আবারও দরপতন কমেছে লেনদেন
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক এই দিন প্রায় ১০৮ পয়েন্ট কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ২৩৬ পয়েন্ট। পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল ডিএসইর লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও নিচে। নতুন বছরে এখন পর্যন্ত এটিই ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন।
দুই বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে প্রায় ৯২ শতাংশ এবং সিএসইতে ৮৮ শতাংশেরই দাম কমেছে। বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে আবারও কিছুটা চিড় ধরেছে। আর সেই সুযোগে নানা মহল নানা গুজব ছড়িয়ে এটিকে আরও নড়বড়ে করে দিচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক মোহাম্মদ মূসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু কিছু শেয়ারে মূল্য সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। বাজারের নিয়মে সেটিই হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সেটি বড় দরপতনে রূপ নিল। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। এ কারণে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে সব শেয়ারের দাম কমছে। যদিও এটি কাঙ্ক্ষিত নয়।’
মূসা আরও বলেন, ‘দাম যখন কমতে থাকে তখন একদল বিনিয়োগকারী কম লোকসানে হলেও দ্রুত শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, দাম হয়তো আরও কমে যাবে। আমাদের মতো বাজারে তাই যৌক্তিক কারণের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক কারণই বেশি কাজ করে।’
গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক নেমে এসেছে প্রায় পাঁচ হাজার ১১৪ পয়েন্টে। গত ১৬ দিনের ব্যবধানে এটিই ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক পাঁচ হাজার ৮৯ পয়েন্টে ছিল। পাশাপাশি গতকাল ডিএসইর সূচকটি নতুন বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশ কমে গেছে। এ কারণে গতকাল দরপতনের একপর্যায়ে বেশ কিছু শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। দরপতন শুরু হলে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ ছিল না।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল ডিএসইতে প্রায় ৩২৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৮ কোটি টাকা কম। এর আগে সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। দিন শেষে গতকাল ঢাকার বাজারে ২৬১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪১টি শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সপ্তাহ শেষে নেমে এসেছে ১৪ হাজার ৬১৩ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে এই দিন ১৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৬৭টি শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ২০টির আর অপরিবর্তিত ছিল দুটি শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে নয় কোটি টাকা কম।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক মোহাম্মদ মূসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু কিছু শেয়ারে মূল্য সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। বাজারের নিয়মে সেটিই হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সেটি বড় দরপতনে রূপ নিল। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। এ কারণে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে সব শেয়ারের দাম কমছে। যদিও এটি কাঙ্ক্ষিত নয়।’
মূসা আরও বলেন, ‘দাম যখন কমতে থাকে তখন একদল বিনিয়োগকারী কম লোকসানে হলেও দ্রুত শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, দাম হয়তো আরও কমে যাবে। আমাদের মতো বাজারে তাই যৌক্তিক কারণের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক কারণই বেশি কাজ করে।’
গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক নেমে এসেছে প্রায় পাঁচ হাজার ১১৪ পয়েন্টে। গত ১৬ দিনের ব্যবধানে এটিই ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক পাঁচ হাজার ৮৯ পয়েন্টে ছিল। পাশাপাশি গতকাল ডিএসইর সূচকটি নতুন বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশ কমে গেছে। এ কারণে গতকাল দরপতনের একপর্যায়ে বেশ কিছু শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। দরপতন শুরু হলে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ ছিল না।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল ডিএসইতে প্রায় ৩২৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৮ কোটি টাকা কম। এর আগে সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। দিন শেষে গতকাল ঢাকার বাজারে ২৬১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪১টি শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সপ্তাহ শেষে নেমে এসেছে ১৪ হাজার ৬১৩ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে এই দিন ১৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৬৭টি শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ২০টির আর অপরিবর্তিত ছিল দুটি শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে নয় কোটি টাকা কম।
No comments