বার্সার এল ক্ল্যাসিকো জয়
একদিকে 'টিকিটাকা' ছন্দ। ছোট ছোট ছন্দময় পাসের পর পাস। অন্যদিকে তীব্র গতি আর পাল্টা আক্রমণের ছটা। বার্নাব্যুতে রিয়ালের আক্রমণের ছটায় বার্সেলোনার টিকিটাকা ছন্দ ছন্দহারা হওয়ার শঙ্কা ছিল; কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। বার্সেলোনার ছন্দময় পাসের তোড়ে দিশেহারা হয়েছেন মরিনহোর সৈন্যরা। তাই তো মাত্র ২১ সেকেন্ডে গোল 'উপহার' পেয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা।
বরং তাদের একরাশ হতাশায় ডুবিয়ে লিওনেল মেসিরা ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছেন। প্রথম মিনিটেই করিম বেঞ্জেমার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ; কিন্তু আলেক্সিস সানচেজ, জাভি ও সেস ফ্যাব্রিগাসের গোল বার্সেলোনা শিবিরে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। এ জয়ের ফলে বার্সেলোনা আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্র্ষে উঠে এসেছে। ১৬ খেলায় তাদের সংগ্রহ ৩৭। রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহও ৩৭। গোল পার্থক্যে তারা পিছিয়ে রয়েছে, তবে বার্সেলোনার চেয়ে তারা একটা ম্যাচ কম খেলেছে। এ জয়ে বার্নাব্যুতে টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকার কৃতিত্ব দেখাল বার্সেলোনা। সে সঙ্গে ফিরল শিরোপা লড়াইয়ে।
টানা ১৬তম ম্যাচ জয়ের রেকর্ডকে সামনে রেখেই নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে বার্সেলোনার সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। যদিও লীগের অনেক পথ এখনও বাকি; কিন্তু এ ম্যাচের হার বার্সেলোনাকে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল। বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচ সে পথে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল শুরুতেই। মাত্র ২১ সেকেন্ডে করিম বেঞ্জেমার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস বেঞ্জেমাকে এ গোলটি 'উপহার' দিয়েছিলেন। ভালদেসের একটা নিরীহ শট সোজা চলে যায় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কাছে। বল পেয়েই প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মারিয়া গোলে শট নিলে তা সার্জিও বাস্কুয়েটসের পায়ে লাগে; কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। বল চলে যায় মেসুত ওজিলের কাছে। ওজিলের শটও বাস্কুয়েটসের পায়ে লেগে চলে যায় করিম বেঞ্জেমার কাছে। পোস্টের মাত্র ছয় গজ দূর দাঁড়ানো বেঞ্জেমা গোলের এমন আচমকা সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
'এল ক্ল্যাসিকো'র ইতিহাসে দ্রুততম গোল এটি। এ গোল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে বসন্তের সুবাতাস বইয়ে দেয়; কিন্তু জয়টা যে সহজে আসবে না তা বুঝিয়ে দিতে মোটেও দেরি করেননি সময়ের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। সাত মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন এ আর্জেন্টাইন। একাধিক বাধা পার হয়ে যে শটটি তিনি নিয়েছিলেন তা রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস শেষ মুহূর্তে কোনোমতো রুখে দেন। তবে ৩০ মিনিটে ঠিকই বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরে আসে। অ্যালেক্সি সানচেজ ১৮ গজ দূর থেকে দারুণ এক প্লেসিং শটে ক্যাসিয়াসকে হতাশায় ডুবিয়ে দেন। এ গোলের রূপকার ছিলেন মেসি। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ন্ত্রণে এনে রিয়ালের গোলমুখে ছুটেছিলেন এ আর্জেন্টাইন। কিছু দূর এসে বড় বাধার মুখোমুখি হতেই থ্রু বাড়িয়ে দেন সানচেজকে। সানচেজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। এ গোল বার্সেলোনা শিবিরে প্রাণসঞ্চার করে। যার ফলে একের পর এক আক্রমণে নাস্তানাবুদ হতে হয় রিয়ালকে। যার ফসল তারা ঘরে তোলে ৫৩ ও ৬৬ মিনিটে।
অনেকটা ভাগ্যের জোরে বার্সেলোনা পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোলটি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া জাভি হার্নান্দেজের ভলি নিয়ন্ত্রণে নিতে ঠিক পথেই এগোচ্ছিলেন ক্যাসিয়াস; কিন্তু মাঝপথে মার্সেলোর পায়ে লেগে বলের গতি ঘুরে যায়। ক্যাসিয়াসও গতি পরিবর্তন করতে চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। বল বিপরীত পোস্টে লেগে জালে আশ্রয় নেয়। ৬৫ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু তার হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়। এদিন অবশ্য রোনালদো নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তার একাধিক ফ্রিকিক বার্সেলোনার মানব দেয়ালে লেগে প্রতিহত হয়।
রোনালদো গোল পাননি, গোলের রূপকারও হতে পারেননি। মেসিও গোল পাননি। তবে রোনালদো যেখানে সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়েছেন সেখানে মেসি ফুল ফুটিয়েছেন। দুটো গোলের রূপকার ছিলেন তিনি। বার্সেলোনার শেষ গোলের উৎস ছিলেন এ আর্জেন্টাইন। ৬৬ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড় শুরু করেন মেসি। হঠাৎ করে ডান প্রান্তে দানি আলভেসের উদ্দেশে বল ছেড়ে দেন। এ ব্রাজিলিয়ান দারুণ এক ক্রস করেন, যাতে মাথা ছুঁয়ে ফ্যাব্রিগাস বল জালে জড়িয়ে দেন। রিয়ালের কোয়েন্ত্রাও চেষ্টা করেছিলেন মার্সেলোর ক্রসে দলকে ফেরাতে কিন্তু পারেননি।
টানা ১৬তম ম্যাচ জয়ের রেকর্ডকে সামনে রেখেই নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে বার্সেলোনার সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। যদিও লীগের অনেক পথ এখনও বাকি; কিন্তু এ ম্যাচের হার বার্সেলোনাকে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল। বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচ সে পথে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল শুরুতেই। মাত্র ২১ সেকেন্ডে করিম বেঞ্জেমার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস বেঞ্জেমাকে এ গোলটি 'উপহার' দিয়েছিলেন। ভালদেসের একটা নিরীহ শট সোজা চলে যায় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কাছে। বল পেয়েই প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মারিয়া গোলে শট নিলে তা সার্জিও বাস্কুয়েটসের পায়ে লাগে; কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। বল চলে যায় মেসুত ওজিলের কাছে। ওজিলের শটও বাস্কুয়েটসের পায়ে লেগে চলে যায় করিম বেঞ্জেমার কাছে। পোস্টের মাত্র ছয় গজ দূর দাঁড়ানো বেঞ্জেমা গোলের এমন আচমকা সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
'এল ক্ল্যাসিকো'র ইতিহাসে দ্রুততম গোল এটি। এ গোল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে বসন্তের সুবাতাস বইয়ে দেয়; কিন্তু জয়টা যে সহজে আসবে না তা বুঝিয়ে দিতে মোটেও দেরি করেননি সময়ের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। সাত মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন এ আর্জেন্টাইন। একাধিক বাধা পার হয়ে যে শটটি তিনি নিয়েছিলেন তা রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস শেষ মুহূর্তে কোনোমতো রুখে দেন। তবে ৩০ মিনিটে ঠিকই বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরে আসে। অ্যালেক্সি সানচেজ ১৮ গজ দূর থেকে দারুণ এক প্লেসিং শটে ক্যাসিয়াসকে হতাশায় ডুবিয়ে দেন। এ গোলের রূপকার ছিলেন মেসি। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ন্ত্রণে এনে রিয়ালের গোলমুখে ছুটেছিলেন এ আর্জেন্টাইন। কিছু দূর এসে বড় বাধার মুখোমুখি হতেই থ্রু বাড়িয়ে দেন সানচেজকে। সানচেজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। এ গোল বার্সেলোনা শিবিরে প্রাণসঞ্চার করে। যার ফলে একের পর এক আক্রমণে নাস্তানাবুদ হতে হয় রিয়ালকে। যার ফসল তারা ঘরে তোলে ৫৩ ও ৬৬ মিনিটে।
অনেকটা ভাগ্যের জোরে বার্সেলোনা পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোলটি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া জাভি হার্নান্দেজের ভলি নিয়ন্ত্রণে নিতে ঠিক পথেই এগোচ্ছিলেন ক্যাসিয়াস; কিন্তু মাঝপথে মার্সেলোর পায়ে লেগে বলের গতি ঘুরে যায়। ক্যাসিয়াসও গতি পরিবর্তন করতে চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। বল বিপরীত পোস্টে লেগে জালে আশ্রয় নেয়। ৬৫ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু তার হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়। এদিন অবশ্য রোনালদো নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তার একাধিক ফ্রিকিক বার্সেলোনার মানব দেয়ালে লেগে প্রতিহত হয়।
রোনালদো গোল পাননি, গোলের রূপকারও হতে পারেননি। মেসিও গোল পাননি। তবে রোনালদো যেখানে সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়েছেন সেখানে মেসি ফুল ফুটিয়েছেন। দুটো গোলের রূপকার ছিলেন তিনি। বার্সেলোনার শেষ গোলের উৎস ছিলেন এ আর্জেন্টাইন। ৬৬ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড় শুরু করেন মেসি। হঠাৎ করে ডান প্রান্তে দানি আলভেসের উদ্দেশে বল ছেড়ে দেন। এ ব্রাজিলিয়ান দারুণ এক ক্রস করেন, যাতে মাথা ছুঁয়ে ফ্যাব্রিগাস বল জালে জড়িয়ে দেন। রিয়ালের কোয়েন্ত্রাও চেষ্টা করেছিলেন মার্সেলোর ক্রসে দলকে ফেরাতে কিন্তু পারেননি।
No comments