প্রাইম দোলেশ্বরের চমক

লীগে গত তিন ম্যাচের তিনটিতেই পরাজিত হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। কোনো ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। কিন্তু গতকাল তারাই ৪৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে এবারের অন্যতম শক্তিশালী দল শেখ জামালকে। ওই ৪৩ রানের ব্যবধানেই ব্রাদার্সকে পরাজিত করে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বিমান। দিনের অন্য ম্যাচে সিসিএসকে ১২৫ রানে হারিয়ে তৃতীয় জয় পেয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস।


কামরান আকমলের সেঞ্চুরি :নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না পাকিস্তানের কামরান আকমল। গতকাল তার আগুনে পুড়ল এবারের অন্যতম শক্তিশালী দল শেখ জামাল। তৃতীয় উইকেটে শাহরিয়ার নাফীসকে সঙ্গে নিয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি যোগ করেন ১১৬ রান তিনি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত সন্দেহে পাকিস্তান দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটার ৯৬ বলে ১৭টি চার এবং ২টি ছয়ে ১১৭ রান করেন। তার বিদায়ের পর ১০ ওভারে নাফীস ও কায়সার আব্বাস যোগ করেন ৭৪ রান। দুটি জুটিতেই নাফীস এক প্রান্ত ধরে রেখে পার্টনারকে স্ট্রাইক দিয়ে গেছেন। এতেই দল পেঁৗছে যায় ২৯৫ রানে। জবাব দিতে নেমে দলীয় একশ' রানের আগেই মুশফিক এবং দুই ভারতীয় দীপক ও সুজিত সাজঘরে ফিরে গেলে জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় শেখ জামালের। শেষ দিকে অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দী শুভর ৬৪ রানের ইনিংসটি কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।
বিমানের জয় : মিরপুরে কুয়াশার কারণে ৪২ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিতে এক মুহূর্তও সময় নেননি ব্রাদার্স অধিনায়ক। ২৯ রানে বিমানের দুই ওপেনার ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানি খালিদ লতিফ ১০৪ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। জুনায়েদের বিদায়ের পর দুই পাকিস্তানি লতিফ ও ফয়সাল ইকবাল ৯৮ রান তুলে বিমানকে জেতার মতো অবস্থানে পেঁৗছে দেন। তবে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি খালিদ লতিফ। ২৪৩ রানের পিছু ধাওয়া করতে নেমে ব্রাদার্সের সূচনাটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু ৪৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এরমধ্যে আবার ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দিয়ে কাঁধে চোট পান মিডল অর্ডার মাহবুবুল করিম মিঠু। এদিকে ম্যাচ শেষে আম্পায়ারদের রুমে গিয়ে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত ও গাজী সোহেলকে ভুল সিদ্ধান্তের অভিযোগে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ায় ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমিন খান এবং সহকারী ম্যানেজার সেলিমকে।
ওল্ড ডিওএইচএসের তৃতীয় জয় : আশরাফুলের ওল্ড ডিওএইচএসকে অনেকেই তেমনভাবে গোনায় ধরেনি। কিন্তু তারা ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ঘটনাবহুল ওই ম্যাচটি ছাড়া সব জিতেছে। গতকাল বিকেএসপিতে ৩৮ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে ওপেনার জিয়াউরের মারমুখী হাফ সেঞ্চুরি এবং পাকিস্তানি আদনান রাজার ৬১ বলের ৮০ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৪৫ রান তুলে ডিওএইচএস। ওভার প্রতি ৬-এর ওপরে রান তোলার টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে খেলার বয়স ১০ ওভার হওয়ার আগেই টপ অর্ডারের তিনজনকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সিসিএস। এরপর ৮৮ রানের মধ্যে সাতজন প্যাভিলিয়নে ফিরলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।

No comments

Powered by Blogger.