বিশ্ব ইজতেমা-সফল হোক, সার্থক ও সুন্দর হোক
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবারের পর্বটি বিশ্ব ইজতেমার ৪৭তম পর্ব। ইজতেমার এই পর্বে ১৫ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সব প্রস্তুতি। বাংলাদেশ ছাড়াও তাবলিগ অনুসারী অনেক বিদেশি মেহমান এবার বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এবার বিদেশি মেহমানের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আয়োজকরা মনে করছেন। অন্যদিকে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরবি্বরা আগেই এসেছেন। ইজতেমা যাতে শন্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য ইজতেমা কমিটি সম্পূর্ণ সজাগ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবার ইজতেমায় আগত মুসলি্লদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো হয়েছে। যদিও ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মুসলি্লরা কেউই সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মোটেও ভাবিত নন। তাঁরা এখানে এসেছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে।
ইজতেমার ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয় ১৯৪৬ সালে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ভারতের মাওলানা ইলিয়াস এর গোড়াপত্তন করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজিক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকার তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই থেকে তুরাগ পাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহত্তম সমাবেশ। টঙ্গীর এ বিশ্ব ইজতেমায় সারা বিশ্বের বুজুর্গ ব্যক্তিত্বরা আসেন। তাঁরা বয়ান করেন। ইজতেমার মূল বিষয় হচ্ছে বয়ান। এ বয়ানের ভেতর দিয়ে ধর্মীয় বিষয়াদি তুলে ধরা হয়। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ পাড়ে মুসলি্লদের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশের মুসলি্লদের সঙ্গে বিদেশি মুসলমানদের পারস্পরিক জানাজানি ও ভাব বিনিময়েরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই বিশ্ব ইজতেমা। বলা হয়ে থাকে হজের পর এটিই বিশ্বের মুসলমানদের বৃহত্তম সমাবেশ। আখেরি মোনাজাতের পর এখান থেকেই অনেকে বেরিয়ে যাবেন দ্বীনের দাওয়াতে।
আজ যখন বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন বিশ্ব মুসলিম নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা নিপীড়নের শিকার। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ নানাভাবে বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। অনেক দেশই পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সমর্থন। নৈতিকতার নূ্যনতম সমর্থনবঞ্চিত মুসলিম দেশগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তৃত হচ্ছে চক্রান্তের নানা জাল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই আজ প্রয়োজন ঐক্য। বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হতে পারে বিশ্ব ইজতেমা। মুসলমানদের নিজেদের অস্তিত্ব আর নিরাপত্তার স্বার্থেই আজ পারস্পরিক হানাহানি ভুলে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সৌভ্রাতৃত্ববোধ। মিটিয়ে ফেলতে হবে সব বিভেদ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের সংঘাত। বিশ্ব ইজতেমার সমাবেশ থেকে আত্মমর্যাদা, চেতনা ও তাকত অর্জন করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় নতুন করে সুন্দর ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলায় ব্রতী হবে_এটাই আমাদের কামনা। তুরাগ তীরে মুসলমানদের মহাসমাবেশ সফল হোক, সার্থক ও সুন্দর হোক।
ইজতেমার ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয় ১৯৪৬ সালে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ভারতের মাওলানা ইলিয়াস এর গোড়াপত্তন করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজিক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকার তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই থেকে তুরাগ পাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহত্তম সমাবেশ। টঙ্গীর এ বিশ্ব ইজতেমায় সারা বিশ্বের বুজুর্গ ব্যক্তিত্বরা আসেন। তাঁরা বয়ান করেন। ইজতেমার মূল বিষয় হচ্ছে বয়ান। এ বয়ানের ভেতর দিয়ে ধর্মীয় বিষয়াদি তুলে ধরা হয়। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ পাড়ে মুসলি্লদের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশের মুসলি্লদের সঙ্গে বিদেশি মুসলমানদের পারস্পরিক জানাজানি ও ভাব বিনিময়েরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই বিশ্ব ইজতেমা। বলা হয়ে থাকে হজের পর এটিই বিশ্বের মুসলমানদের বৃহত্তম সমাবেশ। আখেরি মোনাজাতের পর এখান থেকেই অনেকে বেরিয়ে যাবেন দ্বীনের দাওয়াতে।
আজ যখন বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন বিশ্ব মুসলিম নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা নিপীড়নের শিকার। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ নানাভাবে বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। অনেক দেশই পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সমর্থন। নৈতিকতার নূ্যনতম সমর্থনবঞ্চিত মুসলিম দেশগুলোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তৃত হচ্ছে চক্রান্তের নানা জাল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেই আজ প্রয়োজন ঐক্য। বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হতে পারে বিশ্ব ইজতেমা। মুসলমানদের নিজেদের অস্তিত্ব আর নিরাপত্তার স্বার্থেই আজ পারস্পরিক হানাহানি ভুলে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সৌভ্রাতৃত্ববোধ। মিটিয়ে ফেলতে হবে সব বিভেদ ও ক্ষুদ্র স্বার্থের সংঘাত। বিশ্ব ইজতেমার সমাবেশ থেকে আত্মমর্যাদা, চেতনা ও তাকত অর্জন করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় নতুন করে সুন্দর ও সুস্থ জীবন গড়ে তোলায় ব্রতী হবে_এটাই আমাদের কামনা। তুরাগ তীরে মুসলমানদের মহাসমাবেশ সফল হোক, সার্থক ও সুন্দর হোক।
No comments