আম বয়ান ও ইজতেমার সূচনা by শাহীন হাসনাত
কহর দরিয়াখ্যাত সোনাভানের শহর টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আজ। সভাপতিবিহীন এই ইজতেমা শুরু হবে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে। তুরাগ নদের তীরে ১৬০ একর এলাকাজুড়ে চটনির্মিত প্যান্ডেলসহ যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের জোড় ইজতেমার পর থেকেই মাঠ প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রতিদিন কয়েকশ' তাবলিগি সাথীরা কাজ করে আসছিলেন।
এ ছাড়াও ঢাকাসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার তাবলিগ অনুসারীরা মাঠ নির্মাণের কাজে অংশ নিয়েছেন সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। আজ শুরু হওয়া ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত ১৫ জানুয়ারি দুপুরের আগে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হলেও উভয় পর্বের কার্যক্রম ও আনুষ্ঠানিকতায় কোনো পরিবর্তন থাকবে না।
খিত্তাওয়ারি বিভিন্ন জেলার মুসলিল্গদের অবস্থান : মুরবি্বদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম পর্বের ইজতেমায় ঢাকার কিছু অংশ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, নাটোর, শেরপুর, রাজশাহী, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার মুসলিল্গরা অংশ নেবেন। মুসলিল্গদের থাকার সুবিধার্থে ইজতেমার মাঠকে ৩৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের পর প্রথম দফায় অংশগ্রহণকারী মুসলিল্গরা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাবেন। চার দিন বিরতির পর ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন ঢাকার বাদবাকি অংশ, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, বরিশাল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম, নোয়াখালী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মাগুরা, খুলনা, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার মুসলিল্গরা।
বিদেশি মেহমানদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে টিননির্মিত বিশেষ আবাসন স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য উন্নত খাবার, উন্নত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের একজন জিম্মাদার জানান, সার্কভুক্ত দেশ বাদে বিশ্বের ৬০টি দেশের কয়েক হাজার বিদেশি মেহমান এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন।
ইজতেমায় আগত মুসলিল্গদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট ও অজু-গোসলখানা নির্মাণের কাজও শেষ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে প্রায় ৪০টি। মাঠের চারপাশে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। নিরাপত্তা রক্ষীরা ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনের জন্য তৈরি করেছেন ওয়াচ টাওয়ার। প্রস্তুত অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন। এ ছাড়া ভিআইপিদের জন্য হেলিপ্যাড নির্মাণ ছাড়াও সার্বিক প্রস্তুতির কাজও বলতে গেলে শেষ। বিশাল এ আয়োজনের নির্মাণসামগ্রী আসছে কোনো আবেদন-নিবেদন ছাড়াই। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় এসব সামগ্রী দান করছেন। ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে বয়ান মঞ্চ, মোনাজাত মঞ্চ, তাশকিল ও জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ মুসলিল্গদের চলাফেরার জন্য তুরাগ নদীতে কয়েকটি ভাসমান পন্টুন সেতু তৈরি করেছে। এবারও অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। অবশ্য মাঠজুড়েই তাবলিগি সাথীদের আলাদা পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে।
খিত্তাওয়ারি বিভিন্ন জেলার মুসলিল্গদের অবস্থান : মুরবি্বদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম পর্বের ইজতেমায় ঢাকার কিছু অংশ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, নাটোর, শেরপুর, রাজশাহী, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার মুসলিল্গরা অংশ নেবেন। মুসলিল্গদের থাকার সুবিধার্থে ইজতেমার মাঠকে ৩৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের পর প্রথম দফায় অংশগ্রহণকারী মুসলিল্গরা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাবেন। চার দিন বিরতির পর ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন ঢাকার বাদবাকি অংশ, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, বরিশাল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম, নোয়াখালী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মাগুরা, খুলনা, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার মুসলিল্গরা।
বিদেশি মেহমানদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে টিননির্মিত বিশেষ আবাসন স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য উন্নত খাবার, উন্নত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের একজন জিম্মাদার জানান, সার্কভুক্ত দেশ বাদে বিশ্বের ৬০টি দেশের কয়েক হাজার বিদেশি মেহমান এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন।
ইজতেমায় আগত মুসলিল্গদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট ও অজু-গোসলখানা নির্মাণের কাজও শেষ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে প্রায় ৪০টি। মাঠের চারপাশে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। নিরাপত্তা রক্ষীরা ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনের জন্য তৈরি করেছেন ওয়াচ টাওয়ার। প্রস্তুত অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন। এ ছাড়া ভিআইপিদের জন্য হেলিপ্যাড নির্মাণ ছাড়াও সার্বিক প্রস্তুতির কাজও বলতে গেলে শেষ। বিশাল এ আয়োজনের নির্মাণসামগ্রী আসছে কোনো আবেদন-নিবেদন ছাড়াই। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় এসব সামগ্রী দান করছেন। ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে বয়ান মঞ্চ, মোনাজাত মঞ্চ, তাশকিল ও জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ মুসলিল্গদের চলাফেরার জন্য তুরাগ নদীতে কয়েকটি ভাসমান পন্টুন সেতু তৈরি করেছে। এবারও অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। অবশ্য মাঠজুড়েই তাবলিগি সাথীদের আলাদা পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে।
No comments