পাকিস্তানে ক্যুর আশঙ্কা-জারদারি দুবাইয়ে
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন টালমাটাল। যে কোনো মুহূর্তে সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি গতকাল বৃহস্পতিবার শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, সংকটময় এ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছে। গতকাল বিকেলে শুরু হয়েছে এ জরুরি অধিবেশন। এতে সরকার আস্থা ভোট নিতে পারে। তবে দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে দুবাই গেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। পূর্বনির্ধারিত একদিনের সফরে জারদারি দুবাই গেছেন বলা হলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, তিনি হয়তো আর দেশে ফিরবেন না। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে গতকাল দিনশেষে জানিয়েছে, জারদারি আজই দেশে ফিরবেন। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, সরকার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতায় পেঁৗছার চেষ্টা করছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন বলেছে, পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান হবে না_ এমন কোনো নিশ্চয়তার কথা বলা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানজুড়ে এখন চলছে জল্পনা-কল্পনা। সামরিক অভ্যুত্থান ঘটবে কি-না, জারদারির অবস্থা কী হবে, আগাম নির্বাচন হবে কি-না, সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন কি-না, এমন নানা প্রশ্ন মুখে মুখে। সরকার ও সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় অনেকে তাকিয়ে আছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। রাজনীতির আকাশে এ কালো মেঘ কাটাতে আগাম নির্বাচনের কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি একের পর এক কর্মসূচি দেওয়ায়
আলোচিত নেতা তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানও সরকারের প্রতি পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান তিনি সমর্থন করবেন না। সব মিলিয়ে জারদারি সরকার যে ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না সে ব্যাপারে সবাই একরকম নিশ্চিত। খবর এএফপি, বিবিসি, ডন, জি-নিউজ, সিএনএন অনলাইনের।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বশেষ বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে হুশিয়ার করে বলেছে, মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান লে. জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা সম্পর্কে গিলানি যে মন্তব্য করেছেন এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। একই দিন প্রতিরক্ষা সচিব লে. জেনারেল (অব.) খালিদ নাঈম লোদিকে অসদাচরণের অভিযোগে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোদিকে বরখাস্ত করার বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি জেনারেলরা।
সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধানকে অপসারণ করা হতে পারে_ এমন ধারণা করেন অনেকে। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান কায়ানি। সামরিক মুখপাত্র মেজর মোহাম্মদ আলি দিয়াল এ বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তিনি জানাননি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংকটময় পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যেই বৈঠক হয়েছে।
দেশের রাজনীতিতে যখন কালো মেঘের ছায়া সে মুহূর্তে জারদারির দুবাই গমন নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট জারদারি শুক্রবার (আজ) দেশে ফিরবেন। এটি তার ব্যক্তিগত সফর। সেখানে তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ সফরের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতির সম্পর্ক নেই। গত ডিসেম্বরেও জারদারি দুবাই গিয়েছিলেন। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন বলা হলেও সে সময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, জারদারি পদত্যাগ করবেন।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বেশিরভাগ সময় দেশটি শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। এ পর্যন্ত কোনো নির্বাচিত সরকার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জারদারি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার ও সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক কখনও ভালো ছিল না। তবে গত বছর ২ মে মার্কিন অভিযানে পাকিস্তানের এবোটাবাদে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর সরকার ও সামরিক বাহিনীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। এক পর্যায়ে প্রকাশ পায় পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো একটি চিঠির বিষয়। 'মেমোগেট' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই চিঠির বিষয়টিই সামরিক বাহিনী ও সরকারকে মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। স্বাক্ষরবিহীন ওই চিঠিতে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা প্রকাশ করে তা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জারদারি ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে জারদারির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, একমাত্র আগাম নির্বাচনের মাধ্যমেই পাকিস্তানের বর্তমান জটিল পরিস্থিতির অবসান ঘটতে পারে। তিরোহিত হতে পারে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা। দেশটিতে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে অজনপ্রিয় জারদারির সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে কি-না এমন প্রশ্ন ওঠে অনেক আগেই। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
সামরিক শাসন মানবেন না ইমরান : সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এবং সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসা ইমরান খান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। স্পষ্ট করে বলেছেন, তার দল সামরিক শাসন মেনে নেবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কায়ানি, পাশাকে টিকিয়ে রাখতে আদালতে আবেদন : সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি ও আইএসআই প্রধান লে. জেনারেল আহমেদ সুজা পাশাকে সরকার যাতে বরখাস্ত করতে না পারে সে লক্ষ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন একজন আইনজীবী। সরকার মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে এ দু'জনকে অপসারণ করতে চায় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপসারণ না করার ব্যাপারে রুল চেয়েছেন আইনজীবী মৌলভি ইকবাল হায়দার। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।
প্রতিরক্ষা সচিবকে টিকিয়ে রাখতে আবেদন : বরখাস্ত হওয়া প্রতিরক্ষা সচিব লে. জেনারেল (অব.) নাঈম খালিদ লোদিকে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছেন তারিক আসাদ নামে এক আইনজীবী। আবেদনে বলা হয়, মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পর সরকার অসন্তুষ্ট হয়ে প্রতিরক্ষা সচিবকে বরখাস্ত করেছে। সেনাবাহিনী যাতে অসাংবিধানিক কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে সে ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্টকে ভূমিকা রাখার আর্জি জানানো হয়েছে ওই আবেদনে।
পাকিস্তানজুড়ে এখন চলছে জল্পনা-কল্পনা। সামরিক অভ্যুত্থান ঘটবে কি-না, জারদারির অবস্থা কী হবে, আগাম নির্বাচন হবে কি-না, সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন কি-না, এমন নানা প্রশ্ন মুখে মুখে। সরকার ও সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় অনেকে তাকিয়ে আছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। রাজনীতির আকাশে এ কালো মেঘ কাটাতে আগাম নির্বাচনের কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি একের পর এক কর্মসূচি দেওয়ায়
আলোচিত নেতা তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানও সরকারের প্রতি পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান তিনি সমর্থন করবেন না। সব মিলিয়ে জারদারি সরকার যে ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না সে ব্যাপারে সবাই একরকম নিশ্চিত। খবর এএফপি, বিবিসি, ডন, জি-নিউজ, সিএনএন অনলাইনের।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বশেষ বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে হুশিয়ার করে বলেছে, মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান লে. জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা সম্পর্কে গিলানি যে মন্তব্য করেছেন এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। একই দিন প্রতিরক্ষা সচিব লে. জেনারেল (অব.) খালিদ নাঈম লোদিকে অসদাচরণের অভিযোগে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোদিকে বরখাস্ত করার বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি জেনারেলরা।
সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধানকে অপসারণ করা হতে পারে_ এমন ধারণা করেন অনেকে। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান কায়ানি। সামরিক মুখপাত্র মেজর মোহাম্মদ আলি দিয়াল এ বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তিনি জানাননি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংকটময় পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যেই বৈঠক হয়েছে।
দেশের রাজনীতিতে যখন কালো মেঘের ছায়া সে মুহূর্তে জারদারির দুবাই গমন নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট জারদারি শুক্রবার (আজ) দেশে ফিরবেন। এটি তার ব্যক্তিগত সফর। সেখানে তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ সফরের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতির সম্পর্ক নেই। গত ডিসেম্বরেও জারদারি দুবাই গিয়েছিলেন। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন বলা হলেও সে সময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, জারদারি পদত্যাগ করবেন।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বেশিরভাগ সময় দেশটি শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। এ পর্যন্ত কোনো নির্বাচিত সরকার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জারদারি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার ও সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক কখনও ভালো ছিল না। তবে গত বছর ২ মে মার্কিন অভিযানে পাকিস্তানের এবোটাবাদে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর সরকার ও সামরিক বাহিনীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। এক পর্যায়ে প্রকাশ পায় পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো একটি চিঠির বিষয়। 'মেমোগেট' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই চিঠির বিষয়টিই সামরিক বাহিনী ও সরকারকে মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। স্বাক্ষরবিহীন ওই চিঠিতে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা প্রকাশ করে তা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জারদারি ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে জারদারির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, একমাত্র আগাম নির্বাচনের মাধ্যমেই পাকিস্তানের বর্তমান জটিল পরিস্থিতির অবসান ঘটতে পারে। তিরোহিত হতে পারে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা। দেশটিতে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে অজনপ্রিয় জারদারির সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে কি-না এমন প্রশ্ন ওঠে অনেক আগেই। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
সামরিক শাসন মানবেন না ইমরান : সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এবং সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসা ইমরান খান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। স্পষ্ট করে বলেছেন, তার দল সামরিক শাসন মেনে নেবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কায়ানি, পাশাকে টিকিয়ে রাখতে আদালতে আবেদন : সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি ও আইএসআই প্রধান লে. জেনারেল আহমেদ সুজা পাশাকে সরকার যাতে বরখাস্ত করতে না পারে সে লক্ষ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন একজন আইনজীবী। সরকার মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে এ দু'জনকে অপসারণ করতে চায় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপসারণ না করার ব্যাপারে রুল চেয়েছেন আইনজীবী মৌলভি ইকবাল হায়দার। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।
প্রতিরক্ষা সচিবকে টিকিয়ে রাখতে আবেদন : বরখাস্ত হওয়া প্রতিরক্ষা সচিব লে. জেনারেল (অব.) নাঈম খালিদ লোদিকে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছেন তারিক আসাদ নামে এক আইনজীবী। আবেদনে বলা হয়, মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পর সরকার অসন্তুষ্ট হয়ে প্রতিরক্ষা সচিবকে বরখাস্ত করেছে। সেনাবাহিনী যাতে অসাংবিধানিক কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে সে ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্টকে ভূমিকা রাখার আর্জি জানানো হয়েছে ওই আবেদনে।
No comments