পাকিস্তানে কে হচ্ছেন সংকটের বলি?
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক সরকারের মধ্যকার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই জারদারির দুবাই গমন দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জনকে আরও উস্কে দিয়েছে। সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান কায়ানি এবং আইএসআই প্রধান আহমেদ সুজা পাশা। পাকিস্তান সরকারি সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী গিলানি সেনাপ্রধান কায়ানি এবং আইএসআই প্রধান পাশাকে বরখাস্ত করারও পরিকল্পনা করছেন।
এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এ রাজনৈতিক সংকটের বলি হচ্ছেন কে_ কায়ানি, পাশা না-কি জারদারি, গিলানি। একদিক দিয়ে জারদারি এবং তার সহযোগীদের অর্থ পাচারের মামলা পুনরায় শুরুর নির্দেশ, অন্যদিকে মেমোগেট ইসুতে কায়ানি এবং পাশার বক্তব্য অসাংবিধানিক উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় বেশ চাপের মুখেই আছেন গিলানি। ইতিমধ্যেই আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে জারদারির মামলা আবার শুরু করার নির্দেশ কার্যকর না করলে তাকে সাংসদ হিসেবে আযোগ্য ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে আগামী কয়েকদিন পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সংকটের শুরু মূলত কায়ানি অনুগত প্রতিরক্ষা সচিবকে সরিয়ে নিজেদের অনুগত প্রতিরক্ষা সচিব নিয়োগ দেওয়ার পর। তবে চলমান সংকটে সামরিক শাসন নয় বরং আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে বিশিষ্ট পাক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক সরকারের দ্বন্দ্ব চরমে হলেও এর সর্বশেষ পরিণতি হতে পারে আগাম নির্বাচন। এবারের এ সংকট ত্রিমুখী_ সামরিক বাহিনী, বেসামরিক সরকার ও দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তিনি বলেন, অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ হলে দিশারির ভূমিকা পালন করতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ এ আদালত নিশ্চিতভাবেই সেনাশাসন চাইবেন না বরং আগাম নির্বাচন সমর্থন দেবে। পাকিস্তানের আরেক রাজনীতি বিশ্লেষক তালাত মাসুদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টও আগাম নির্বাচনের দিকেই যেতে পারে, যাতে সমর্থন করবে পাক সেনাবাহিনী। তবে রাজনীতি বিশ্লেষক হাসান আস্কারি বলেন, পাকিস্তানের এ পরিস্থিতিতে বেসামরিক সরকার সামরিক বাহিনীর সমর্থন ছাড়া কিছু করতে পারবে না। আবার সামরিক বাহিনী একাই সবকিছুু করতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন দরকার। কিন্তু সামরিক এবং বেসামরিক এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান দ্বন্দ্ব এটাই নিদের্শ করে, গভীর সমস্যায় পতিত হতে যাচ্ছে পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন এ দেশটি। অন্যদিকে পিপিপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের শরিকরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, টিওআই
তারা যদি সরকারের ওপর থেকে তাদের সমর্থন তুলে নেন তবে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দেওয়াই হবে জারদারি, কায়ানির পরিণত সিদ্ধান্ত। আরেকটি সূত্রে বলা হয়, এমন অবস্থা দেখলে একই সঙ্গে কায়ানি এবং পাশাকে বরখাস্ত ও আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েই ক্ষমতা ছাড়বে পিপিপি।
তারা যদি সরকারের ওপর থেকে তাদের সমর্থন তুলে নেন তবে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দেওয়াই হবে জারদারি, কায়ানির পরিণত সিদ্ধান্ত। আরেকটি সূত্রে বলা হয়, এমন অবস্থা দেখলে একই সঙ্গে কায়ানি এবং পাশাকে বরখাস্ত ও আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েই ক্ষমতা ছাড়বে পিপিপি।
No comments