্মীয়তার বন্ধন কাটেনি কখনোই। অন্যদিকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থরক্ষা প্রশ্নে দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনসহ নানা বিষয়ে রয়েছে সমস্যা। সুতরাং উষ্ণতা ও সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করার একটি সুযোগ রয়েছে দুই পক্ষের। লক্ষণীয়, এই সফরের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ত্রিপুরা তথা ভারতের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে। নিঃসন্দেহে এটি তাঁর অত্যন্ত সময়োপযোগী আহ্বান। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে বৈষম্য। এ ক্ষেত্রে দুটি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বিদ্যমান রয়েছে। এখন এগিয়ে আসা প্রয়োজন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এগিয়ে এলে এ সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গত দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতকে আরো উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, ত্রিপুরার মতো কেন্দ্রীয় ভারত সরকার ও ভারতের অন্য রাজ্যগুলোকে যদি বাংলাদেশের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে পানি সমস্যাসহ দুই দেশেরই স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান ত্বরান্বিত হবে। অবশ্য সে জন্য ভারতের অন্য রাজ্যগুলোরও ত্রিপুরার মতো আন্তরিক হয়ে উঠতে হবে। শেখ হাসিনার এই ত্রিপুরা সফর দুটি দেশের জন্যই একটি ইতিবাচক, প্রাণবন্ত, আবেগঘন সফর হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বলা যায়, শেখ হাসিনার দিলি্ল সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে যে উষ্ণতা তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রিপুরার সফর তাতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করল।
বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা যে একসূত্রে গাঁথা, সে কথা ত্রিপুরার জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের যে অবদান, তা কোনোক্রমেই বিস্মৃত হওয়ার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়াই শুধু নয়, ত্রিপুরা ধারণ করে রেখেছে অনেক স্মৃতি ও বহু শহীদের সমাধি। বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তরেখা রচিত হলেও আত্মীয়তার বন্ধন কাটেনি কখনোই। অন্যদিকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থরক্ষা প্রশ্নে দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনসহ নানা বিষয়ে রয়েছে সমস্যা। সুতরাং উষ্ণতা ও সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করার একটি সুযোগ রয়েছে দুই পক্ষের। লক্ষণীয়, এই সফরের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ত্রিপুরা তথা ভারতের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে। নিঃসন্দেহে এটি তাঁর অত্যন্ত সময়োপযোগী আহ্বান। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে বৈষম্য। এ ক্ষেত্রে দুটি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বিদ্যমান রয়েছে। এখন এগিয়ে আসা প্রয়োজন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এগিয়ে এলে এ সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গত দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতকে আরো উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, ত্রিপুরার মতো কেন্দ্রীয় ভারত সরকার ও ভারতের অন্য রাজ্যগুলোকে যদি বাংলাদেশের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে পানি সমস্যাসহ দুই দেশেরই স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান ত্বরান্বিত হবে। অবশ্য সে জন্য ভারতের অন্য রাজ্যগুলোরও ত্রিপুরার মতো আন্তরিক হয়ে উঠতে হবে। শেখ হাসিনার এই ত্রিপুরা সফর দুটি দেশের জন্যই একটি ইতিবাচক, প্রাণবন্ত, আবেগঘন সফর হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বলা যায়, শেখ হাসিনার দিলি্ল সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে যে উষ্ণতা তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রিপুরার সফর তাতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করল।
No comments