মূসক জটিলতায় মোবাইল ব্যাংকিং খাত-রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের by শেখ শাফায়াত হোসেন
মোবাইল ব্যাংকিং খাতে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে নেওয়া কমিশনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এ জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি চিঠি দিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তৈরির জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে আসে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। চলতি বছরের এপ্রিল মাস এই সেবা দেওয়া শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সেবাটি পরিচালনার কাজে মোবাইল অপারেটর কম্পানি বাংলালিংক ও মোবাইল এজেন্টরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে সহযোগিতা করছেন। এ ক্ষেত্রে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক তাদের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন (সেবামূল্য) আদায় করে। নিট কমিশনের ১৫ শতাংশ মূসক হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয় রাজস্ব বোর্ডকে। বাকি অর্থ নির্দিষ্ট হারে এই তিন পক্ষের (ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর ও এজেন্ট) মধ্যে বিতরণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী এতদিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক নিজেই এ কাজটি করে আসছিল।
সম্প্র্রতি বাংলালিংক প্রাপ্য কমিশনের অংশের সঙ্গে মূসকের আনুপাতিক অংশও তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে অনুরোধ জানায়। এ ক্ষেত্রে বাংলালিংক কমিশনের ওপর মূসক নিজেরাই দেবে বলে জানায়। ফলে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আবেদন করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
আবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নতুন চালু হওয়া এই ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে মোবাইল অপারেটর কম্পানি ও মোবাইল এজেন্টরা সরাসরি জড়িত। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম থেকে এই সেবার বিপরীতে আদায় করা কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকসহ তিন পক্ষের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে বণ্টন হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদায়কৃত কমিশনের ওপর প্রযোজ্য মোট মূসক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক নিজেরাই প্রদান করবে নাকি অন্য দুই পক্ষের কমিশনের অংশের সঙ্গে মূসকের আনুপাতিক অংশও দিয়ে দেবে এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
উদ্ভূত এই জটিলতা নিরসনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে মূসক দপ্তর ও ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রতিবেদন তৈরি শুরু করেছে রাজস্ব বোর্ড। এরই মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের তিন মূসক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর জারীকৃত এক নোটিশে এই কমিটির কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যমান এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ডাচ্-বাংলার পাঠানো চিঠিতে। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা খান তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, 'বীমা সেবার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিয়ম আছে, সে ধরনের একটি বিধান করে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। প্রচলিত গ্রুপ বীমার ক্ষেত্রে যেমন কমিশন আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিজেরাই মূসক প্রদান করছে, সেভাবে মেবাইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রেও আদায়কৃত কমিশন থেকে মূসক প্রদানের দায়িত্ব আদায়কারী ব্যাংকের ওপরই ন্যস্ত করা যেতে পারে। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অনেক ধরনের জটিলতা এড়ানোসহ অনাবশ্যক অডিট আপত্তি পরিহার করাও সম্ভব হবে।'
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মীর মোমিনুল হক বিষয়টি তেমন কোনো জটিলতা মনে করছেন না। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা পেলেই আমরা মোবাইল অপারেটর ও এজেন্টদের মূসকের আনুপাতিক অংশ তাদের দিয়ে দেব।'
বিষয়টি সুরাহার জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আবদুর রউফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিদ্যমান মূসক আইন-১৯৯১-এর বিধিবিধানের আলোকে ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে একটি সমন্বিত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য মূসক দপ্তর ও ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলাপ-আলোচনারও প্রয়োজন রয়েছে।'
বাংলাদেশে মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের ধারণা একেবারেই নতুন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরে এ খাতে সেবা দিতে এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। গত জুলাই মাসে 'বিকাশ' নামে পৃথকভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে তারা। তা ছাড়া ব্যাংক এশিয়াও খুব দ্রুত এই সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় এ খাতের মূসক দেওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসনে রাজস্ব বোর্ডও যথেষ্ট তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন মূসক কর্মকর্তারা।
সম্প্র্রতি বাংলালিংক প্রাপ্য কমিশনের অংশের সঙ্গে মূসকের আনুপাতিক অংশও তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে অনুরোধ জানায়। এ ক্ষেত্রে বাংলালিংক কমিশনের ওপর মূসক নিজেরাই দেবে বলে জানায়। ফলে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আবেদন করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
আবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নতুন চালু হওয়া এই ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে মোবাইল অপারেটর কম্পানি ও মোবাইল এজেন্টরা সরাসরি জড়িত। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম থেকে এই সেবার বিপরীতে আদায় করা কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকসহ তিন পক্ষের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে বণ্টন হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদায়কৃত কমিশনের ওপর প্রযোজ্য মোট মূসক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক নিজেরাই প্রদান করবে নাকি অন্য দুই পক্ষের কমিশনের অংশের সঙ্গে মূসকের আনুপাতিক অংশও দিয়ে দেবে এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।
উদ্ভূত এই জটিলতা নিরসনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে মূসক দপ্তর ও ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রতিবেদন তৈরি শুরু করেছে রাজস্ব বোর্ড। এরই মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের তিন মূসক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর জারীকৃত এক নোটিশে এই কমিটির কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যমান এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ডাচ্-বাংলার পাঠানো চিঠিতে। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা খান তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, 'বীমা সেবার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিয়ম আছে, সে ধরনের একটি বিধান করে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। প্রচলিত গ্রুপ বীমার ক্ষেত্রে যেমন কমিশন আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিজেরাই মূসক প্রদান করছে, সেভাবে মেবাইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রেও আদায়কৃত কমিশন থেকে মূসক প্রদানের দায়িত্ব আদায়কারী ব্যাংকের ওপরই ন্যস্ত করা যেতে পারে। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অনেক ধরনের জটিলতা এড়ানোসহ অনাবশ্যক অডিট আপত্তি পরিহার করাও সম্ভব হবে।'
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মীর মোমিনুল হক বিষয়টি তেমন কোনো জটিলতা মনে করছেন না। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা পেলেই আমরা মোবাইল অপারেটর ও এজেন্টদের মূসকের আনুপাতিক অংশ তাদের দিয়ে দেব।'
বিষয়টি সুরাহার জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আবদুর রউফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিদ্যমান মূসক আইন-১৯৯১-এর বিধিবিধানের আলোকে ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে একটি সমন্বিত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য মূসক দপ্তর ও ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলাপ-আলোচনারও প্রয়োজন রয়েছে।'
বাংলাদেশে মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের ধারণা একেবারেই নতুন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরে এ খাতে সেবা দিতে এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। গত জুলাই মাসে 'বিকাশ' নামে পৃথকভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে তারা। তা ছাড়া ব্যাংক এশিয়াও খুব দ্রুত এই সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় এ খাতের মূসক দেওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসনে রাজস্ব বোর্ডও যথেষ্ট তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন মূসক কর্মকর্তারা।
No comments