সরকারি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি-কমিশনের সুপারিশ ইতিবাচক
সরকারি শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেছে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন। কমিশনের এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেশের পাঁচটি সরকারি শিল্প-কারখানার ৮৫ হাজার শ্রমিকের বেতন বাড়বে। বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাওয়া শ্রমিকরা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন কাঠামো বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন গঠন করা হয়েছিল গত বছরের শেষার্ধে। সেই কমিশন ১৬টি গ্রেডে শ্রমিকদের মজুরি সুপারিশ করেছে। যেখানে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ধরা হয়েছে চার হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া শ্রমিকরা মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ৭০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পাবেন। এ ছাড়া এক সন্তানের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ও দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা শিক্ষা সহায়কভাতা পাবেন। বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখেই এই মজুরি কাঠামো সুপারিশ করা হয়েছে বলে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন জানিয়েছে। কমিশন যে হারে মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে, তা বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের বেতন ৭৩ শতাংশ বাড়বে। এখন শ্রমিকরা যে মজুরি কাঠামোতে মজুরি পান, তা ২০০৫ সালের। এই মজুরি কাঠামো অনুযায়ী একজন শ্রমিক বর্তমানে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া পেয়ে থাকেন। জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন বর্তমান বাজারমূল্য ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করেই এ মজুরি কাঠামো সুপারিশ করেছে। কমিশনের হিসাবে আগের মজুরি কাঠামো নির্দিষ্ট করার সময় অর্থাৎ ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০০৫ সালের পর সরকারি শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের বেতন না বাড়ায় মূল্যস্ফীতির এই প্রভাব পড়েছে দৈনন্দিন জীবনে। জীবনযাত্রার মান বাড়লেও সরকারি শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান বাড়েনি। এই মজুরি কাঠামো বাস্তবায়িত হলে সেটা হবে সরকারি শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা। বিশেষ করে যখন বেসরকারি গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো সরকার নির্ধারণ করে দেওয়ার পর তা বাস্তবায়িত হয়েছে, তখন সরকারি শিল্প-কারখানার জন্য নতুন একটি মজুরি কাঠামো খুব প্রয়োজন ছিল।
এমনিতেই আমাদের দেশের শ্রমিকরা অবহেলিত। শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তেমন কিছুই করা হয়নি। নতুন মজুরি কাঠামোতে দুটি বিশেষ দিক দেখা যাচ্ছে। আগের মজুরি কাঠামোতে চিকিৎসাভাতা ছিল ৫০০ টাকা। এবারের কাঠামোতে চিকিৎসাভাতা ২০০ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য যে বিশেষ ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে, তাতে শ্রমিক পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে। এসবের পাশাপাশি সরকারি শ্রমিকরা আগে ধোলাইভাতাসহ যেসব ভাতা পেতেন, তা পাবেন।
বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির এই সুপারিশ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের এই সুপারিশ যত তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে ততই মঙ্গল। নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করা যেতে পারে।
এমনিতেই আমাদের দেশের শ্রমিকরা অবহেলিত। শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তেমন কিছুই করা হয়নি। নতুন মজুরি কাঠামোতে দুটি বিশেষ দিক দেখা যাচ্ছে। আগের মজুরি কাঠামোতে চিকিৎসাভাতা ছিল ৫০০ টাকা। এবারের কাঠামোতে চিকিৎসাভাতা ২০০ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য যে বিশেষ ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে, তাতে শ্রমিক পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে। এসবের পাশাপাশি সরকারি শ্রমিকরা আগে ধোলাইভাতাসহ যেসব ভাতা পেতেন, তা পাবেন।
বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির এই সুপারিশ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের এই সুপারিশ যত তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে ততই মঙ্গল। নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করা যেতে পারে।
No comments