শীতের দৈর্ঘ্য কমছে, কমছে গমের ফলন by ভূঁইয়া নজরুল
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা বলছেন, দেশে একসময় তিন থেকে সাড়ে তিন মাস ধরে শীতের প্রভাব থাকলেও এখন তা এক থেকে দেড় মাসে গিয়ে ঠেকেছে। গত এক দশক এ প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ কারণে শীতকালীন ফসলের ফলনও ভালো হচ্ছে না। কৃষকরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে গমের চাষাবাদ কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে শীতের মৌসুম থাকলেও এখন আর সেই দিন নেই। এখন ডিসেম্বরেও শীতের দেখা পাওয়া যায় না। এবার ডিসেম্বরের এখন পর্যন্তও শীতের তীব্রতা নেই।
শীতের দৈর্ঘ্য কমে আসায় দেশে গমের চাষ কমে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (সম্প্রসারণ) অনিল চন্দ্র সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০০০ সালের দিকে দেশে চার লাখ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হলেও এখন তা তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় গমের ভালো ফলন পাওয়া যায় না। এ কারণে কৃষকরাও ঝুঁকি নিয়ে গমের চাষ করছেন না। এতে বছরে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি গম উৎপাদন হচ্ছে না।
এ কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, 'গমের ফ্লাওয়ারিংয়ের সময় শীতের তীব্রতা বেশি প্রয়োজন। শীত কম পড়লে ফ্লাওয়ারিংয়ের পরিমাণ কমে যায় এবং গম উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু ১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাচ্ছে। একসময় সারা দেশে গমের চাষ হলেও এখন তা শুধু উত্তরবঙ্গে গিয়ে ঠেকেছে।'
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সালের দিকে দেশে দেড় লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হতো। চাহিদার কারণে ধানের পাশাপাশি গমের আবাদও বাড়তে বাড়তে ২০০০ সালের দিকে চার লাখ হেক্টরে পেঁৗছায়। কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে তা আবারও কমছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে শীত না থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গমের চাষাবাদ হয় না জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুল হুদা বলেন, 'সাধারণত নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত গমের আবাদ শুরু হয়। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে তা কাটার উপযোগী হয়। মোদ্দাকথা, আমনের পরপরই গমের আবাদ শুরু হয়। কিন্তু কোনো কারণে আমন ঘরে তুলতে দেরি হলে গমের চাষে দেরি হয়ে যায় এবং শেষের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যায় বলে কৃষকরা আর ঝুঁকি নিয়ে গমের চাষ করতে চান না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, 'একসময় আমাদের দেশে নভেম্বর থেকে শীতের মৌসুম শুরু হতো, আর এখন ডিসেম্বরেও পুরোপুরিভাবে শীতের দেখা পাওয়া যায় না। আবার জানুয়ারির শেষ থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। এভাবে শীতের দৈর্ঘ্য ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বলে শীতকালীন ফসল গমের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে_এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।'
আবহাওয়া কর্মকর্তা শাহ আলম আরো বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীতের দৈর্ঘ্য এখনো অব্যাহত থাকায় সেখানে গমের চাষ হয়ে থাকে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়তে পারে জানিয়ে সম্প্রতি 'ন্যাশনাল ফুড ক্যাপাসিটি' শীর্ষক এক সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ মুহূর্তে দেশে খাদ্য সংকট না থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
দেশে প্রতিবছর ৫০ লাখ টন গমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৪০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়।
শীতের দৈর্ঘ্য কমে আসায় দেশে গমের চাষ কমে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (সম্প্রসারণ) অনিল চন্দ্র সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০০০ সালের দিকে দেশে চার লাখ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হলেও এখন তা তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে। শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় গমের ভালো ফলন পাওয়া যায় না। এ কারণে কৃষকরাও ঝুঁকি নিয়ে গমের চাষ করছেন না। এতে বছরে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি গম উৎপাদন হচ্ছে না।
এ কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, 'গমের ফ্লাওয়ারিংয়ের সময় শীতের তীব্রতা বেশি প্রয়োজন। শীত কম পড়লে ফ্লাওয়ারিংয়ের পরিমাণ কমে যায় এবং গম উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু ১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাচ্ছে। একসময় সারা দেশে গমের চাষ হলেও এখন তা শুধু উত্তরবঙ্গে গিয়ে ঠেকেছে।'
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সালের দিকে দেশে দেড় লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হতো। চাহিদার কারণে ধানের পাশাপাশি গমের আবাদও বাড়তে বাড়তে ২০০০ সালের দিকে চার লাখ হেক্টরে পেঁৗছায়। কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে তা আবারও কমছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে শীত না থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গমের চাষাবাদ হয় না জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুল হুদা বলেন, 'সাধারণত নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত গমের আবাদ শুরু হয়। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে তা কাটার উপযোগী হয়। মোদ্দাকথা, আমনের পরপরই গমের আবাদ শুরু হয়। কিন্তু কোনো কারণে আমন ঘরে তুলতে দেরি হলে গমের চাষে দেরি হয়ে যায় এবং শেষের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যায় বলে কৃষকরা আর ঝুঁকি নিয়ে গমের চাষ করতে চান না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, 'একসময় আমাদের দেশে নভেম্বর থেকে শীতের মৌসুম শুরু হতো, আর এখন ডিসেম্বরেও পুরোপুরিভাবে শীতের দেখা পাওয়া যায় না। আবার জানুয়ারির শেষ থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। এভাবে শীতের দৈর্ঘ্য ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বলে শীতকালীন ফসল গমের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে_এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।'
আবহাওয়া কর্মকর্তা শাহ আলম আরো বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীতের দৈর্ঘ্য এখনো অব্যাহত থাকায় সেখানে গমের চাষ হয়ে থাকে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়তে পারে জানিয়ে সম্প্রতি 'ন্যাশনাল ফুড ক্যাপাসিটি' শীর্ষক এক সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ মুহূর্তে দেশে খাদ্য সংকট না থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
দেশে প্রতিবছর ৫০ লাখ টন গমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৪০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়।
No comments