আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-উদ্বোধনী দিনেই জমজমাট
ভালো চলচ্চিত্র ভালো দর্শক ভালো সমাজ' স্লোগান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে ৯ দিনের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে ১২তম আসরের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহের জুঁই ও তাহমিনা মিলানি উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ, ভাইস চেয়ারম্যান হায়দার রিজভী ও কেএম মঞ্জুর। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। উৎসব উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ ছিল বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর। তবে আজ থেকে উৎসব প্রাঙ্গণ ও ভেন্যু আরও মুখর হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশের ২০০টির বেশি চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে দেখানো হচ্ছে। উৎসব চলবে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন এবং ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রসেজ মিলনায়তন। মূল ভেন্যু সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন। এবারের উৎসবের মূল আকর্ষণ ইরানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহের জুঁইয়ের উপস্থিতি। উৎসবে আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন,
কানাডা, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, কিউবা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জর্জিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, লেবানন, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, প্যালেস্টাইন, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, স্লোভানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ১৯৯২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ 'ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' আয়োজন করে আসছে।
উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে বৃহস্পতিবার দেখানো হয় অস্ট্রেলিয়ার চলচ্চিত্র পরিচালক ক্লেয়ার ম্যাকার্থি নির্মিত 'দ্য ওয়েটিং সিটি'। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ৪টি ছবি ও ৩টি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এর সবই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের কাজী হায়াত পরিচালিত 'শাস্তি', চাষী নজরুল ইসলামের 'কাবুলিওয়ালা' ও 'সুভা', নার্গিস আক্তার পরিচালিত 'অবুঝ বউ', সত্যজিৎ রায়ের প্রামাণ্যচিত্র 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর', সমরা চক্রবর্তীর 'ইউ নট ফরগটেন' এবং শবনম ফেরদৌসীর 'ভুবন ভরা সুর'।
চলচ্চিত্র উৎসবে এখন আর শুধু ছবি দেখা নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছবির প্রতিযোগিতা, বুলেটিন প্রকাশ, আলোচনা অনুষ্ঠান ইত্যাদি। রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ১২তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবও পিছিয়ে নেই। এবারও প্রতিদিন একটি করে বুলেটিন প্রকাশ করবে আয়োজকরা। উৎসব চলবে বিভিন্ন ভাগে। উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতা, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউস, সিনেমা অব দি ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন্স ফিল্মস, কান্ট্রি ফোকাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মস ও উইমেন্স ফিল্ম মেকারস সেশন। রেট্রোস্পেক্টিভ বিভাগ সাজানো হয়েছে ইরানি চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহের জুঁইয়ের ৬টি, ইলমাজ গুনের ৫টি, প্রখ্যাত ফরাসি চলচ্চিত্রকার পিয়েরে কুলিবিউফের ৭টি ছবি দিয়ে।
বাংলাদেশের সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তার জীবনী ও চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ট্রিবিউটস বিভাগ। এ বিভাগে দেখানো হচ্ছে তারেক মাসুদ নির্মিত কাহিনীচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র মিলিয়ে ৫টি চলচ্চিত্র।
দেশের সমকালীন সেরা চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমা অব দি ওয়ার্ল্ড বিভাগে। এ বিভাগের জন্য দর্শক জরিপে একটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হবে। চিলড্রেন বিভাগে ৫টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। ফরাসি ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের একটি প্যাকেজ প্রদর্শিত হচ্ছে কান্ট্রি ফোকাস বিভাগে। সবই দেখা যাবে অলিয়ঁস ফ্রসেজে।
বাংলাদেশ প্যানোরোমায় দেখানো হবে ৮টি চলচ্চিত্র। এ বিভাগটি উৎসর্গ করা হবে সদ্য প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আখতারুজ্জামানকে।
স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগটি সাজানো হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানবতাবাদী ২০টি চলচ্চিত্র দিয়ে। ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশের ছবি দেখানো হচ্ছে এই বিভাগে।
দেশি-বিদেশি ৩০টির বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে উইমেন ফিল্মস মেকার সেশনে। এ বিভাগ থেকে সেরা নারী চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা হবে। ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মস বিভাগে ঠাঁই পেয়েছে তথ্যচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র। সেরা হিসেবে নির্বাচিত ছবিকে দেওয়া হবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন ও জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ৫টি করে ১০টি ছবি দেখানো হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশের ২০০টির বেশি চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে দেখানো হচ্ছে। উৎসব চলবে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন এবং ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রসেজ মিলনায়তন। মূল ভেন্যু সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন। এবারের উৎসবের মূল আকর্ষণ ইরানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহের জুঁইয়ের উপস্থিতি। উৎসবে আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন,
কানাডা, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, কিউবা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জর্জিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, লেবানন, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, প্যালেস্টাইন, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, স্লোভানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ১৯৯২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ 'ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' আয়োজন করে আসছে।
উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে বৃহস্পতিবার দেখানো হয় অস্ট্রেলিয়ার চলচ্চিত্র পরিচালক ক্লেয়ার ম্যাকার্থি নির্মিত 'দ্য ওয়েটিং সিটি'। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ৪টি ছবি ও ৩টি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এর সবই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের কাজী হায়াত পরিচালিত 'শাস্তি', চাষী নজরুল ইসলামের 'কাবুলিওয়ালা' ও 'সুভা', নার্গিস আক্তার পরিচালিত 'অবুঝ বউ', সত্যজিৎ রায়ের প্রামাণ্যচিত্র 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর', সমরা চক্রবর্তীর 'ইউ নট ফরগটেন' এবং শবনম ফেরদৌসীর 'ভুবন ভরা সুর'।
চলচ্চিত্র উৎসবে এখন আর শুধু ছবি দেখা নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছবির প্রতিযোগিতা, বুলেটিন প্রকাশ, আলোচনা অনুষ্ঠান ইত্যাদি। রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ১২তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবও পিছিয়ে নেই। এবারও প্রতিদিন একটি করে বুলেটিন প্রকাশ করবে আয়োজকরা। উৎসব চলবে বিভিন্ন ভাগে। উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতা, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউস, সিনেমা অব দি ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন্স ফিল্মস, কান্ট্রি ফোকাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মস ও উইমেন্স ফিল্ম মেকারস সেশন। রেট্রোস্পেক্টিভ বিভাগ সাজানো হয়েছে ইরানি চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহের জুঁইয়ের ৬টি, ইলমাজ গুনের ৫টি, প্রখ্যাত ফরাসি চলচ্চিত্রকার পিয়েরে কুলিবিউফের ৭টি ছবি দিয়ে।
বাংলাদেশের সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তার জীবনী ও চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ট্রিবিউটস বিভাগ। এ বিভাগে দেখানো হচ্ছে তারেক মাসুদ নির্মিত কাহিনীচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র মিলিয়ে ৫টি চলচ্চিত্র।
দেশের সমকালীন সেরা চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমা অব দি ওয়ার্ল্ড বিভাগে। এ বিভাগের জন্য দর্শক জরিপে একটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হবে। চিলড্রেন বিভাগে ৫টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। ফরাসি ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের একটি প্যাকেজ প্রদর্শিত হচ্ছে কান্ট্রি ফোকাস বিভাগে। সবই দেখা যাবে অলিয়ঁস ফ্রসেজে।
বাংলাদেশ প্যানোরোমায় দেখানো হবে ৮টি চলচ্চিত্র। এ বিভাগটি উৎসর্গ করা হবে সদ্য প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আখতারুজ্জামানকে।
স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগটি সাজানো হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানবতাবাদী ২০টি চলচ্চিত্র দিয়ে। ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশের ছবি দেখানো হচ্ছে এই বিভাগে।
দেশি-বিদেশি ৩০টির বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে উইমেন ফিল্মস মেকার সেশনে। এ বিভাগ থেকে সেরা নারী চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা হবে। ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মস বিভাগে ঠাঁই পেয়েছে তথ্যচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র। সেরা হিসেবে নির্বাচিত ছবিকে দেওয়া হবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন ও জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ৫টি করে ১০টি ছবি দেখানো হবে।
No comments